পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : পানামা পেপার্স কান্ডে নওয়াজ শরীফের দৃষ্টান্ত মেনে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংহেরও ইস্তফা চাইলেন রাহুল গান্ধী। পানামা পেপার্সে ফাঁস হওয়া নথি অনুসারে রমন সিংহের ছেলে অভিষেকেরও বিদেশে সম্পত্তি আছে বলে গত বছর অভিযোগ করেছিল কংগ্রেস।
গতকাল কংগ্রেস সহ-সভাপতি বলেন, নওয়াজ শরীফ পানামা পেপার্স কেলেঙ্কারিতে তার নিজের ও পরিবারের নাম ওঠায় ইস্তফা দিয়েছেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংহের পরিবারের নামেও পানামা পেপার্সে অভিযোগ উঠলেও তিনি এখনও সে পথে হাঁটেননি, কেননা তিনি আরএসএসের লোক আর আরএসএস, বিজেপি দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয়।
রমন সিংহ ও তার ছেলে রাজনন্দনগাঁওয়ের নির্বাচিত বিজেপি এমপি অবশ্য অনেক আগেই পানামা পেপার্সে তাদের নামে অভিযোগ থাকার দাবি অস্বীকার করেছেন। কংগ্রেসের তোলা দুর্নীতির অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’, ‘প্রমাণিত নয়’ বলে জানিয়ে দিয়েছেন তারা।
প্রসঙ্গত, পানামা পেপার্সে ১ কোটির বেশি দুর্নীতি সংক্রান্ত নথি ফাঁস হয়েছে। ২ লাখের বেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত তথ্য রয়েছে সেই নথিতে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ উপেক্ষা করে যাচ্ছেন বলেও দুদিনের ছত্তিশগড় সফরে এসে অভিযোগ করেন রাহুল।
বলেন, মোদীজী দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কথা বলেন, কিন্তু ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রীর দুর্নীতি দেখতে পান না। দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও, কিন্তু তা নিয়ে কিছু বলেন না মোদীজী।
নাগারনার এলাকায় এনএমডিসি-র ইস্পাত কারখানার প্রস্তাবিত বিলগ্নিকরণের বিরুদ্ধে বস্তার জেলার কাছে আদিবাসী গ্রাম মার্কেলে এদিন প্রতিবাদ সমাবেশ হয়। সেখানেই ভাষণ দেন রাহুল। বলেন, এই প্রথম দেখছি, দেশের একটি ইস্পাত কারখানা বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। আরএসএস, বিজেপির লোকজন আদিবাসীদের উন্নয়ন চায় না। তারা চায়, আদিবাসীরা বড় শহরে ধনীদের দাসে পরিণত হোক। আদিবাসীদের জমি কেড়ে নিয়ে শিল্পপতিদের দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
রাহুলের দাবি, ২০০৪ সালে টাটা স্টিল বস্তারে কারখানা গড়বে বলে জমি নেয়, পরে তারা সেই পরিকল্পনা বাতিল করে। কিন্তু অধিগৃহীত জমি মালিকদের ফেরৎ দেওয়া হয়নি। সূত্র : এবিপি আনন্দ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।