নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : দু’বছর পর ফের বাংলাদেশ হকিতে ফিরে এসেছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড। যারা পৃষ্ঠপোষকতার হাত প্রসারিত করে আসন্ন দশম এশিয়া কাপ টুর্নামেন্টে হকি ফেডারেশনকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেবে। এ উপলক্ষ্যে গতকাল বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) ডাচ-বাংলা অডিটরিয়ামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে হকি ফেডারেশন ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংকের মধ্যে এক চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ফেডারেশনের পক্ষে সভাপতি এয়ার মার্শাল আবু এসরার এবং পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ওয়াসেক মো. আলী চুক্তিতে সই করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হকি ফেডারেশনের সর্বশেষ কমিটির সহ-সভাপতি ও এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাদেক সহ অন্য কর্মকর্তারা।
এশিয়া কাপকে সামনে রেখে ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক সর্বসাকূল্যে দেড় কোটি টাকা দিচ্ছে। যার পুরোটাই এশিয়া কাপে বাংলাদেশ জাতীয় দলের জন্য। ইতোমধ্যে এক কোটি টাকা ফেডারেশনকে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। চুক্তির আওতায় গেল দু’মাস আগে থেকে অনুশীলন করা এবং চীনে যাওয়া জাতীয় হকি দলের জন্য ইমিধ্যে ৩০ লাখ টাকা খরচা হয়েছে বলে জানান সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাদেক। এছাড়া এশিয়া কাপে মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে ২৭টি প্লেকার্ড বোর্ড পাবে পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান। আরও কিছু বিজ্ঞাপন সুবিধাও পাবে নাকি পাবে তারা। যদিও এশিয়া কাপের মূল পৃষ্ঠপোষক ভারতীয় হিরো কোম্পানী। সাদেক বলেন, ‘৩২ বছর আগে ঢাকা এশিয়া কাপে ঘাসের মাঠে খেলা হয়েছিল। সে কি উত্তেজনা ছিল দর্শকদের মধ্যে। এখন অবশ্য টার্ফে খেলা হয়। এশিয়ার সবগুলো জায়ান্ট দলই খেলবে এখানে। খুব ভালো করবে বাংলাদেশ, তা বলতে পারছি না। তবে ছেলেরা চেষ্টা করবে ভালো খেলা উপহার দিতে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ছেলেরা এখন চীনে রয়েছে। সেখানে তারা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছে। আমরা চেষ্টা করছি টুর্নামেন্টে সময়ের আগে চীনকে ঢাকায় আনতে। কারণ প্রতিপক্ষ গ্রæপে থাকলেও তাদের সঙ্গে তিনটি ম্যাচ খেলতে পারলে আমাদের অনেক উপকার হবে।’ সূত্র জানিয়েছে, চীনের সঙ্গে তিনটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে পারলে তিন ম্যাচ নিষেধাজ্ঞায় থাকা সারোয়ার হোসেন মূল ম্যাচে ফিরে পাবে বাংলাদেশ। সৈয়দ ওয়াসেক মো. আলী বলেন, ‘২০১৪ ও ’১৫ সালে আমরা জাতীয় স্কুল হকিতে পৃষ্ঠপোষকতা করেছিলাম। বাছাই করা খেলোয়াড়দের বৃত্তিও দিয়েছি আমরা। মাঝে দু’বছর কেটে গেছে। ফের আমরা হকিতে এসেছি। আশাকরি আগামীতেও থাকবো।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।