পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1719768056](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার
রাজধানীর বনশ্রীতে দুই শিশুসন্তান হত্যা রহস্যের ব্যাপারে ঘুরেফিরে একই কথায় অনড় তাদের অভিযুক্ত মা মাহফুজা মালেক জেসমিন। এদিকে তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, দুই ভাই-বোন খুনের রহস্য উদঘাটনে একটি বিশেষজ্ঞ দল জামালপুরে অবস্থান করছে। স্পর্শকাতর এ মামলাটির তদন্তভার পাওয়া ডিবির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আজ বুধবার নিহত দুই শিশুর মা রিমান্ডে থাকা জেসমিনকে আদালতে হাজির করা হবে। আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেয়ার জন্য বলা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দুই শিশুর মা মাহফুজা মালেক জেসমিনের বাবা, মা ও তার ভাই-বোনসহ পরিবারের সদস্যদের অতীত ও বর্তমান অবস্থা এমনকি বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদসহ তদন্ত করতে একটি বিশেষজ্ঞ দল সোমবার জামালপুরে গেছে। তারা সেখানে এ হত্যাকা-ের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করতে স্থানীয়দের সাথেও কথা বলবেন বলে জানা গেছে।
অপরদিকে দুই শিশুর পড়ালেখা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে জেসমিন তার দুই সন্তানকে হত্যা করেছেন বলে র্যাব যে দাবি করছে, তা জেসমিনের বোন আফরোজা মালেক মিলাও বিশ্বাস করতে পারছে না। এর নেপথ্যে অন্য কিছু আছে বলে তারা সন্দেহ করছেন। তিনি বলেছেন, আমার বোনের ছেলেমেয়েরা পড়ালেখায় অত্যন্ত ভালো ছিল। আমার আপার সুখী পরিবার ছিল। ওদের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক মধুর ছিল। আর আমার বোনের মানসিক কোনো সমস্যা থাকলে এত দিন আমরা টের পেতাম। তবে আমার মায়ের (জুলেখা বেগম) মানসিক সমস্যা ছিল। মাঝে মধ্যে ঘুম হতো না। এ জন্য মায়ের চিকিৎসাও করানো হয়েছিল। তবে এখন পর্যন্ত বোনের মধ্যে কোনো সমস্যা আমরা দেখতে পাইনি।
ডিবির পূর্ব বিভাগের এডিসি মো: নুরুন্নবী বলেন, দুই সন্তানকে হত্যার মামলাটি নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে ডিবি। যদিও আগ থেকেই আমরা মামলাটির ছায়া তদন্ত করছিলাম। এখন আরো গভীরভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ছায়া তদন্তের তথ্যের ভিত্তিতে এডিসি বলেন, সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার কারণেই তাদের হত্যা করা হয়েছে। কেন কী কারণে সন্তানদের প্রতি এতটা নিষ্ঠুর আচরণ করেছেন তা আরো নিবিড়ভাবে পরীক্ষা করে দেখা হবে। শুনেছি থানা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ঘুরেফিরে হত্যার কারণ সম্পর্কে একই কথা বলছেন মাহফুজা।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রামপুরা বনশ্রীর বি-ব্লকের ৪ নম্বর রোডের ৯ নম্বর বাড়ির পঞ্চম তলায় নিহত হয় আমান-জেসমিন দম্পতির দুই সন্তান অরণী ও আলভী। নিহত আলভী বনশ্রীর হলি ক্রিসেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের বাংলা বিভাগের নার্সারির ছাত্র ছিল। নুসরাত আমান অরণী ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।