Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হেসেখেলেই সিরিজ দখলে নিলো ভারত

| প্রকাশের সময় : ৭ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : দিমুথ করুনারতœ আর কুসল মেন্ডিসের তুমুল প্রতিরোধও কোন কাজে আসল না। রবীন্দ্র জাদেজার ঘূর্ণী জাদুতে চতুর্থ দিনের চা-বিরতির খানিক আগেই গুটিয়ে গেল শ্রীলঙ্কা। ইনিংস হার এড়াতে তখনও তাদের করতে হতো ৫৩ রান। ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ২-০ ব্যবধানে সিরিজ দখলে নিলো বিরাট কোহলিরা। এ নিয়ে টানা আট-আটটি সিরিজ জিতল ভারত। আর একটি জিতলেই অস্ট্রেলিয়ার টানা নয় সিরিজ জয়ের রেকর্ডে ভাগ বসাবে র‌্যাংকিংয়ের শীর্ষস্থানধারীরা। দুই বছর আগে এই শ্রীলঙ্কাকে তাদের মাটিতে হারিয়েই যাত্রাটা শুরু করেছিল ভারত।
গলে সিরিজের প্রথম টেস্টে রেকর্ড ব্যবধানে জিতেছিল ভারত। এবারের জয়টিও তাদের কাছে রেকর্ড হয়েই থাকল। লঙ্কান সফরে এই প্রথম যে তারা ইনিংস ব্যবধানে জিতল। অপরদিকে ২০০০ সালের পর এই প্রথম ঘরের মাঠে ইনিংস ব্যবধানে হারল শ্রীলঙ্কা। সব মিলে সপ্তম বারের মত ইনিংস হারের লজ্জা পেল সিংহল খ্যাত দেশটি।
হারের ময়নাতদন্তে টস ভাগ্যকেই বড় করে দেখলেন পরাজিত দলের দলপতি দিনেশ চান্দিমাল, ‘সত্যি বলতে, আপনি টস ভাগ্যকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না।’ উল্লেখ্য, টানা দশ ম্যাচ পর এই প্রথম কলম্বোয় টস হারে শ্রীলঙ্কা। এরপর অবশ্য আসল সত্যটাও বেরিয়ে আসে নতুন লঙ্কান অধিনায়কের কন্ঠ থেকে, ‘প্রথম ইনিংসে ব্যাট ও বল হাতে আমরা পরাস্থ হয়েছি। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে আমরা যেভাবে খেলেছি তাতে আমি খুশি।’
ভারতের ৬২২ রানের সামনে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৮৩ রানে গুটিয়ে যায় চান্দিমালের দল। পরের ইনিংসে করুনারতেœ ও মেন্ডিস প্রতিরোধ গড়ায় জয় পেতে একটু বিলম্ব হয় ভারতের। দুজনই ব্যাট হাতে তিন অঙ্কের দেখা পান। করুনারতেœর ৩০৭ বলে ১৪১ রানের ইনিংটা মহত্বের দাবি রাখে। ক্যারিয়ারের ছয় শতকের চারটিই তার তৃতীয় ইনিংসে করা। গত তিন বছরে দুটির বেশি যে রেকর্ড নেই কারো। ফলো অনে পড়ার পর তার এই ইনিংসটা দেশের হয় তৃতীয় সর্বোচ্চও। তিন বছর আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ফলোঅনে পড়ে সর্বোচ্চ ১৫২ রানের ইনিংসটিও খেলেছিলেন এই ওপেনার।
দুই ইনিংসেই লঙ্কানদের পড়তে হয় মূলত ভারতের স্পিন জুটি আশ্বিন-জাদেজার রোশানলে। ২০ উইকেটের ১৪টিই দখলে নেন তারা। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেন আশ্বিন, এবার জাদেজা। ব্যাট হাতেও দুজনেই পেয়েছিলেন ফিফটির দেখা। একই টেস্টে দুই সতীর্থের এমন কীর্তি টেস্ট ক্রিকেট এর আগে দেখেছে মাত্র দুইবার। ১৮৯৫ সালে অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েন অস্ট্রেলিয়ার জর্জ গিফিন ও আলবার্ট ট্রট এবং ২০১১ সালে ট্রেন্ট ব্রিজে ভারতের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের হয়ে একই নৈপূণ্য দেখান টিম ব্রেসনেন ও স্টুয়ার্ট ব্রড।
তবে ব্যাট হাতে অপরাজিত থাকায় জাদেজাকেই ম্যাচের নায়ক হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। গত এক বছরে এ নিয়ে সর্বোচ্চ চতুর্থবারের মত ম্যাচসেরা হলেন এই স্পিন অলরাউন্ডার। তিনবার হয়েছেন বিরাট কোহলি। এই ম্যাচেই বাঁ-হাতি বোলার হিসেবে দ্রæততম দেড়শ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন জাদেজা (৩২ ম্যাচে)।
ভারত : ৬২২/৯ ডিক্লে. (পুজারা ১৩৩, রাহানে ১৩২, জাদেজা ৭০*, শাহা ৬৭, রাহুল ৫৭, আশ্বিন ৫৪; হেরাথ ৪/১৫৪)।
শ্রীলঙ্কা : ১৮৩ (ফলোঅন) (ডিকভেলা ৫১, আশ্বিন ৫/৬৯) ও ৩৮৬ (করুনারতেœ ১৪১, মেন্ডিস ১১০, জাদেজা ৫/১৫২)।
ফল : ভারত ইনিংস ও ৫৩ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা : রবীন্দ্র জাদেজা (ভারত)।
সিরিজ : তিন ম্যাচে ভারত ২-০তে এগিয়ে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ