Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

যথাসময়েই অস্ট্রেলিয়া সিরিজ

| প্রকাশের সময় : ৪ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : যুদ্ধাবস্থা শেষে উড়ছে শান্তির সাদা পতাকা। চুক্তির সুবাতাস দোল দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের শান্তির পতাকায়। সাত সমুদ্র তের নদী পেরিয়ে সেই দোল লেগেছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের আঙিনাতেও। আছড়ে পড়ছে স্বস্তির ঢেউ। দুই পক্ষ ঐক্যমতে পৌঁছানোয় এই মাসেই অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফরে আসতে আর কোনো বাধা নেই।
সব শঙ্কা দূর হওয়ায় পরিকল্পনা অনুযায়ী বাংলাদেশ, ভারত ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ হবে জানান ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী জেমস সান্ডারলান্ড, ‘দুই পক্ষের অনেক আপসের ফসল আজকের এ চুক্তি। এটা দেশের ক্রিকেট নিয়ে সব ধরনের সংশয় দূর করেছে। বাংলাদেশ সফরসহ সব গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ হবে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী।’ সব মিলিয়ে খুশি খেলোয়াড়দের সংগঠনের এ প্রধান নির্বাহী, ‘যারা এখন খেলছে এবং ভবিষ্যতে খেলবে, ওইসব ছেলে ও মেয়ে ক্রিকেটারদের জন্য এসিএ খুশি।’
বিষয়টি নিয়ে ‘দুশ্চিন্তায়’ ছিল বিসিবিও। অবশেষে ঝামেলা মিটে যাওয়ায় অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের সঙ্গে স্বস্তি ফিরেছে বিসিবিতেও। প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী কাছে এটি যেমন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য দারুণ খবর। আমরা সবসময় চেয়েছি বিষয়টার যাতে সমাধান হয়। আর এটা শুধু ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার নয়, গোটা ক্রিকেট বিশ্বের জন্যই ভালো খবর।’ সঙ্গে যোগ করলেন, ‘আমরা ভীষণ খুশি। আর অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দলকে স্বাগত জানানোর জন্য আমরা প্রস্তুত।’ বিসিবি মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসের বক্তব্যও প্রায় একই, ‘আমরা খুবই আনন্দিত যে অস্ট্রেলিয়াকে স্বাগত জানাতে পারব। আমাদের জন্য এটা অনেক বড় সিরিজ, কারণ আমরা খুব বেশি টেস্ট খেলার সুযোগ পাই না। উপলক্ষ্যটা আরও বড় হয়েছে ঘরের মাঠে খেলব বলে।’
২০১৫ সালের অক্টোবরে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার। কিন্তু নিরাপত্তার অজুহাতে তারা আসেনি বাংলাদেশে। এমনকি ২০১৬ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলতেও দল পাঠায়নি তারা। এবারের সূচি চূড়ান্ত হওয়ার পর আবার ‘না আসার’ শঙ্কা জেগেছিল আর্থিক দ্ব›দ্ব বড় আকার ধারণ করায়। তবে বিসিবি বিষয়টা নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত ছিল না বলে জানিয়েছেন জালাল ইউনুস, ‘দুই দফা তারা আসেনি, তবে এবার আসছে। এটা অবশ্যই আমাদের জন্য অনেক বড় ব্যাপার। যদিও তারা অফিসিয়ালি কিছু বলেনি, কখনও নেতিবাচক কোনও ইঙ্গিতও করেনি। তাই আমরা বরাবরই আত্মবিশ্বাসী ছিলাম এই সিরিজটির ব্যাপারে।’
এমন সুসংবাদ পেয়ে খুশি বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমও। বলেছেন, ‘আমি সত্যিই রোমাঞ্চিত। এটা দারুণ খবর, শুধুমাত্র আমাদের ক্রিকেটই নয়, গোটা বিশ্ব ক্রিকেটের জন্যই ইতিবাচক খবর। আমি আগে কখনও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট খেলিনি। তাই একটু বেশিই রোমাঞ্চিত। তা-ও আবার ঘরে মাঠে!’
১৮ আগস্ট ঢাকায় পৌঁছানোর কথা অস্ট্রেলিয়া দলের। ২২ ও ২৩ আগস্ট একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচের পর মিরপুর ও চট্টগ্রামে হবে দুই টেস্ট। প্রথম টেস্ট শুরু হবে ২৭ আগস্ট, পরের টেস্ট ৪ সেপ্টেম্বর থেকে। তার আগে ১০ অগাস্ট থেকে প্রস্তুতি ক্যাম্প করবে তারা ডারউইনে। এখন ভালোয়, ভালোয় আর কোন উটকো নতুন ঝামেলা না পাকালেই হলো!



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ