মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : জাতিসংঘে চিঠি পাঠিয়ে প্যারিসের জলবায়ু অঙ্গীকার ত্যাগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। চলতি বছরের জুন মাসে হোয়াইট হাউজে দেয়া এক ঘোষণায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্যারিস চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নাম প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন। ২ মাসের মধ্যে তার প্রশাসন এবার চিঠি দিয়ে জাতিসংঘকে চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে এ সংক্রান্ত পদক্ষেপ নিতে শুরু করলো। উল্লেখ্য, প্রচারণার সময় থেকেই প্যারিস চুক্তির বিরোধিতা করে যাচ্ছিলেন ট্রাম্প। ২০১৫ সালে প্যারিসের ‘কপ-২১’ জলবায়ু চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রসহ ১৮৭টি দেশ মিলে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মাত্রা তারা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম রাখার অঙ্গীকার করেছিল। ট্রাম্পের ভাষায়, এই চুক্তি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘শাস্তি’, যার কারণে লাখো মার্কিনি চাকরি হারিয়েছে। চুক্তি থেকে সমর্থন প্রত্যাহারে জাতিসংঘে চিঠি দেওয়ার কথা জানিয়ে গত শুক্রবার পররাষ্ট্র দফতরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র একটি ভারসাম্যপূর্ণ জলবায়ু নীতি চায় যার মধ্য দিয়ে কার্বন নির্গমন কমানোর পাশাপাশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। বিবৃতির বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, উদ্ভাবন আর প্রযুক্তি ব্যবহারের মধ্য দিয়ে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে নিঃসরিত হওয়া কার্বনের পরিমাণ কমানোর কথা জানায় ট্রাম্প প্রশাসন। বিভিন্ন দেশকে ক্ষতি কমিয়ে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করার পরিকল্পনাও জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। সংবাদ বিবৃতিতে গত শুক্রবার জাতিসংঘে দেওয়া চিঠিকে লিখিতভাবে চুক্তি থেকে বের হয়ে আসা হিসেবে ঘোষণা করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, এই ঘোষণাকে প্রতীকী হিসেবেই দেখা হচ্ছে। কারণ, ২০১৯ সালের ৪ নভেম্বরের আগে প্যারিস চুক্তি থেকে কারও বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। আর বেরিয়ে যাবার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে তারপর আরও এক বছর সময় লেগে যাবে। তাই ২০২০ সালে যখন এটি কার্যকর হবে তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আরেকটি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়ে যাবে। তখনকার নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট চাইলেই এই চুক্তিতে ফিরে আসতে পারবেন। প্যারিসের সমঝোতাকে পুথিবীর সুরক্ষায় খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বিবেচনা করা হয়। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানাচ্ছে, তারা সব নিয়ম মেনেই এই চুক্তি থেকে বের হবে। ফলে আসছে দিনগুলোতে এই চুক্তির যেসব বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, সেগুলোতেও তারা নিয়ম মেনে যোগ দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রাণ-প্রকৃতি-পরিবেশ রক্ষায় ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে প্যারিসের ‘কপ-২১’ জলবায়ু চুক্তিতে আমেরিকাসহ আরো ১৮৭টি দেশ মিলে অঙ্গীকার করেছিল যে বৈশ্বিক উষ্ণায়নের মাত্রা তারা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম রাখবে; এমনকি দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি নামিয়ে আনতে চেষ্টা করবে। এ ব্যাপারে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের অন্যতম প্রধান গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণকারী দেশÍএ কথা মাথায় রেখেই ওবামা প্রশাসন এককভাবে সিদ্ধান্ত নেয়, প্যারিস চুক্তির শর্তগুলো মেনে চলার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ২০২৫ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ ২০০৫ সালের তুলনায় ৩৭ শতাংশ কমিয়ে আনবে। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর নির্বাচনী প্রচারের সময় থেকেই প্যারিস জলবায়ু চুক্তির বিরোধিতা করে আসছিলেন। বিবিসি, রয়টার্স,এপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।