Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

দাবানল ধোঁয়ায় বিপর্যস্ত ফ্রান্স-ইন্দোনেশিয়া

| প্রকাশের সময় : ২৯ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : দাবানল ও ধোঁয়ার আস্তরণে ইন্দোনেশিয়া ও ফ্রান্সের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে হাসপাতালগুলোয় শিশুদের ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া তীব্র ধোঁয়ার কারণে শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা নিতে শত শত মানুষ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েছেন। অন্যদিকে ফ্রান্সের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সৃষ্ট দাবানল থেকে নিরাপদে রাখতে এক রাতের মধ্যেই ১০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। গত সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ার প্রায় ৩৫টি স্থানে দাবানলের কারণে ৭০ হেক্টরের মতো বনভূমি পুড়ে যাওয়া ছাড়াও আচেহ প্রদেশের কৃষিজমিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে দেশটির জাতীয় দুর্যোগ সংস্থা। সংস্থাটির মুখপাত্র সুতপো পূর্ণ এ প্রসঙ্গে জানান, এ দাবানল মানবসৃষ্ট। প্রথাগত পদ্ধতিতে আগুনের মাধ্যমে জমি পরিষ্কারের কারণে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। অধিবাসীদের এভাবে জমি পরিষ্কারে বারবার সতর্ক করা সত্তে¡ও তা সাধারণত মেনে চলা হয় না। বিশেষ করে গ্রীষ্মের সময় দাবানলের আশঙ্কা থাকে সবচেয়ে বেশি। এদিকে দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি সতর্ক করে বলেছে, শুষ্ক মৌসুমে সৃষ্ট দাবানল কয়েক মাসব্যাপী স্থায়ী হতে পারে। প্রতি বছরই দাবানলের কারণে সৃষ্ট ধোঁয়া ইন্দোনেশিয়াবাসীর জীবন বিপর্যস্ত করে তোলে। পামগাছ রোপণে জমি পরিষ্কারের জন্য বনে আগুন দেয়া হয়। এদিকে ফ্রান্সের আল্পস প্রদেশে সৃষ্ট দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনতে শত শত দমকল কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। এর আগে দাবানল নিয়ন্ত্রণে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) প্রতিবেশীদের কাছে আরো সাহায্য চেয়েছিল ফ্রান্স। দাবানলে দেশটির ভূমধ্যসাগর উপকূলীয় এলাকাজুড়ে চার হাজার হেক্টর এলাকা পুড়ে গেছে, এর মধ্যে মূল ভূখÐের পার্বত্য এলাকা ও কর্সিকা দ্বীপের অংশ রয়েছে। ফ্রান্সের এক দমকল কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দাবানলের কবল থেকে রক্ষা করতে অন্তত ১০ হাজার অধিবাসীকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। কর্সিকা থেকে বাসিন্দাদের অন্যত্র নেয়া হয়েছে। দুই এলাকা মিলিয়ে চার হাজারেরও বেশি দমকল কর্মী সোমবার থেকে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এ পর্যন্ত অন্তত ১২ জন দমকল কর্মী আহত হয়েছেন এবং ১৫ জন পুলিশ কর্মকর্তা ধোঁয়ায় শ্বাসরোধজনিত অসুস্থতার শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।রয়টার্স, বিবিসি, এএফপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ