Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

বৈশ্বিক চাহিদা হ্রাস নিয়ে নতুন উদ্বেগ

| প্রকাশের সময় : ১০ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : জুলাইয়ে চীনের আমদানি ও রফতানি কার্যক্রমে প্রত্যাশিত গতি ছিল না। জার্মানির বাণিজ্যিক কার্যক্রমও শ্লথ হয়ে পড়েছে। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও মার্কিন ফেডের প্রণোদনা কমিয়ে আনার মুহূর্তে দেশ দুটির বাণিজ্যের এ অবস্থা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পণ্যের চাহিদা হ্রাস নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের পর আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক অঙ্গন বেশ সরগরম। এ সময় বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে চীন ও ইউরোপের অবদান আরো বেড়ে যায়। এর ধারাবাহিকতায় প্রত্যাশা করা হয়েছিল জুলাইয়ে চীনের আমদানি-রফতানি আরো বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু দেখা গেছে, এ সময় দেশটির রফতানি প্রবৃদ্ধি কমে ৭ দশমিক ২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এটি জুনের ১১ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে শুধু কম নয়, ফেব্রুয়ারির পর সবচেয়ে শ্লথগতি। বিশ্লেষকরা পূর্বাভাসে জানিয়েছিলেন, জুলাইয়ে চীনের রফতানিতে প্রবৃদ্ধি হবে ১০ দশমিক ৯ শতাংশ। শুধু রফতানি নয়, জুলাইয়ে চীনের আমদানিও তুলনামূলক ধীরে স¤প্রসারিত হয়েছে। এ সময় চীনের আমদানি বেড়েছে ১১ শতাংশ; যা ডিসেম্বরের পর আমদানিতে সবচেয়ে শ্লথ প্রবৃদ্ধি। জুনে দেশটির আমদানি ১৭ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছিল। আর জুলাইয়ের জন্য আমদানি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ছিল ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ। তবে এ সময় দেশটির চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত বেড়েছে। জুলাইয়ে চীনের চলতি হিসাবে ৪ হাজার ৬৭৪ কোটি ডলার উদ্বৃত্ত হয়েছে। পূর্বাভাসে যা ছিল ৪ হাজার ৬০৮ কোটি ডলার। চীনের আমদানি-রফতানির এ খবরে এশিয়ার শেয়ারবাজারগুলোয় গতকাল মঙ্গলবার নিম্নমুখী ভাব লক্ষ করা যায়। অথচ এর মাত্র একদিন আগেই চীনসহ অন্যান্য উদীয়মান বাজারের পুনরুদ্ধারের সূত্র ধরে বৈশ্বিক অর্থনীতির ঋণমান আউটলুক বাড়িয়েছিল ফিচ। ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের পক্ষ থেকে এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে চীনের প্রবৃদ্ধি ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও এখন তা নিম্নমুখী প্রবণতার মধ্যে রয়েছে। বিশেষ করে আমদানি অনেক কমে যাওয়ায় আশঙ্কা করা হচ্ছে দেশটির অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমে আসছে। হংকংয়ে এএনজেডের প্রধান অর্থনীতিবিদ রেমন্ড ইউয়াং বলেন, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দুর্বল আমদানি প্রবৃদ্ধি দেশটির অর্থনীতিতে ধীরগতি সৃষ্টি হওয়ার আভাস দিচ্ছে। ফলে এ বিষয়ে আমাদের এখনই সতর্ক হতে হবে। অন্যদিকে ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জার্মানির রফতানি ২ দশমিক ৮ শতাংশ কমেছে। এর আগে টানা পাঁচ মাস প্রবৃদ্ধির মধ্যে ছিল দেশটির রফতানি খাত। ২০১৫ সালের আগস্টের পর দেশটির রফতানি খাতে সর্বোচ্চ পতন হলো। এছাড়া দেশটির আমদানিও সাড়ে ৪ শতাংশ কমেছে। ২০০৯ সালের জানুয়ারির পর এটি সর্বোচ্চ হ্রাস বলে জানিয়েছে দেশটির ফেডারেল স্ট্যাটিস্টিকস অফিস। অথচ রয়টার্সের এক জরিপে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল, জুনে জার্মানির রফতানি দশমিক ৩ শতাংশ কমবে; আর আমদানি বাড়বে দশমিক ২ শতাংশ। এ অবস্থায় ইউরোপের অন্য দেশগুলোর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সহায়তা করতে জার্মানিকে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এরই মধ্যে চারবারের মতো জার্মানির চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পেতে আগামী মাসের নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছেন অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। রয়টার্স, এএফপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ