পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1719558536](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : রাজধানীর বনশ্রীতে গতকাল এক গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধারের পর তাকে হত্যার অভিযোগ এনে ওই বাড়িতে হামলার পাশাপাশি পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এ সময় উত্তেজিত জনতা গাড়িতে আগুন দেয়ার পাশাপাশি ভাংচুরও করে। যে বাড়িতে গৃহকর্মীর মৃত্যু হয়েছে বিক্ষোভকারীরা বনশ্রীর জি বøকের ৪ নম্বর রোডের ওই সাত তলা বাড়িটি ঘিরে রাখে পুলিশ। বাড়ির মালিক মুন্সী মইন উদ্দিন ও দারোয়ানকে পুলিশ আটক করেছে। মুন্সী মইন উদ্দিনের বাড়ির গৃহকর্মী লাইলী আক্তারকে (২৫) গতকাল শুক্রবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মইন উদ্দিন হাসপাতালে পুলিশের কাছে দাবি করেন, সকালে বাসায় কাজ করতে এসে একটি কক্ষে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন লাইলী। ডাকাডাকির পর দরজা না খোলায় বাড়ির ম্যানেজার এসে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়ানা প্যাঁচানো অবস্থায় লাইলীকে দেখতে পান। মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, লাইলীর গলায় কালো দাগ ছিল। শরীরের অন্য কোথাও আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। জানা গেছে, গৃহকর্মী লাইলী আক্তারকে কুপিয়ে হত্যার গুজব ছড়িয়ে পড়লে গতকাল বিকালে এলাকাবাসী ওই বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে ঢিল মারতে শুরু করে। তারা বাড়ির ফটক ভাঙার চেষ্টা করেন এবং সামনে থাকা একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, গাড়িতে আগুন দেয়ার খবর পেয়ে তাদের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু উত্তেজিত জনতা ফায়ার সার্ভিসের গাড়িকেও বাধা দেয়। পুলিশ ওই বাড়ির সামনে থেকে জনতাকে সরানোর চেষ্টা করলে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলতে থাকে। এক পর্যায়ে পুলিশ টিয়ার শেলও ছোড়ে। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। খিলগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পুরো ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত গৃহকর্মী মৃত্যু নিয়ে মন্তব্য করা সম্ভব নয়। তবে কারা গুজব ছড়িয়ে তান্ডব করেছে তা তদন্ত করা হচ্ছে। রামপুরা থানার এসআই শাহীন জানান, ময়না তদন্তের পর জানা যাবে লাইলীর মৃত্যু কিভাবে হয়েছে। লাইলীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে পাশের ভুঁইয়া পাড়ার বস্তির বাসিন্দারা এসে ওই বাড়িতে হামলার চেষ্টা করে। তারা কয়েকটি যানবাহনও ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে রামপুরা থানার পুলিশ ছাড়াও পাশের খিলগাঁও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। বস্তিবাসীদের অভিযোগ, লাইলীকে হত্যার পর ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। লাইলীর স্বামী নজরুল ইসলাম ভারতের কারাগারে বন্দি। তিনি বনশ্রীর পাশে সোহাগ কোম্পানি সংলগ্ন ভুইয়াপাড়া বস্তিতে এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার আজুয়াটালী গ্রামে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।