নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : গত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমি-ফাইনাল শেষে রাতে হোটেলে ফিরছিলেন। হঠাৎই রুমের দরজায় ধাক্কা লাগে। তখন দৃশ্যমান হয়নি। পরে এতটাই ঝামেলা পাকাল সেই চোট যে ছোটখাটো অস্ত্রোপচার করাতে হলো। ফিটনেস ক্যাম্পের শুরুর দিকে তাই ছিলেন না রুবেল। পরে অবশ্য যোগ দিয়েছেন। এখন চলছে স্কিল ট্রেনিং। গতকাল সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানালেন, অনুশীলন করছেন পুরো দমে, ‘এখন সুস্থ পুরোপুরি। পুরো রান আপে বোলিং করেছি আজ। আগের দিন শর্ট রান আপে করেছিলাম, তবে ইনটেনসিটি হাই ছিল। আজকে (গতকাল) পুরো রান আপে করলাম। কোনো ধরনের কোনো ব্যথা অনুভব করিনি।’
শুরুর দিকটায় না থাকায় বেশ খানিকটা ক্ষতি হয়ে গেছে। ফিটনেস নিয়ে আরেকটু ঘাম ঝরানোর সুযোগ তো ছিলই, ওই সময় পাশাপাশি পেস বোলারদের নিয়ে আলাদা সেশন করেছেন বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ। রুবেল ছিলেন না সেসময়। তবে তার আশা, ঘাটতিটুকু পুষিয়ে নিতে পারবেন সামনের কদিনে, ‘এখনও অনেক দিন সময় আছে। যেহেতু কয়েকটা বোলিং সেশন মিস করেছি, সুযোগটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করব। যে কটা দিন অনুশীলন আছে, তার সঙ্গে মনোযোগ দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করব।’
কাজের বড় একটা অংশ জুড়ে থাকবে টেস্ট বোলিংয়ে উন্নতি। টেস্টের আঙিনায় ৮ বছর কাটিয়ে দিলেও রুবেলের বোলিং রেকর্ড মোটামুটি ভয়াবহ। ২৪ টেস্টে নিয়েছেন মাত্র ৩২ উইকেট। বোলিং গড় ৭৭.৯৩। কমপক্ষে ১৫ উইকেট নেওয়া বোলারদের মধ্যে রুবেলের গড় টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে।
সেই রুবেল বোলিং কোচ হিসেবে পেয়েছেন টেস্ট ইতিহাসের সফলতম বোলারদের একজনকে। রুবেলেরও চাওয়া, ওয়ালশকে সঙ্গে নিয়ে টেস্টে উন্নতির পথে হাঁটা, ‘টেস্ট ক্রিকেটে তার কাছ থেকে অনেক শেখার আছে। কারণ তার টেস্ট রেকর্ড অনেক ভালো। কিভাবে লাইন-লেংথে একটানা বোলিং করা যায়, কিভাবে উইকেট বের করতে হবে বড় বড় দলের সঙ্গে, এটা নিয়ে কাজ করব।’ বোলার রুবেলের জন্য এখন অবশ্য ব্যাটিং কোচও আছেন। প্রাথমিক ভাবে এক মাসের জন্য ব্যাটিং পরামর্শক হয়ে আসা মার্ক ও’নিলের মূল কাজ লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানদের নিয়ে কাজ করা। রুবেলও মুখিয়ে আছেন ব্যাটিং ঝালাই করে নিতে, ‘আমার সঙ্গে যদি একজন সেট ব্যাটসম্যান থাকে, তাকে সাপোর্ট করার জন্য কী করা উচিত, এটা নিয়ে কথা বলব। কোন পরিস্থিতিতে কী করতে হবে, এই ধরণের বাড়তি কিছু পরামর্শ নেওয়ার চেষ্টা করব।’
টেস্টে ব্যাট হাতে তার রানের গড় ৯.৫৬ করে। ২৪ টেস্ট খেলে ৪১ ইনিংস ব্যাট করে মোট সংগ্রহ ২২০ রান। সর্বোচ্চ অপরাজিত ৪৫। ওয়ানডেতে গড় আরও কম। মাত্র ৫.৫৫। ৭৭ ম্যাচের মধ্যে ব্যাট করতে হয়েছে ৩৮টিতে। সব মিলিয়ে রান ১০০। সর্বোচ্চ সংগ্রহ ১৭। টি-টোয়েন্টিতে গড় ৬.০০ করে। ১৪ ম্যাচে সাতবার ব্যাটিং করা লেগেছে। রান করেছেন ১২। সর্বোচ্চ অপরাজিত ৮।
রুবেল হোসেনের নামের পাশে ব্যাটিংয়ের এই পরিসংখ্যান লেখাটাই অবান্তর। কারণ তিনি ব্যাটসম্যান নন। তার নামের পাশে ব্যাটিংয়ের পরিসংখ্যান কেউ লিখতে যাবে না। কেউ হিসেবও করবে না। এটা দিয়ে তাকে বিচারও করা যাবে না। তাকে বিচারের মাপকাঠি- বল হাতে কেমন ছিলেন। কত উইকেট পেলেন, এসবই। ব্যাটিংয়ে উন্নতি হলে তো ভালোই, তবে দল তাকিয়ে থাকবে বোলার রুবেলের দিকে। গতিময় ও আগ্রাসী রুবেল যদি রঙিন পোশাকের মত কার্যকর হয়ে উঠতে পারেন সাদায়ও, দলের জন্য সেটি হবে বড় পাওয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।