রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মো. গোলাম ফারুক, দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) থেকে
দুপচাঁচিয়া উপজেলায় ফরমালিন মিশ্রিত আঙ্গুর, আপেল, কমলায় বাজার সয়লাব। হুমকির মুখে জনস্বাস্থ্য। অজ্ঞাত কারণে নীরব প্রশাসন। বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত ভালো। দুপচাঁচিয়া আক্কেলপুর জয়পুরহাট হয়ে হিলি সড়ক। এই সড়ক দিয়ে সীমান্তের ওপার ভারত থেকে বিষাক্ত ক্যালসিয়াম কার্বাইড, ফরমালিন, কীটনাশক ও বিষাক্ত হরমোন মিশ্রিত আঙ্গুর আপেল কমলা অবাধে উপজেলায় প্রবেশ করছে। উপজেলা সদরের সিওঅফিস বাসস্ট্যান্ড এলাকায় প্রায় ১ ডজনের অধিক ফল ব্যবসায়ীরা এই সব ফল তাদের দোকানে পসরা সাজিয়ে অবাধে বিক্রি করছে। না জেনে সাধারণ মানুষ এই সব ফরমালিন মিশ্রিত ফল কিনছে। নাম প্রকাশ না করা শর্তে বেশ কয়েকজন স্থানীয় ফল ব্যবসায়ীরা জানান, তারা ভারত থেকে আসা এই সব ফল ফরমালিন মিশ্রিত কি না তা জানতে পারেন না। তবে ক্রেতাদের অভিযোগে ফলগুলো ফরমালিন মিশ্রিত হলেও তাদের (ফল ব্যবসায়ীদের) ক্ষতির আশঙ্কায় তা অবাধে বিক্রি করে থাকে। আর এই সব ফল ক্রয় করে তা খেয়ে অনেক সময় নানান জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু সহ সর্বস্তরের মানুষ। মৌসুমী এই সব আঙ্গুর আপেল কমলা ফলন ভারতে প্রচুর। হিলি সীমান্ত দিয়ে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফার আশায় এই সব ফল বহন করে নিয়ে আসছে। এক জাতীয় বিষাক্ত হরমোন ব্যবহার করে ফলগুলোকে তাজা টকটকে রেখে উপজেলা সদরের এসব ফল ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করছে। আর এসব ফল ব্যবসায়ীরা সাধারণ মানুষের চোখে ধুলা দিয়ে তা অবাধে বিক্রি করে থাকে। অকালে কীটনাশক দিয়ে পাকানোর ফলে শুধু রং হয়েছে কিন্তু পরিপক্ব হয়নি। এতে অনেক সময় ফলগুলো প্রকৃত সুস্বাদু থেকে মানুষরা বঞ্চিত হচ্ছে। আবার এই সব বিষাক্ত ফল খেয়ে মানুষ জটিল রোগে আক্রান্তও হয়। বিশেষ করে শিশুরা বেশি জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এর ভয়াবহতা কত ভয়ানক তা একজন চিকিৎসক বিশেষজ্ঞ ও কীটনাশক বিশেষজ্ঞ ছাড়া কারো পক্ষে নির্ণয় করা বা বোঝা সম্ভব নয়। এছাড়াও একইভাবে পাকানো হচ্ছে স্থানীয় বিভিন্ন জাতের কলাসহ মৌসুমী ফল। ক্রেতাদের অভিযোগ এসব ফল খেয়ে কোন স্বাদ পাওয়া যায় না। কারণ এই ফলগুলো ফরমালিন দিয়ে পাকানো হয়েছে। বিশেষ করে ক্যালসিয়াম কার্বাইড পরিমাণে বেশি দিলে কমলার বাহিরের রং ঠিক থাকলেও ভিতরে ফ্যাকশা ধরে যায় এবং মিষ্টি না হয়ে তা টক হয়। এটি অত্যন্ত ভয়ানক বিষাক্ত পদার্থ। এরা মানুষকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। অথচ এ ক্ষেত্রে প্রতিরোধের কোন উদ্যোগ নেই প্রশাসনের। স্বাস্থ্য বিভাগও নীরব দর্শক। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহেদ পারভেজ “দৈনিক ইনকিলাব” কে জানান, ফলের দোকানের ফরমালিন পরীক্ষার যন্ত্র না থাকায় অনেক সময় অভিযোগ পেলেও ফলের দোকানগুলোর ফল ফরমালিন মিশ্রিত কি না তা পরীক্ষা করা সম্ভব হয় না। সরকারিভাবে এই ব্যয় বহুল ফরমালিন পরীক্ষার যন্ত্রটি সরবরাহ করলে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হবে। উপজেলা স্যানেটরী ইন্সপেকটর মমতা সাহা অনুরূপ একই মন্তব্য করেন। এ দিকে সাধারণ মানুষের দাবি স্বাস্থ্য বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা প্রশাসন মৃত্যুর হাত এবং জটিল রোগ থেকে বাঁচাতে এই সব ফল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।