পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শফিকুল ইসলাম বেবু, কুড়িগ্রাম থেকে : আমার মেয়েটা তারা মেরে ফেললো। কি দোষ ছিল তার। বেতন চাওয়া কি ছিল তার অপরাধ। বাড়ির মালিকতো কয়েক মাস আমার মেয়েকে বেতন ভাতা দেননি। মেয়ে বলেছিল মা আমি শুক্রবার বেতন নিয়ে বাড়ীতে যাবো। তোদের সঙ্গে কোরবানীর ঈদ বাড়ীতে করব। আমাকে দোয়া করিও আমি যেন ভালো ভাবে বাড়ীতে আসতে পারি। এ কথা বলতে বলতে মা আলেয়া বারবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন। তার বিলাপে আশেপাশের লোকজনের চোখেও পানি ধরে রাখতে পারছেন না। এ নির্মম ঘটনাটি ঘটে ঢাকার বনশ্রী জি বøকের ৪ নম্বর রোডের ১৪ নং বাসাতে। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় গৃহকর্মী লাইলি বেগমের বাড়ী কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়া সমন্বয় পাড়ায়।
গতকাল সকালে দাশিয়ার ছড়ার কালিরহাটের সমন্বয়পাড়া গিয়ে জানা যায়, ১০বছর পূর্বে উপজেলার মধ্য-কাশিপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম এর সাথে বিয়ে হয় লাইলীর। তাদের ঘরে মরিয়ম (৫)ও আতিকুর রহমান (৩) নামের ছেলে মেয়ে রয়েছে। দেড় বছর পূর্বে লাইলীর স্বামী নজরুর ইসলাম কাজের সন্ধানে ভারতে চলে যায়। ভারতে যাওয়ার প্রাক্কালে দালালেরা সীমান্তে বিএসএফের হাতে ধরিয়ে দেয় নজরুলকে। রোজগারের লোক না থাকায় ছেলে মেয়ে নিয়ে উপোষ থাকতে হয় লাইলিকে। অভাবের তাড়নায় গত বছর তার ননদ জাহানারার মাধ্যমে দুই সন্তানদের নিয়ে ঢাকায় কাজ করতে যায় লাইলী। গত সাত মাস বাড়িতে ফেরা হয়নি তার। এবার কোরবানি ঈদে পরিবারের সাথে ঈদ করার কথা থাকলেও তা আর ভাগ্যে জুটলো না দরিদ্র গৃহকর্মী লাইলীর। তার মৃত্যুতে অবুঝ সন্তানদের ভবিষ্যত নিয়ে আশঙ্কায় পড়েছে পরিবার। মা আলেয়া শুক্রবার বিকালে টেলিভিশনের মাধ্যমে জানতে পারেন মেয়ের মৃত্যুর খবর। এরপর ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন লাইলীর বাবা নজরুল হক।
কান্নাজড়িত কন্ঠে আলেয়া বেগম জানান,তার মেয়েকে মারপিট করে ফ্যানে ঝুলিয়ে রাখে বাড়ীর মালিক। অনেক কষ্টে ঢাকা শহরে ধার-দেনা করে তাকে চলতে হচ্ছিল। শুক্রবার সে (লাইলী) বকেয়া বেতন নেয়ার জন্য ওই বাড়িতে গেলে এঘটনা ঘটে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।