পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আবু হেনা মুক্তি, খুলনা থেকে : প্রায় আড়াই বছর আগে সংগঠিত লোমহর্ষক জোড়া হত্যা মামলার রহস্য অবশেষে উদঘাটন হয়েছে। বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর ও মর্মান্তিক তথ্য। মানবাধিকার সংগঠনগুলো ঘটনার তীব্র নিন্দা ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছে। বিষয়টি এখন খুলনার টক অব দ্যা ডিস্ট্রিক।
সূত্রমতে, খুলনা বটিয়াঘাটা উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নে জোড়া হত্যার খুনি আযম ফকির ভারতের গুজরাট থেকে মোবাইল ফোনে হত্যার দায় স্বীকার করে পুলিশকে ফোন দিয়ে লাশ উদ্ধারে সহায়তা করে। গতকাল রোববার স্থানীয় ভান্ডারকোট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই নাজমুল হক ইনকিলাবকে এ তথ্য দেন। তিনি বলেন, বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে আযম ফকির (৫০) তার মেয়ের স্বামী আব্দুর রহিম গাজী ও দ্বিতীয় স্ত্রী রহিমার গর্ভের অন্য পক্ষের সন্তান ইমরান খানকে (২৪) হত্যার পর পালিয়ে ভারতের গুজরাটে আশ্রয় নেয়। নানা কৌশলে আযমের মোবাইল ফোন নম্বর তার স্ত্রী রহিমার নিকট থেকে সংগ্রহ করা হয়। মোবাইল ফোনে আযম ফকির দু’যুবককে হত্যার কারণ সম্পর্কে জানায়, তার জামাই রহিম একটি মোটরসাইকেল বিক্রি করে আরও একটি ক্রয়ের উদ্দেশ্যে টাকা নিয়ে তার কাছে আসে। এসময় তাকে খাবারের সাথে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে দেয়। পরে পকেট থেকে এক লাখ টাকা নিয়ে ঘরের পিছনে আমড়া গাছের নীচে গর্ত খুঁড়ে পুতে রাখে।
এ ঘটনার কয়েক মাস পর তার দ্বিতীয় স্ত্রীর প্রথম পক্ষের সন্তান ইমরান খানকে চাকরী দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তার নিকট থেকে সত্তর হাজার টাকা নিয়ে একই ভাবে হত্যা করে এবং আমড়া গাছের নীচে পুতে রাখে। আযম আরও জানায়, শুধু মাত্র টাকার জন্যই তাদের দু’জনকে হত্যা করা হয়। আর ঘটনার সাথে রহিমাও সংশ্লিষ্ট। এখন সে খুবই অসুস্থ তাই গুজরাট থেকেই মৃত্যুর আগে সব তথ্য জানিয়ে দিতে চায়।
পুলিশ প্রায় এক মাস আগে আযমের ফোন পেয়ে আমড়া গাছের নীচে কিছুটা খুড়ে কোন সন্ধান না পেয়ে আসা ছেড়ে দেয়। তাছাড়া সেখানে দু’টি আমড়া গাছ রয়েছে। কোনটার নীচে খুড়বে নিশ্চিত হতে পারেনি। পরে আযম ফোনে নিশ্চিত করে দেয় এবং ছয় ফুট গভীর পর্যন্ত খুঁড়তে বলে। গত ৫ আগষ্ট শনিবার আযমের দেয়া তথ্যমতে মাটি খুঁড়ে পুলিশ ইমরান খান ও রহিমের লাশের কংকাল উদ্ধার করে। তাদের নিকট আত্মীয়রা জুতা জামা প্যান্ট দেখে নিশ্চিত ভাবে সনাক্ত করেন। এ ব্যপারে বটিয়াঘাটা থানায় হত্যা মামলা রেকর্ড হয়েছে। উল্লেখ্য ইমরান খানের পিতা আসাদ খান (রহিমার প্রথম স্বামী) গত ১৯/১০/১৬ তারিখ চীফ জুডিশিয়াল আদালতে একটি অপহরণ মামলা করেন। মামলায় রহিমা জামিনে রয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।