মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : সউদী আরবের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের ছোড়া একটি ব্যালিস্টিক মিসাইল তারা মক্কা নগরীর ৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে ভূপাতিত করেছে। সউদী বাহিনী বলছে, মিসাইলটি পবিত্র শহর মক্কাকে লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছিল। তবে হুতিরা জানিয়েছে, মিসাইলটি মক্কার কাছে তায়েফ শহরে অবস্থিত সউদী বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছিল। মুসলমানদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র এই শহরে এখন হজ উপলক্ষে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হতে শুরু করেছেন। হুতিরা এখন ইয়েমেনে সউদী নেতৃত্বাধীন বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে যে, সউদী নেতৃত্বাধীন বাহিনীর পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হজ বানচাল করার লক্ষ্যে শিয়া হুতিদের একটি মরিয়া চেষ্টার অংশ হিসেবে মিসাইলটি ছোড়া হয়েছে। আগামী মাসের শেষের দিকে বাৎসরিক হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। হুতি বিদ্রোহীরা এর আগেও সউদী আরবের ভেতরে মিসাইল ছুড়েছিল এবং বলা হয়েছিল, এর কোন কোনটি মক্কার দিকে তাক করেই ছোড়া হয়েছিল। গত অক্টোবর মাসে হুতিরা একটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে, যা মক্কার কাছে ভূপাতিত করা হয়। সউদী আরবের উপসাগরীয় মিত্ররা ঐ হামলার নিন্দা জানিয়েছিল। কিন্তু নতুন হামলাটি হজের আগে একটি হুমকি হিসেবে মনে করা হচ্ছে, কারণ বিশ লক্ষের মতো মানুষ এ সময় মক্কা নগরীতে জমায়েত হওয়ার কথা রয়েছে।
হুতি বিদ্রোহী এবং তাদের সহযোগী - যারা সাবেক প্রেসিডেন্ট আলী আবদুল্লাহ সালেহ’র প্রতি অনুগত ইয়েমেনী সেনাবাহিনীর প্রাক্তন সদস্য - তারা দুই বছর আগে সউদী আরবের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক হামলা শুরু করে। ২০১৫ সালের মার্চে প্রেসিডেন্ট আব্দেরাব্বো মনসুর হাদির সমর্থনে সউদী নেতৃত্বাধীন জোট ইয়েমেনে অভিযান শুরু করে। মি. হাদির অভিযোগ যে বিদ্রোহীদের সমর্থন দিচ্ছে ইরান। সউদী আরব ও তার মিত্ররা এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার পর এখন পর্যন্ত আট হাজারের বেশী মানুষ মারা গেছে, আহত হয়েছে ৪৪ হাজার ৫শ’।
জাতিসংঘ বলছে, বিশ লাখেরও বেশী ইয়েমেনী শিশু ‘চরম পুষ্টিহীনতায়’ ভুগছে, আর যুদ্ধ, ক্ষুধা ও কলেরার কারণে দেশটিতে ত্রাণের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। সউদী আরবের মিত্ররা বলছে, সর্বশেষ মিসাইল আক্রমণ প্রমাণ করছে যে হোদেইদা বন্দরে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং ঐ বন্দর দিয়ে মানবিক সাহায্য ও বাণিজ্যিক কার্গো আনার যে অনুমতি দেয়া হয়েছিল, তার অপব্যবহার হচ্ছে। তারা বন্দরটির নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহŸান জানায়। তবে তারা এর দায়িত্ব নিয়ে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। সউদীরা প্রাই অভিযোগ করে যে, হুতি বিদ্রোহীরা অস্ত্র চোরাচালান করছে, তবে হুতিদের পক্ষ থেকে ঐসব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। সূত্র : এসপিএ, এএফপি ও বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।