Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্রেক্সিটোত্তর বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য

ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত নতুন বাণিজ্য চুক্তি করতে পারবে না ব্রিটেন

| প্রকাশের সময় : ২৬ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ব্রেক্সিট-পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তির রূপরেখা দাঁড় করাতে কাজ শুরু করেছে ব্রিটেন। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য-বিষয়ক সেক্রেটারি লিয়াম ফক্স ওয়াশিংটন পৌঁছেছেন। দুদিনের যুক্তরাষ্ট্র সফরে তিনি বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সেক্রেটারির সঙ্গে আলোচনা করবেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বেরিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত নতুন করে কোনো দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সই করতে পারবে না ব্রিটেন। ফলে কোন কোন পরিসরে সম্ভাব্য চুক্তিগুলো সম্পন্ন হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন লিয়াম ফক্স। দেশটির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বাণিজ্যিক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকেও সতর্ক করে বলা হয়েছে, তড়িঘড়ি করে চুক্তি সম্পন্ন করতে চাইলে তা সবার জন্য ঝুঁকি হয়ে উঠতে পারে। এ বিষয়ে নিশ্চয়তা দিয়ে লিয়াম ফক্স জানিয়েছেন, উভয়ের ব্যবসায়িক ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরো মজবুত করতে কোন খাত নিয়ে চুক্তি করা যায়, তা নিয়েই আলোচনা করা হবে। ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের এ সম্পর্কের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে, তা নিশ্চিত হতেই এ বৈঠক। বর্তমানে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বছরে ১৫ হাজার কোটি পাউন্ডের বাণিজ্য সম্পন্ন হয়। ২০১৫ সালে যুক্তরাজ্যে মোট ১২ হাজার ৩৫০ কোটি ডলারের পণ্য ও সেবা রফতানি করেছে যুক্তরাষ্ট্র; যা আগের বছরের তুলনায় ৪ শতাংশ বেশি। যুক্তরাজ্যে অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে একক বৃহত্তম উৎস হিসেবে দেখা হয়। একে অন্যের অর্থনীতিতে একত্রে এ পর্যন্ত প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। কিন্তু এর পরেও উভয় দেশের বাণিজ্যিক কার্যক্রমে কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে; যা দূর করতে পারলে বার্ষিক বাণিজ্য আরো ৪ হাজার কোটি ডলার বাড়বে। ব্রিটিশ চেম্বার অ্যান্ড কমার্সের (বিসিসি) মহাপরিচালক অ্যাডাম মার্শাল বলেন, ৪০ বছর ধরে আমরা ইইউকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তি সম্পন্ন করে আসছি। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, ইইউ থেকে বের হওয়ার আগেভাগেই চুক্তি নিয়ে বৈঠক হলে যুক্তরাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতে পারে, তারা যুক্তরাষ্ট্রকে জটিল ও কঠিন আলোচনার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তবে দুপক্ষের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধি নিয়ে যদি আলোচনা করা হয়, তাহলে একে স্বাগত জানাব আমরা। টিইউসি ও ইউনাইটের মতো শ্রমিক সংগঠনগুলোও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তি প্রসঙ্গে যুক্তরাজ্যের তাড়াহুড়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। টিইউসির প্রধান ফ্রান্সেস ও’গ্রেডি গার্ডিয়ানকে জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এতটা তাল না রেখে ইইউর সঙ্গে সম্ভাব্য সেরা বাণিজ্যিক চুক্তির ওপরই সবচেয়ে গুরুত্ব দেয়া উচিত। চলতি মাসের শুরুর দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে তারা দ্রæত ‘শক্তিশালী’ বাণিজ্যিক চুক্তি সম্পন্নের প্রত্যাশা করছেন। একই সময়ে ব্রিটেনের এক সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ব্রেক্সিট-পরবর্তী বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কাজ সম্পন্নে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়ার বিষয়ে একমত হয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও প্রধানমন্ত্রী টেরিসা মে। বিবিসি. পলিটিকস হোম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ব্রিটেন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ