পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জারি থাকছে কারফিউ
ইনকিলাব ডেস্ক : মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা মুসলিমদের জাতিগত গণহত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতনের প্রমাণ পায়নি দেশটির সরকার গঠিত মংগদু তদন্ত কমিশন। তবে অঞ্চলটির ‘নিরাপত্তার স্বার্থে’ এবং ‘সন্ত্রাসীদের হামলা ঠেকাতে’ ১৪৪ ধারা ও কারফিউ জারি রাখতে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে কমিশন। গতবছর অক্টোবরে ৯ সীমান্ত পুলিশ হত্যাকান্ডের প্রতিক্রিয়ায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এবং সীমান্তরক্ষী পুলিশ একযোগে রোহিঙ্গা দমনে অভিযান শুরু করে। মধ্য এপ্রিল পর্যন্ত চলা সেই সেনা অভিযানে শতাধিক রোহিঙ্গা নিহত হয়। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের সমালোচনার মুখে মিয়ানমার সরকার মংগদু তদন্ত কমিশন গঠন করে।
৯ অক্টোবরের ওই হামলার পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা মুসলিম অধ্যুষিত রাখাইন প্রদেশে সামরিক অভিযান চালায়। নৃশংস এ হামলার পর অন্তত ৭৫ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। ছয় মাস ধরে তদন্তের পর গত রোববার কমিশনের প্রতিবেদন দেশটির প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের পাঠানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনটির সারাংশ তুলে ধরেন মিয়ানমারের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইউ মুইন্ট সুই।
ভাইস প্রেসিডেন্ট জানান, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনের অভিযোগ মতো গণহত্যা ও জাতিগত নিধনের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
তদন্ত কমিশন প্রতিবেদনে জানিয়েছে, উভয় পক্ষে অবস্থান ও চিন্তার কথা বিবেচনা করে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এখনও সম্ভব নয়।
কমিশন দাবি করেছে, আন্তর্জাতিক পদ্ধতি অনুসরণ করে তদন্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন বয়সের বিভিন্ন সামাজিক শ্রেণির মানুষের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে ধর্ষণের অভিযোগের বিষয়ে। কিন্তু এসব অভিযোগ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কমিশনের মতো, এসব অভিযোগ আরও তদন্ত করা দরকার।
ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, ধর্ষণের অভিযোগের কোনও নিশ্চিত নথি ও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে কিনা তা নিশ্চিত করা কঠিন। কারণ এসব অভিযোগের স্বপক্ষে শক্তিশালী কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কমিশন সুপারিশ করেছে, যাদের নাগরিকত্ব নেই তাদের মংগদু এলাকায় প্রবেশ নিষিদ্ধ রাখার জন্য।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম বাস করেন। কিন্তু, সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধরা তাদেরকে দেশটির নাগরিক হিসেবে স্বীকার তো করেই না বরং এসব রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে দাবি করে থাকে। অক্টোবরের ঘটনার পর জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কার্যালয় থেকে দেওয়া এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী গণহত্যা ও সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ চালিয়েছে, তাদের ঘর-বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এ ধরনের ঘটনাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের শামিল এবং জাতিগত নির্মূল প্রক্রিয়া হিসেবে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ। সূত্র : মিয়ানমার টাইমস, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।