পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, কিছুদিন পর ঋণ থাকবে না, বাংলাদেশ আবার ঋণ দিতে পারবো বলে দাবি করেছেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, অল্পদিনের মধ্যে খারাপ কোনো অবস্থা হয়নি। আমরা যখন অর্থনীতি ম্যানেজ করি আমাদের কাছে বিভিন্ন পারসপেক্টিভ (পরিপ্রেক্ষিত) দেখতে হয়। আমাদের ঋণ দরকার। আর কিছুদিন, এরপর ঋণ থাকবে না। আমরা তো বলেছিলাম ঋণ দেবো। আমি আবারও বলি আমরা ঋণ দিতে পারবো। আমি আমার চাহিদা সবাই জানতে পারলে আমার ওপর খরচটা বেশি দেবে, সে জন্যই প্রয়োজন নেই বলেছি। এভাবেই আমাদের ম্যানেজ করতে হয়। ঋণের বিষয়টি যাতে কোনোভাবেই আমাদের বিপক্ষে না যায়। আমরা অর্থ চাই, আমরা বলেছি। কিন্তু কতো লাগবে আমরা সেটি বলিনি।
গতকাল অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেনের ভারসাম্য রক্ষায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে ঋণের আবেদন করা হয়েছে। এখন আমাদের ঋণ দরকার। আইএমএফের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাম্প্রতিক আলোচনা শেষে আপনি বলেছিলেন, আমরা আইএমএফের কাছ থেকে এখন কোনো ঋণ নেব না। আমাদের অর্থনীতি ভালো অবস্থানে আছে। এরই মধ্যে এমন কী পরিস্থিতি হলো যে আপনি আবার আইএমএফের কাছে ঋণ চেয়েছেন? এক সাংবাদিক উল্লিখিত প্রশ্ন করলে জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, তখন আমরা যদি টাকা চাইতাম, আইএমএফ নানা শর্ত দিত; দর-কষাকষির জন্য আমরা সুযোগ পেতাম না। সে জন্য তখন চাইনি। তখন আমরা একটু ভাব দেখাইছি। এটা দেশের স্বার্থে করা হয়েছে। ঋণ নিলে সবার জানার অধিকার আছে। আমার কাজ হচ্ছে তার ব্যাখ্যা দেয়া।
অবশ্য অর্থমন্ত্রী এই ঋণের অঙ্ক কত, তা জানাননি। অবশ্য অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আইএমএফ থেকে ৪৫০ কোটি, এডিবি থেকে ১০০ কোটি, বিশ্বব্যাংক থেকে ৭০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ চাওয়া হবে। অর্থমন্ত্রী এর আগে গত সপ্তাহে বলেছিলেন আইএমএফের কাছে ঋণ চাওয়া হচ্ছে না বা চাওয়ার মতো অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। কিন্তু গত রোববার অর্থবিভাগ থেকে আইএমএফকে চিঠি দিয়ে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলারের ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ। এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রেক্ষিত অনুযায়ী অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা করা হয়ে থাকে। সরকার যদি ডিমান্ড এক্সপোজ করে দেয় তাহলে ঋণের শর্ত-সুদ নিয়ে দরকষাকষিতে সরকার শক্তিশালী অবস্থানে থাকবে না। সেজন্য এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করে কিছু বলা হয়নি। আইএমএফ কী শর্ত দেয় সেগুলো দেশের পক্ষে যায় কিনা, উন্নয়ন নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা সেসব বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, নির্ধারিত সুদ হারের কারণে দেশের অর্থনীতি ভালো আছে। এই সুদ হার যদি না থাকতো তাহলে করোনার সময়ে অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান হারিয়ে যেত। ফলে এটি অনেক ভালো সিদ্ধান্ত। এতে ব্যাংক খাতে স্থিতিশীল অবস্থায় আছে। বেসরকারি খাতও ভালো আছে। আইএমএফ বললেই এই সিদ্ধান্ত থেকে সরকার সরে যাবে তেমন নয়। তবে বাস্তবতার প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের দরকার হলে সরকার তা করবে উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী।
ডলার সঙ্কটের বিষয়ে অ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, কৃত্রিমভাবে ডলারের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করা হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, কিছু আমদানিকারক মূল্যবৃদ্ধির কারসাজি করে আমদানি করছে। বাধা দিলে তখন এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে চলে যাচ্ছে। সরকার এটা বন্ধ করার চেষ্টা করছে। অর্থমন্ত্রী বলেন, ডলার সঙ্কট শিগগিরই শেষ হয়ে যাবে। এক্সপোর্ট বাড়ছে, রেমিট্যান্সও বাড়ছে। গত বছর রেমিট্যান্স কিছুটা কম হলেও চলতি অর্থবছর আশা করছি ভালো রেমিট্যান্স পাব। রেমিট্যান্স ও এক্সপোর্টের মাধ্যমেই ডলারের চাহিদা মেটানো হবে।
আইএমএফের পাশাপাশি দাতা সংস্থা ও উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে ঋণ চাওয়া হবে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমরা শুধু আইএমএফ নয়; বিশ্বব্যাংক, জাইকা, এডিবিসহ সব দাতা সংস্থা ও উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে ঋণ সহায়তা চাইব। আমাদের প্রতি তাদের পূর্ণ বিশ্বাস আছে। ঋণ দেয়ার জন্য তারা আমাদের পিছে পিছে আছে। কারণ বাংলাদেশ একটি ভালো দেশ, ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা আছে। উন্নয়ন সহযোগীদের বাংলাদেশের ওপর পূর্ণ আস্থা আছে। তারা জানে, বাংলাদেশ সময়মতো ঋণ পরিশোধ করতে পারবে।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।