পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সিলেবাসে পুণরায় হিন্দুত্ববাদ ঢুকানোর চক্রান্ত বরদাশত করা হবে না। সিলেবাস ও শিক্ষানীতি প্রণয়ণ কমিটি থেকে বামপন্থী নাস্তিকদের অবিলম্বে বহিস্কার করতে হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের কার্যনির্বাহী সভাপতি হাফেয মাওলানা আব্দুস সাত্তার, সেক্রেটারী মাওলানা আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, মাওলানা শওকত আলী শেখ ছিলিমপুরী ও মাওলানা শহীদুল ইসলাম গতকালএক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন। বিবৃতিতে তারা বলেন, গত ২৭ এপ্রিল ইসলামবিদ্বেষী বামপন্থী নাস্তিক্যবাদী শিক্ষাবিদদের সাথে বৈঠক করে শিক্ষামন্ত্রীর নেতৃত্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয় পাঠ্যপুস্তক থেকে পুণরায় ইসলামী চেতনা সম্বলিত গল্প, প্রবন্ধ, কবিতা বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিগত পাঠ্যসূচীর রামায়ণ কাহিনী, পাঠা বলীর নিয়ম, হিন্দুদের তীর্থস্থান ভ্রমণসহ অন্যান্য হিন্দুত্ববাদী পাঠসমূহমুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদেরপড়াতে চূড়ান্ত করা হয়েছে। ইসলামী চেতনারপ্রবন্ধ-কবিতা বাদ দিতে বাংলা বইয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে নাস্তিকদের মুক্তমনা বøগের অন্যতম সংগঠক ইসলামবিদ্বেষী কট্টর বামপন্থী শ্যামলী নাসরীন চৌধুরীকে। প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী বিগত হিন্দুত্ববাদী ও নাস্তিক্যবাদী পাঠ্যসূচী পূণঃর্বহাল করে পান্ডুলিপি প্রস্তুত সম্পন্ন হয়েছে।এসবইশিক্ষাবিদ নামধারী বামপন্থী নাস্তিক্যবাদী হিন্দুত্ববাদীদের চক্রান্ত। উদ্দ্যেশ্য হচ্ছে, দেশবাসী মুসলমানদেরকেসরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলা ও দেশকে অস্থিতিশীল করা।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হওয়ার পরও পাঠ্যপুস্তকে যৎসামান্য ইসলামী চেতনা সম্বলিত প্রবন্ধ থাকায় ইসলামবিদ্বেষী বামপন্থী ও মিডিয়াগুলো আপত্তি তুলেছে। অথচ ভারত তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হওয়ার পরও পশ্চিমবঙ্গের পাঠ্যপুস্তকে মুসলিম লেখকদের গল্প-কবিতা স্থান পায় না। পশ্চিমবঙ্গের তৃতীয় শ্রেণীর বাংলা পাঠ্যবইয়ের মোট ২১টি পাঠ্যে লেখক-কবির নাম উল্লেখ আছে, যার ১০০% হিন্দু ধর্মাবলম্বী। অথচ পশ্চিমবঙ্গে মুসলিম জনসংখ্যা ৪০%-এর উপরে। মুসলিম কবি-সাহিত্যিকেরও অভাব নেই সেখানে। আর বাংলাদেশের ক্ষেত্রে তা সম্পূর্ণ উল্টো। মুসলিমপ্রধান বাংলাদেশে ২০১৭ সালের সংশোধিত ১ম থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত বাংলা বইয়ে ১৭৭টি গদ্য-পদ্যের লেখকদের মধ্যে ৭২ জন হিন্দু ৩৮ জন নাস্তিক মিলে মোট ১১১ জনই হিন্দু ও নাস্তিক লেখক। যা শতকরা গড়ে ৬২.৭১ ভাগ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, শিক্ষামন্ত্রী তার বামপন্থী চেতনা বাস্তবায়নে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ দপ্তরগুলোকে বামপন্থী নাস্তিক্যবাদী ও হিন্দুত্ববাদীদের আখড়ায় পরিণত করেছেন। সিলেবাস ও শিক্ষানীতি প্রণয়ণ কমিটিতে ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিকদের ঢুকিয়েছেন। মুসলমানদের শিক্ষা ব্যবস্থা ইসলামবিদ্বেষী বামপন্থী নাস্তিকদের হাতে তুলে দিয়েছেন। শিক্ষানীতি ও সিলেবাস প্রণয়ণে আলিম-ওলামাদের রাখার দাবিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়েছেন। পাঠ্যসূচীতে সাধারণ বানানের সংশোধন করলেও পবিত্র আয়াত শরীফ, হাদীছ শরীফের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে ২৪টি ভুল থাকলেও কোনো সংশোধন করেননি। ২০১৭ সালের সংশোধিত পাঠ্যসূচিতেও হিন্দুত্ববাদ বহাল রাখা হয়েছে।
অবিলম্বে এসব চক্রান্ত বন্ধ করতে হবে। সিলেবাস ও শিক্ষানীতি প্রণয়ণ কমিটি থেকে জাফর ইকবাল, শ্যামলী নাসরিনদের মতো বামপন্থী নাস্তিকদের অবশ্যই বাদ দিয়ে আলেম ওলামাদের ঢুকাতে হবে। মুসলমানদের শিক্ষা ব্যবস্থা ইসলামবিদ্বেষীদের হাত থেকে উদ্ধার করতে হবে। শিক্ষানীতি ও সিলেবাস নিয়ে হিন্দুত্ববাদী যেকোন চক্রান্ত প্রতিহত করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।