Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসকন মুসলমানদের মসজিদ ও সনাতন হিন্দুদের মন্দির দখল ও ধর্মীয় উসকানিতে ব্যস্ত -আওয়ামী ওলামা লীগ

| প্রকাশের সময় : ৩ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম


স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সনাতন হিন্দুবিরোধী সংগঠন ইসকনের অন্যতম কাজ হচ্ছে সনাতন হিন্দুদের মন্দীর ও মুসলমানদের মসজিদ দখল ও ধর্মীয় উসকানি দেয়া। আষাঢ় মাসের শুক্ল পক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে রথযাত্রার নিয়ম থাকলেও সংগঠনের নেতারা তাদের মর্জি মাফিক মুসলমানদের ঈদের দিন বা পূর্ব দিনে রথযাত্রা অনুষ্ঠান করে সাম্প্রদায়িক উসকানি দেয়।
এবারও ইদুল ফিতরের পূর্বদিন রথযাত্রা বের করে জাতীয় মসজিদ বাইতুল মুকাররমের সামনে এসে উদ্দেশ্যমূলক অঙ্গভঙ্গি, চেঁচামেচি এবং হই-হুল্লোড় করে ও উচ্চ আওয়াজে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে উসকানি দেয়। ইসকনের  অপর একটি অপকর্ম হচ্ছে ইসকনের প্রভাবিত সংগঠন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, হিন্দু মহাজোট, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-আদিবাসী পার্টিসহ আরো কিছু সংগঠনের মাধ্যমে ইসলাম ও দেশবিরোধী বক্তব্য ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে সাম্প্রদায়িক উসকানি দেয়ানো এবং এদেশে রামরাজত্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে উদ্ভট দাবি দাওয়া উত্থাপন করা। যেমন হিন্দুদের জন্য চাকরিতে ২০ শতাংশ কোটা, সংসদে হিন্দুদের জন্য ৬০টি সংরক্ষিত আসন, উপ-রাষ্ট্রপতি ও উপ-প্রধানমন্ত্রীর পদ সৃষ্টি, সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠনের মতো ইত্যাদি উদ্ভট দাবি। যদিও জনসংখ্যার অনুপাতে তারা মাত্র শতকরা ৫ ভাগের কম। শুধু তাই নয়, এরা পরিকল্পিতভাবে রাসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং ইসলাম নিয়ে কটাক্ষ করে। নিম্ন বর্ণের হিন্দুদের দিয়ে সম্ভ্রান্ত মুসলিম মেয়েদের ধর্ষণের ঘটনা ঘটাচ্ছে। যাদেরকে দিয়ে এসব অপকর্ম করানো হচ্ছে তাদের অধিকাংশই ইসকন সদস্য। (পরবর্তী প্রতিবেদনে নাম ঠিকানাসহ এসব তথ্য প্রকাশ করা হবে যা সংরক্ষিত আছে।) আর এদের এসব অপকর্মের পেছনে মদদ দিচ্ছে ইহুদী এজেন্ট এবং বাংলাদেশে ইসকনের পরিকল্পনাকারীরা। উইকিপিয়া এবং রাধাগোবিন্দএনওয়াইসি.কম (http://www.radhagovindanyc.com/about/srila-prabhupada/)
আলহাজ মাওলানা মুহম্মদ আখতার হুসাইন বুখারী, আলহাজ কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, আলহাজ হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার, মাওলানা মুহম্মদ শওকত আলী শেখ ছিলিমপুরী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ গতকাল এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, উল্লেখিত সূত্রমতে ইসকন সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের কোন সংগঠন নয়। এটা হিন্দু বেশধারী একটি ইহুদী সংগঠন। বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক প্রধানদের কথা, বাংলাদেশে ‘র’ বইয়ের ১৭১ পৃষ্ঠায় লেখা আছে “ইসকনের সদর দপ্তর ভারতের নদীয়া জেলার পাশে মায়াপুরে। এই সম্প্রদায়ের প্রধান কাজ হচ্ছে বাংলাদেশে উস্কানীমূলক হিন্দুদের অনুষ্ঠান পালন করা, উদ্দেশ্য হচ্ছে, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি। ইসকনের প্রতিষ্ঠা ভারতে নয়, ১৯৬৬ সালে আমেরিকার নিউইয়র্কে। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা হলেন অভয়চরণাবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ। তিনি ভারতের কোন হিন্দু শিক্ষালয়ে লেখাপড়া করেননি। তিনি লেখাপড়া করেন নিউইয়র্কে খ্রিস্টান চার্চে। পেশায় তিনি ছিলেন ফার্মাসিউটিক্যাল ব্যবসায়ী। ভারতে তার ইসকন সংগঠনকে প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে প্রথমেই বাধা দিয়েছিলো, ভারতের সনাতন হিন্দুরা (যারা বিভিন্ন দেবদেবীর পূজা করে)। ভারতে ইসকন প্রতিষ্ঠাকালে সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের বাধার সময় স্বামী প্রভুপাদের পক্ষে কাজ করেছিলো জে. স্টিলসন জুডা, হারভে কক্স, ল্যারি শিন ও টমাস হপকিন্স-এর মত চিহ্নিত ইহুদী-খ্রিস্টান এজেন্টরা।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ইসকন একটি উগ্র সাম্প্রদায়িক সংগঠন। এই সংগঠনটির মূল উদ্দেশ্য মধ্যযুগের শ্রী চৈতন্য থেকে আগত। চৈতন্যের অন্যতম থিওরী বা নীতি হচ্ছো- “নির্যবন করো আজি সকল ভুবন”। যার অর্থ- সারা পৃথিবীকে যবন মানে মুসলমান মুক্ত করো। (বাংলা দেশের ইতিহাস (মধ্য যুগ), পঞ্চম সংস্করণ, পৃষ্ঠা ২৬২)। উল্লেখ্য, ইসকন শিব দেবতাকে দেখতেই পারে না। ইসকনের বই পত্রে আত্মা, পরকাল, পুনজন্ম নিয়ে একটি আলাদা ধারণা দেয়া হয়েছে যেটা সনাতন ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক। যেমন ইসকনিদের মতে যেসব হিন্দু কালী ভক্ত বা লোকনাথ ভক্ত তারা কোনদিন ও স্বর্গে যেতে পারবে না। তারা বারবার কেবল পুনজন্ম নিবে। বাংলাদেশে অনলাইন অফলাইন উভয় প্লাটফর্মে হিন্দু মুসলিম বিভেদ বা সাম্প্রদায়িক উসকানির হোতা হচ্ছে ইসকন। এটা প্রমাণ করে যে ইসরায়েলী ইহুদীদের টাকায় পরিচালিত সংগঠন ইসকনের মূল কাজ হচ্ছে বাংলাদেশে দাঙ্গা সৃষ্টি করা। উগ্র সংগঠন ইসকন কর্তৃক বিভিন্ন ধর্ম বর্ণের মানুষের মাঝে সা¤প্রদায়িক উসকানি দিয়ে দাঙ্গা লাগানোর নমুনা হচ্ছে, বাংলাদেশে সনাতন মন্দিরগুলো দখল করা এবং সনাতনদের তাড়িয়ে দেয়া। যেমন স্বামীবাগের মন্দিরটি আগে সনাতনদের ছিলো, পরে ইসকনরা কেড়ে সনাতনদের ভাগিয়ে দেয়। এছাড়া পঞ্চগড়েও সনাতনদের এলাকা ছাড়া করে ইসকনরা। ঠাকুরগাঁও-এ সংঘর্ষ বাধিয়ে সনাতন হিন্দুকে হত্যা করে মন্দির দখল করে ইসকন। এছাড়া গতবছর সিলেটের জগন্নাথপুরে সনাতনদের রথযাত্রায় হামলা চালিয়েছে ইসকন (সূত্র-http://goo.gl/XwkLvm,http://goo.gl/7hegYE)। এছাড়া বাংলাদেশে মসজিদে সা¤প্রদায়িক হামলা করা এদের অন্যতম লক্ষ্য। দুই বছর পূর্বে ঢাকাস্থ স্বামীবাগে মসজিদে তারাবীর নামাজ বন্ধ করে দিয়েছিলো ইসকন। নামাজের সময় ইসকনের গান-বাজনা বন্ধ রাখতে বলায় তারা পুলিশ ডেকে এনে তারাবীর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। পরে বিষয়টি নিয়ে সংঘর্ষ হয়। সিলেটেও গত বছর অনুরুপ ঘটনা ঘটিছিলো সিলেট শহরের ইসকন মন্দিরের কাছে কাজল শাহ এলাকার একটি জামে মসজিদে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, এছাড়াও রয়েছে বাংলাদেশে বিভিন্ন সা¤প্রদায়িক সংগঠন। যেমন- জাতীয় হিন্দু মহাজোট, জাগো হিন্দু, বেদান্ত, ইত্যাদি তৈরী করে ইসকনের উগ্রহিন্দুত্ববাদের বিস্তৃতি ঘটানো। বর্তমান অনলাইন জগতে যেসব ধর্ম অবমাননা করা হচ্ছে তার অধিকাংশই ইসকন সদস্যদের অপকর্ম। সিলেটে রাগীব রাবেয়া মেডিক্যালে কলেজ ইস্যুর পেছনে রয়েছে ইসকন। ইসকন আড়াল থেকে পুরো ঘটনা পরিচালনা করে এবং পঙ্কজগুপ্তকে লেলিয়ে দেয়। পঙ্কজগুপ্ত জমি পাওয়ার পর সেই জমি নিজেদের দখলে নিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইসকন। বর্তমানে বিচারবিভাগে ইসকনের প্রভাব মারাত্মক বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম কারণ খোদ প্রধান বিচারপতিও একজন ইসকন সদস্য। ((http://goo.gl/g3w0KK))।২০১২ সালে ঠাকুরগাঁওয়ে সনাতনী মন্দির দখল করে নেয়ায় ইসকনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছিলো। সূত্র: http://archive.is/JbP922015 সালে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ছনহরা এলাকায় বর্তমান ইসকন পরিচালিত বাসুদেব মুকুন্দ ধাম মন্দির দখল করার জন্য পার্শ্ববর্তী সুজন শেখর দত্তের মাধ্যমে হামলা করে এ মন্দির দখল করেছে। http://archive.is/svfYW তাই বাংলাদেশে যদি এখনই ইসকনকে নিষিদ্ধ না করা হয়, তবে বাংলাদেশের জন্য বড় ধরনের বিপদ অপেক্ষা করছে, যেই অপেক্ষায় বাংলাদেশ স্বাধীনতা হারালেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।



 

Show all comments
  • ২৯ জুলাই, ২০১৮, ১:০৫ পিএম says : 1
    আগে ওদের কি কি কাজ করে ঐটাই দেখা উচিত৷ তৎসহ ওদের কাজের সাথে এই প্রতিবেদন মেলানো দরকার
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আওয়ামী ওলামা লীগ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ