মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : কোন দেশ কী পরিমাণ গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ করছে, অধিকাংশ দেশের হিসাবখাতায় তা রেকর্ড করা হচ্ছে না বলে অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে। এ ধরনের হিসাবখাতা জমা দেয়ার সময় চতুরতার আশ্রয় নিচ্ছে বেশির ভাগ দেশ। যেমন ইতালির একটি স্থান থেকে এক ধরনের গ্যাসের ব্যাপক নিঃসরণ হচ্ছে বায়ুমন্ডলে। সুইজারল্যান্ডের বায়ুমন্ডল পর্যালোচনাকারীদের কাছে বিষয়টি ধরা পড়েছে। কিন্তু জাতিসংঘের রেকর্ড থেকে দেখা যাচ্ছে, খুবই কম পরিমাণ গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের হিসাব জমা দিয়েছে ইতালি। ভারত ও চীনে কিছু কিছু গ্রিনহাউস গ্যাসের এত বেশি নিঃসরণ হচ্ছে, যা প্রকৃত হিসাবখাতায় দেখানো হচ্ছে না। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, তাদের হিসাব ১০০ শতাংশ গড়বড় হতে পারে। গবেষকরা বলছেন, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নাম প্রত্যাহার করে নেয়ার চেয়েও এসব ত্রুটপূর্ণ হিসাব জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার পথে বেশি হুমকি। ২০১৫ সালে ১৯৫টি দেশের স্বাক্ষরিত প্যারিস জলবায়ু চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি দুই বছর অন্তর ধনী বা গরীব সব দেশই তাদের দেশে কী পরিমাণ গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ হচ্ছে, তার একটি স্বচ্ছ হিসাব জমা দেবে। জাতিসংঘের নিয়মানুযায়ী, কোন দেশে কী পরিমাণ গাড়ি কত পথ চলছে এবং ঘর ও অফিস গরম রাখতে কী পরিমাণ জ্বালানি ব্যবহার করা হচ্ছে, তার ভিত্তিতে হিসাব জমা দেয় দেশগুলো। কিন্তু এতে ভুল থেকে যাচ্ছে। প্রকৃত হিসাব সামনে আসছে না। বায়ু-নমুনা ব্যবহার করে বায়ুমন্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের প্রকৃত মাত্রা নির্ণয় করা যায়। যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা এই পদ্ধতিতে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের পরিমাণ নির্ণয় করে থাকেন। তাদের হিসাবে দেখা যাচ্ছে, জাতিসংঘের সদস্যরা যে হিসাব জমা দিচ্ছে তাতে ভুল-ভ্রান্তি থেকে যাচ্ছে। বিভিন্ন দেশে ফ্রিজ ও শীতাতপযন্ত্র থেকে যে পরিমাণ সিএফসি গ্যাস নিঃসরণ হয়, তা বায়ুমন্ডলের উষ্ণায়নের জন্য কার্বন ডাই-অক্সাইডের চেয়ে ১৪ হাজার ৮০০ গুণ বেশি দায়ী। ফলে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করতে হলে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের প্রকৃত হিসাব রাখা জরুরি বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।