পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা, ময়মনসিংহ থেকে : বাংলাদেশে কোন মাদক তৈরি হয় না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেন, পাশের দেশ থেকে মাদক আসে। বন্ধু প্রতীম দেশ ভারতের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশে ফেন্সিডিল আসা কমিয়ে ফেলেছি। অন্যান্য যেসব মাদক আসে সেগুলোও বন্ধ করে দেয়া হবে।’
গতকাল রোববার দুপুরে ময়মনসিংহ নগরীর অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে মাদক বিরোধী বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, ময়মনসিংহ রেঞ্জ পুলিশ ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে এবং ময়মনসিংহ পৌরসভার পৃষ্ঠপোষকতায় এ বিভাগীয় সমাবেশের আয়োজন করা হয়। ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার জি.এম.সালেহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ধর্মমন্ত্রী প্রিন্সিপাল মতিউর রহমান, বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ এমপি, নাজিম উদ্দিন আহমেদ এমপি, সালাহউদ্দিন মুক্তি এমপি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: জামাল উদ্দিন আহমেদ, পুলিশের ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝি। গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য রাখেন দেশের বিশিষ্ট শিল্পপতি আমিনুল হক শামীম। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) খলিলুর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ ইসলাম, ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র মো: ইকরামুল হক টিটু, মহানগর আওয়ামীলীগ সভাপতি এহতেশামুল আলম, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল। মাদকের সমস্যা নিয়ে সারা দেশকে এক হয়ে কাজ করার আহবান জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদক প্রতিরোধে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ঘুরে বেড়াচ্ছি। জেলা, উপজেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে সমাবেশ করছি। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। মাদক প্রতিরোধে আমরা সব ধরণের প্রচেষ্টা নিয়েছি। ইয়াবার জন্য সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মাদকের ভয়ঙ্কর থাবা থেকে তরুণ ও যুবকদের রক্ষা করতে জনগণকে উদ্ধুদ্ধ ও সচেতন করতেও আমরা কাজ করছি, বলেন মন্ত্রী। মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে পরিবারের কর্তাদের ভূমিকার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ছেলে-মেয়েকে বুঝান, বুঝাতে চেষ্টা করেন। তাদেরকে সময় দিন। তাদের কথা শুনুন। বাবা-মাকে সন্তানের প্রতি নজর দিতে হবে। ঐশির কথা মনে আছে। সে মাদকে আক্রান্ত হয়ে বাবা মাকে হত্যা করেছিল। কাউকে আর ঐশি হতে দিতে চাই না। অভিভাবকরা কথা বলুন, সন্তান প্রতিবেশীর সঙ্গে। জনগণ সচেতন না হলে সব আইন বৃথা হয়ে যাবে। প্রতিদিন লাখ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করা হচ্ছে। প্রতি সপ্তাহে লক্ষ লক্ষ ইয়াবা ধ্বংস করছি, এমনটি জানিয়ে মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদের সম্পর্কে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীকে নির্ভয়ে তথ্য দিন। ফোনে অভিযোগ করুন। নাম-পরিচয় গোপন রাখা হবে। মাদক ব্যবসায়ীরা সমাজপতি, প্রভাবশালী হলেও কোন ছাড় নেই। এটা প্রধানমন্ত্রীর ওয়াদা। আমরা সেইভাবে কাজ করছি। ১০ বছর আগে ধূমপানের বিরুদ্ধে সংগ্রামের উদাহারণ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ওই সময় আমরা জনগণকে বুঝাতে জনগণকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছিলাম। এ কারণে ক্রমাগতভাবে ধূমপায়ীর সংখ্যা কমছে। প্রকাশ্যে কেউ ধূমপান করে না। সবাই সচেতন হলে মাদকের ভয়াল থাবা থেকেও নিস্তার মিলবে।
মাদক প্রতিরোধে মসজিদের ইমামদের নামাজের আগে অন্তত এক মিনিট মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলার আহবান জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, আপনারাও ভূমিকা নিন, বুঝাতে চেষ্টা করুন, মাদক ধর্মে নিষেধ। দেখবেন যুব সমাজ মাদক বর্জন করবেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।