পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা ঃ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, কেরানীগঞ্জের পানগাঁও ইনল্যান্ড কন্টেইনার টার্মিনাল সর্বোত্তম ব্যবহারের লক্ষ্যে অর্থায়ন করে চট্টগ্রাম বন্দরের ন্যায় সচল করা হবে। এজন্য সকল ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই এ বন্দরটি সচল হবে। তিনি আরও বলেন, পন্য খালাসে ট্যারিফ হ্রাস করা হলে আমদানী রপ্তানী বৃদ্ধি পাবে। গতকাল বিকেলে কেরাণীগঞ্জের পানগাঁও নৌবন্দরে ইনল্যান্ড কন্টেইনার টার্মিনাল সর্বোত্তম ব্যবহারের লক্ষ্যে মত বিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
চট্রগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান কমোডোর খালিদ ইকবালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, কন্টেইনার শীপ এসাসিয়েশনের পক্ষে নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি,এফবিসিসিআই এর সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন,জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য লুৎফর রহমান, বাদশা টেক্সটাইলের কর্নধার মোঃ বাদশা মিয়া। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রনালয়ের নিয়ির সচিব অশক মাদব রায় ।
এসময় আমদানী ও রপ্তানীকারকগণ পানগাঁও বন্দরে পণ্য খালাস ও রপ্তানী নিয়ে বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে বক্তব্যে বলেন, পানগাঁও আইসিটিতে আমদানি পণ্যবাহী কন্টেইনারের নিয়মিত আগমন থাকলেও রপ্তানি কার্যক্রম উল্লেখযোগ্য ভাবে শুরু হয়নি । পোষাক শিল্পসহ চামড়া ও চামড়াজাত রপ্তানিযোগ্য পণ্য কন্টেনারে বোঝাইকরণ ও জাহাজী করণের পূর্ণাঙ্গ সুবিধা , রপ্তানিকারকগন উদ্যোগী হলে পানগাঁও আইসিটির মাধ্যমে তাদের রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন। এতে সকল পক্ষই সুবিধা ভোগ করবে। ক্রমান্বয়ে এটি ব্যয় সাশ্রয়ী হয়ে উঠবে । অধিকাংশ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ঢাকার টঙ্গী -সাভার -গাজীপুর -মাওনা -ময়মনসিংহ সড়কে অবস্থিত হওয়ায় পানগাঁও আইসিটিকে সর্ব্বোত্তম ব্যবহারের জন্য আমদানি ও রপ্তানিকারকগনরা পানগাঁও আইসিটি হতে হাসনাবাদ পর্যন্ত সংযোগ সড়কটির দুপাশে দুটি সার্ভিস লেন রেখে চার লেনে উন্নীতকরণ ; পোস্তাগোলা সেতু হতে জুরাইন লেভেল ক্রসিং হয়ে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার পযর্ন্ত উভয় পাশ হতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার কথা বলেন।
বন্দর কতৃপক্ষ জানান ,পানগাঁও বন্দরে ট্যারিফের বিভিন্ন আইটেমে ৫০-৭০% কম ,আমদানী কন্টেইনার এর ইপর ১০ দিন ফ্রি টাইম প্রদানসহ স্টোরেজ চার্জ কমানো; রপ্তানী বোজাই এর নিশ্চয়তা না থাকার খালি কন্টেইনার এর উপর ১০ দিন ফ্রি টাইম প্রদান । জাহাজ ভাড়া কমাতে সম্মত হয়ে নৌমন্ত্রী একটি স্মারক স্বাক্ষর করেন । এর ফলে বন্দরে আমদানী রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে, বর্তমান অর্থ বছরে এগার হাজার একশত উনআাশি টি কন্টইনার ব্যবহার হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।