পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কান্নাকাটি আর নালিশ ছাড়া বিএনপির রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচি এ মুহুর্তে নেই। ঈদের আগে বেগম খালেদা জিয়া ঈদ পরবর্তী দুর্বার আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। সে আন্দোলন এখন লন্ডনে স্বেচ্ছা নির্বাসনে। আন্দোলনের কোনো খবর নেই। তিনি বলেন, এখন আর সংবিধান সংশোধন করার কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার তো থাকবেই। শেখ হাসিনা সরকার সহায়ক সরকার হিসেবে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা দেবে।
গতকাল বুধবার দুপুরে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভোগড়া বাইপাস মোড়ে বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন দরকার। নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ হলে নির্বাচনও নিরপেক্ষ হবে। সরকারের দায়িত্ব এ ক্ষেত্রে সহযোগিতা করা। তিনি বলেন, বিএনপির সহায়ক সরকারের দাবি মানার কোনো সুযোগ নেই। সংবিধান অনুযায়ীই আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি আরো বলেন, বিএনপি আসলে ভয় পায় এদেশের জনগণকে। নির্বাচনে হেরে যাবে ভেবে এখন নানাভাবে নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করার খেলায় মেতে উঠেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত মহাসড়ক সম্পর্কে সড়কমন্ত্রী বলেন, এবার প্রবল বর্ষণে কোনোভাবেই রাস্তা ঠিক রাখা যাচ্ছে না। ভারী যানবাহনে সারাদেশেই রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা জরুরিভাবে নির্দেশ দিয়েছি আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা সার্বক্ষণিক রাস্তায় থাকবেন। এ মুহুর্তে আমাদের একটাই এজেন্ডা সেটা হলো রাস্তাকে পাসেবল ইউজেবল ও সচল করে রাখা।
তিনি আরও বলেন, রাস্তায় যে বড় বড় গর্ত হয়েছে গর্তগুলো ভরাট করতে হবে এবং রাস্তা থেকে যেন পানি সরে যায় সে ব্যাপারে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে হবে। কোনো অবস্থাতেই রাস্তা বন্ধ থাকবে না। ইঞ্জিনিয়ারদের প্রয়োজনে ২৪ ঘণ্টা রাস্তায় থাকতে হবে। এটাই আমার নির্দেশ। এটা বলতেই আমি এসেছি।
পরিদর্শনকালে মন্ত্রীর সঙ্গে সওজের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান, গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী ডিএকেএম নাহীন রেজা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ডিসিরা মন্ত্রীর পেছনে ছুটলে কাজ করবে কখন
কোনো এলাকায় মন্ত্রীর সফরের সময় জেলা প্রশাসকদের সারাক্ষণ মন্ত্রীর সঙ্গে থাকার প্রয়োজন মনে করছেন না সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তার মতে, জেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা মন্ত্রীর পেছনে ব্যস্ত হয়ে পড়লে অন্য কাজের ক্ষতি হয়।
তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন গত বুধবার সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সপ্তম কার্য-অধিবেশনে এমন মন্তব্য করেন সড়ক পরিবহন ওসতু মন্ত্রণালয় মন্ত্রী। জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ভিআইপিদের নিয়ে ব্যস্ত না থাকার উপর জোর দিয়েছেন তিনি। চট্টগ্রাম, সিলেট ও খুলনায় অসংখ্য ভিআইপি যায়, প্রটোকল ম্যাজিস্টেট যেতে পারে, ডিসি-এসপি যদি মন্ত্রীর পেছনে এত ছোটাছুটি করে, তাহলে কাজ করবে কখন? ডিসিদের অনেক কাজ থাকে। দেশে অনেক সমস্যা, তারা অফিসে ফাইল ওয়ার্ক কখন করবে, আর কখন তারা জনগণের কথা শুনবে। এখানে জনস্বার্থ বিঘিœত হয়। আমি বলেছি, কেবিনেট সচিববের মাধ্যমে আপনার বিষয়টি একটু রিভিও করে বিবেচনা করুন ডিসি-এসপির উপস্থিতি মাস্ট হবে কেন, অন্য কেউ তো যেতে পারে। মন্ত্রী গেলে মন্ত্রীর সাথে দেখা করবে, এটি নিয়ম; কিন্তু সারাক্ষণ মন্ত্রীর সাথে থাকার প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, কোনো এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা, নসিমন-করিমন বন্ধে কোনো রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হলে তা সরাসরি ফোন দিয়ে জানাতে ডিসিদের বলেছেন তিনি। কাদের বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশা, নসিমন, করিমন, ভটভটি ২২ সড়কে নিষিদ্ধ করেছি। বেশকিছু জায়গায় বাস্তবায়ন হয়েছে ভালোই, কিছু কিছু জায়গায় বাস্তবায়ন বাধাগ্রাপ্ত হচ্ছে বা বাস্তবায়িত হচ্ছে না। কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হচ্ছে, রাজনৈতিক নেতা বা জনপ্রতিনিধিরা বাধা দেন। আমি রুলিং পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি বলছি, কেউ যদি বাধা দেয়, সরাসরি আমাকে জানাবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।