রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
দাউদকান্দি (কুমিল্লা) উপজেলা সংবাদদাতা : আগামী নির্বাচনে ব্যাপক ভরাডুবির ভয়ে সরকার বেসামাল হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, এই অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় থেকে জনগণের আশা আকাংখা পূরণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। তাদের দূর্নীতি-দু:শাসনে জনজীবন নাভিশ্বাষ হয়ে উঠেছে। আ.লীগের প্রতি দেশের মানুষ এখন ত্যক্ত-বিরক্ত। জনগণ তাদেরকে আর ভোট দিবে না। সরকারী জরিপেও বলা হয়েছে, আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলে সারাদেশে আ.লীগের ব্যাপক ভরাডুবি হবে। তাই সরকার বেসামাল হয়ে পড়েছে। সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা রাজনৈতিক পরিবেশ উত্তপ্ত করতে প্রতিনিয়ত আবোল তাবোল বলছে। বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে, কাল্পনিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলছে। তাদের এইসব বক্তব্য বানোয়াট, অশালীন ও রাজনৈতিক শিষ্ঠাচারবর্জিত। প্রকৃতপক্ষে বেসামাল সরকারই আবারো ক্ষমতায় যেতে নানা ফঁন্দিফিকির ও দুরভিসন্ধি করছে। আ.লীগ আজীবন ক্ষমতায় থাকার জন্য তত্ত¡বধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে। ড. মোশাররফ হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে এই দেশে কোন নির্বাচন হবে না। নির্বাচন হবে নিরপেক্ষ সহায়ক সরকারের অধীনে। অ.লীগ আর ফাঁকা মাঠে গোল করতে পারবে না। বিনাভোটে তাদের ক্ষমতায় যাবার স্বপ্ন পূরণ হবে না। তাদের সকল ষড়যন্ত্র জনগণই প্রতিহত করবে। তিনি গতকাল সোমবার কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা সদরে বিএনপি’র নতুন সদস্য সংগ্রহ এবং নবায়ন কর্মসূচি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এইসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ড. মোশাররফ বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মারুফ হোসেন, দাউদকান্দি বিএনপির সভাপতি একেএম শামসুল হক, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম চেয়ারম্যান, পৌর বিএনপি’র সভাপতি দেলোয়ার হোসেন মিয়াজী, সিনিয়র সহ-সভাপতি নূর মোহাম্মদ সেলিম সরকার, সাধারণ সম্পাদক নূরুল আমীন নাঈম সরকার, দাউদকান্দি যুবদলের সভাপতি ভিপি জাহাঙ্গীর আলম ও ভিপি শাহাবুদ্দিন ভূঁইয়া এবং জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিনসহ দলের সিনিয়র নেতাদের সদস্যপদ নবায়ন এবং প্রচুর সংখ্যক নতুন সদস্য সংগ্রহ করেন।
ড. মোশাররফ বলেন, আ.লীগ ক্ষমতায় থেকে দুর্নীতি-দু:শাসন, বিরোধী মতকে দমন, দলীয়করণ, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সরকারী ব্যাংক এবং শেয়ার বাজার থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে। টেন্ডারবাজি, দখলবাজি, চাঁদাবাজি, খুন, গুম এবং অপহরন এখন নিত্যদিনের ঘটনা। এতে জনমনে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে। দফায় দফায় গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে জনজীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ নেই। কর্মসংস্থান নেই। অর্থনীতি স্থবির। রেমিটেন্সের প্রবাহ দিন দিন কমছে। সীমান্ত অরক্ষিত। আইনের শাসন নেই। আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। মানুষের জানমালের কোন নিরাপত্তা নেই। তারা গণতন্ত্রকে পাঠিয়েছে নির্বাসনে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আ.লীগ প্রার্থীদের জামানত রক্ষা করাই কঠিন হবে। বিএনপি’র এই নীতিনির্ধারক নেতা নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সহায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের আন্দোলনে অংশ নিতে জাতীয়তাবাদী আদর্শের পতাকাতলে সমবেত হওয়ার জন্য জনগণের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।
বিএনপি নেতা একেএম শামসুল হকের সভাপত্বিতে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি নেতা কাওসার আলম সরকার, যুবদল নেতা বাবুল মোল্লা, শরীফ চৌধুরী ও আলমগীর হোসেন সজীব, ছাত্রদল নেতা রোমান খন্দকার প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।