মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক: পাকিস্তানের সাবেক সেনাশাসক পারভেজ মুশাররফ দাবি করেছেন, ‘সেনা সরকার দেশকে সঠিক পথে নিয়ে এসেছিলেন কিন্তু বেসামরিক সরকার সবসময় একে বিপথে নিয়ে গেছে’। তার দাবি, একনায়কদের কারণেই এশিয়ার দেশগুলোর অগ্রগতি হয়েছে। গত বুধবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি উর্দুকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানে সামরিক শাসনের পক্ষে অবস্থান নিয়ে এসব মন্তব্য করেন মুশাররফ।
১৯৯৯ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেসময়কার প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে অপসারণ করে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান শাসন করেন মুশাররফ। প্রায় এক দশক দেশ শাসন করা পারভেজ মুশাররফ ২০০৮ সালে ক্ষমতা ছাড়ার পর স্বেচ্ছা নির্বাসনে যান। চার বছর লন্ডন ও দুবাইয়ে কাটিয়ে ২০১৩ সালে নির্বাচনের আগে দেশে ফিরে বেশ কয়েকটি মামলার মুখে পড়েন তিনি। তার ওপর বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। বেলুচিস্তানের জাতীয়তাবাদী নেতা আকবার বাগতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজীর ভুট্টোকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ২০১৬ সালের মার্চে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দুবাইয়ের উদ্দেশে পাকিস্তান ছাড়েন মুশাররফ। এরপর আর দেশে ফেরেননি।
সাবেক এই সেনাশাসক বলেন, ‘যখনই দেশে সামরিক আইন জারি হয়েছে তা সময়ের প্রয়োজনেই হয়েছে। স্বৈরতন্ত্র, সাম্যবাদ, সমাজতন্ত্র কিংবা রাজতন্ত্র যাই থাকুক না কেন যতক্ষণ পর্যন্ত দেশ উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যায় ততক্ষণ জনগণ এ নিয়ে মাথা ঘামায় না।
একনায়কদের হাত দিয়েই সব এশীয় দেশের অগ্রগতি হয়েছে দাবি করে পারভেজ মুশাররফ বলেন, পাকিস্তানও সেনা সরকারের শাসনে সঠিক পথে ছিল, কিন্তু যখনই তারা ক্ষমতা থেকে সরে গেছে তখনই বেসামরিক সরকার দেশকে বিপথে নিয়ে গেছে।
সামরিক ও বেসামরিক সরকারের সময়ের কাজের রেকর্ডগুলো আলাদা আলাদা করে যাচাই করে দেখলেই তার দাবির সত্যতা পাওয়া যাবে বলে দাবি করেন সাবেক এ সেনাশাসক।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানায়, পাকিস্তানের সাবেক সেনাশাসক ফিল্ড মার্শাল আইয়ূব খানের প্রশংসা করেন মুশাররফ। তার দাবি, আইয়ূবের শাসনামলে পাকিস্তানের অনেক উন্নয়ন সমৃদ্ধি হয়েছে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ঢাকার পতনের জন্য পাকিস্তান পিপল’স পার্টির প্রতিষ্ঠাতা জুলফিকার আলি ভুট্টোকে দায়ী করেছেন মুশাররফ। অবশ্য, বাংলাদেশের কাছে পরাজয়ের জন্য জেনারেল ইয়াহিয়া খানকেও খানিক দায়ী করেছেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।