মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : পিয়ংইয়ংয়ের অস্ত্র কর্মসূচী নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ গভীর হয়ে উঠেছে। উত্তর কোরিয়াকে থামাতে যুদ্ধের বিষয়টি বিবেচনার পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ কৌশল হিসেবে উত্তর কোরিয়ার প্রতি কিছুটা নমনীয় মনোভাবও প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। খবরে বলা হয়, কয়েকটি সুনির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা করতে চায় জানিয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বলেছেন, আমরা আপনাদের শত্রæ নই। যুক্তরাষ্ট্র সরকার উত্তর কোরিয়ার শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন করার চেষ্টা করছে না বলেও আশ্বস্ত করেছেন টিলারসন। গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংকালে টিলারসন এসব কথা বলেছেন। এর আগে রিপাবলিকান দলীয় এক জ্যেষ্ঠ সিনেটর জানিয়েছিলেন, অন্যতম বিকল্প হিসেবে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ করার কথাও বিবেচনা করছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পিয়ংইয়ং দাবি করেছে, তাদের সর্বশেষ পরীক্ষিত ক্ষেপণাস্ত্রটি যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলসহ দেশটির আরো ভিতর দিকে আঘাত হানতে সক্ষম। এ পরিস্থিতিতে টিলারসন বলেছেন, আমরা সরকার পরিবর্তন করতে চাইছি না, আমরা শাসনব্যবস্থাও পরিবর্তনেরও চেষ্টা করছি না, আমরা উপদ্বীপটির পুনরেকত্রীকরণ ত্বরান্বিত করারও চেষ্টা করছি না, যেকোনো ছুঁতায় ৩৮ প্যারালালের (দুই কোরিয়ার সীমান্ত) উত্তর দিকে আমাদের সামরিক বাহিনীও পাঠাতে চাইছি না। আমরা আপনাদের শত্রæ নই, আমরা আপনাদের জন্য হুমকি নই, কিন্তু আপনারা আমাদের অনবরত হুমকি দিচ্ছেন, যা গ্রহণযোগ্য নয় এবং যার জবাব আমাদের দিতে হবে। টিলারসন জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার মনোভাব পরিবর্তনে শান্তিপূর্ণ এই কৌশল বজায় রাখার পাশাপাশি অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাও কঠোর করা হবে। অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রকে ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লার মধ্যে আনার প্রচেষ্টায় উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচী অব্যাহত রাখলে দুদেশের মধ্যে যুদ্ধ বেধে যেতে পারে বলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাকে বলেছেন বলে জানিয়েছেন রিপাবালিকান দলীয় জ্যেষ্ঠ সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম। এনবিসি টেলিভিশনের এক টকশোতে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথোপকথনের কথা জানিয়ে গ্রাহাম বলেছেন, তিনি আমাকে একথা বলেছেন। আমি তাকে বিশ্বাস করি। (উত্তর কোরিয়াকে) থামাতে যুদ্ধ শুরু হলে, তা ওইখানেই হবে। যদি হাজার হাজার মানুষ মরে, তারা সেখানেই মরবে। তারা এখানে মরবে না। তিনি (ট্রাম্প) আমার মুখের সামনে একথা বলেছেন। উত্তর কোরিয়ার সা¤প্রতিক দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের মূলভূখন্ডে আঘাত হানার পিয়ংইয়ং-এর সক্ষমতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ গভীর হয়ে উঠেছে। এ ধরনের কোনো হামলা ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাবও দৃঢ় হয়ে উঠছে। এ কারণেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুদ্ধ নিয়ে সিনেটর গ্রাহামের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। পরিস্থিতি বিবেচনায় পেন্টাগনও সামরিক বিকল্প তৈরি রাখছে; কিন্তু জানিয়েছে, এ ধরনের যুদ্ধ সর্বনাশা হয়ে উঠতে পারে। এই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই টিলারসন বিকল্প প্রস্তাব রেখেছেন; তবে তা উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচী অব্যাহত রাখার অর্থে নয় বলে জানিয়েছে। বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।