পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী বাজেট হবে সাধারণ মানুষের মঙ্গলের বাজেট। করের বোঝা বাড়বে না। বাজেটে দেশের অর্থনীতিকে চাঙা রাখতে যা যা প্রয়োজন সেসব উদ্যোগ নেয়া হবে। আগামী ৯ জুন বৃহস্পতিবার ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হবে।
গতকাল বুধবার সচিবালয়ে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চুয়াল সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ কথা বলেন। বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় আমদানিতে নিরুৎসাহিত করা হবে কিনা। এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমাদের রফতানির পাশাপাশি আমদানিও বাড়ছে। এটা বন্ধ করা যাবে না। তবে প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি নিয়ন্ত্রণের কোন ইচ্ছে সরকারের নেই। মেশিনারিজ, শিল্পে ব্যবহার্য কাঁচামাল, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য এগুলোর আমদানি অব্যাহত থাকবে। তবে অপ্রয়োজনীয় এবং বিলাশবহুল পণ্য আমদানির ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হতে পারে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বাজেট প্রণয়নের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এখনো কোন কিছু চূড়ান্ত হয়নি। রাজস্ব আদায় এবং বাজেট বাস্তবায়নে সম্পদ আহরন কিভাবে হবে সে নিয়ে অর্থ বিভাগ, এনবিআরসহ সরকারি সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিভাগের সঙ্গে ইতোমধ্যে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আরও সভা হবে সেখানে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে।
তিনি বলেন, সব জিনিসের দাম সারাবিশ্বে বেড়ে গেছে। বিশ্বব্যাংকের মার্চ মাসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত এক বছরে বিশ্বে গমের দাম বেড়েছে ৩৮ শতাংশ। গরুর গোশতের ৩৫ শতাংশ, মুরগি গোশতের ৫৫ শতাংশ, সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ৩৭ শতাংশ, চিনি ১১ শতাংশ, চা ১৩ শতাংশ, টিএসপি সার ৬৫ শতাংশ এবং ইউরিয়া সারের দাম বেড়েছে ২৩৪ শতাংশ। আমাদের এগুলো উচ্চ দামে কিনতে হয়। এগুলোকে সমন্বিত প্রয়াস অব্যাহত রেখে কাজটি করতে হয়।
ডিজিটাল কানেকটিভিটি প্রকল্প সম্পর্ক জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, এ প্রজেক্টটি আমাদের বিবেচনায় ভালো প্রকল্প। সেখানে অনেক জনবল কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে। গণমাধ্যমে এসেছে করোনার মধ্যে দেশে ১ লাখ মানুষ কর্মসংস্থান হারিয়েছে ই-কমার্সে। একই খাতে চলতি বছরে আরও ৫ লাখ মানুষ কর্মসংস্থান হাাবের। আমরা যে প্রকল্পগুলো অনুমোদন দিই সেক্ষেত্রে দু’টি জিনিস বিবেচনা করি। মৌলিক দু’টি এলাকা বিবেচনা করি, রেভিনিউ জেনারেশন ফর গভর্নমেন্ট এবং কর্মসংস্থান। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে অনেক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।
বাজেটের আকার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বছর আমরা সবকিছু জানিয়ে করেছি। জনগণ যাতে আরও জানতে পারে সেরকম তথ্যাদি বিবেচনায় রেখেই বাজেট সাজিয়েছি। ৯ জুন বাজেট পেশ করা হবে।
করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ টাকা আছে, আসছে বাজেটে এটা বাড়ানোর কথা বিবেচনা করছেন কি না জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের আইটেম ওয়াইজ আলোচনা আরও করতে হবে। এনবিআর আছে, তাদের সঙ্গে বসতে হবে। নিজস্ব মন্ত্রণালয়ের বিভাগ ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা বাজেট তৈরি করবো। আরও কিছুদিন সময় লাগবে। আমাদের দেশের জনগণের যাতে করে ভোগান্তি না বাড়ে এবং তাদের ওপর বোঝা যেন বেশি না বাড়ে সেজন্য আমরা কাজ করছি। আশা করি, সেগুলো কম-বেশি আমরা অবশ্যই বিবেচনায় নেবো।
বাংলাদেশ ব্যাংক আমদানি নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নিয়েছে— আরও নিয়ন্ত্রণের চিন্তা-ভাবনা আছে কি না জানতে চাইলে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমাদের অনেক রকম পণ্য আমদানি আছে। একটা আমদানি হচ্ছে প্রজেক্টের সঙ্গে সরাসরি রিলেটেড, সেটা আমরা এলাউ করি। আবার যদি আমদানি ক্ষেত্রে কনজ্যুমার আইটেম না হয়, রেভিনিউ বেনিফিশিয়ারি না হয় সেসব ক্ষেত্রে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করি। আমাদের এক্সপোর্ট অনেক বেড়েছে। তবে এক্সপোর্ট বাড়লেও ইম্পোর্টকে ওভারটেক করতে পারবে না, ইম্পোর্ট বেশি থাকবে। আগে ইম্পোর্ট হয়নি এখন ইম্পোর্ট হচ্ছে। যেগুলোর দাম বেড়েছে সেগুলোকে নিয়ন্ত্রণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের এ কাজটি করতে হয়।##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।