Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাহমুদউল্লাহর এক দশক

| প্রকাশের সময় : ২৬ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশ এখন অনেক পরিণত
স্পোর্টস রিপোর্টার : তার শুরুটা হয়েছিল ২০০৭ সালের ২৫ জুলাই, কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে। সময়ের ডানায় চড়ে গতকাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০ বছর পূর্ণ করলেন বাংলাদেশ দলের অন্যতম ব্যাটিং ভরসা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। গেল ২৩ তারিখ মিরপুর শেরে-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফিটনেস ক্যাম্পে অনুশীলন করতে গিয়ে কোমরে ব্যথা পেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দ্রæতই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তবে বাসায় ফিরে ভালো অনুভব করছেন এই ক্রিকেটার। রিয়াদের ইনজুরি তাই দুশ্চিন্তার ভাঁজ তেরী করেছিলো সমর্থকদের মনে। গতকাল মিরপুর স্টেডিয়ামে বিসিবির ফিজিও বায়েজিদ ইসলামের কাছে গিয়েছিলেন রিয়াদ। সুখের কথা শুনিয়েছেন বায়েজিদও। নিজের বর্তমান জানিয়ে রিয়াদ বলেন, ‘আমি মিরপুরে বায়েজিদ ভাই (ফিজিও) এর কাছে গিয়েছিলাম। তিনি বলেছেন আমার নড়াচড়া আগের থেকে ভালো। আমারো নিজেরো তাই মনে হচ্ছে। ইনশাআল্লাহ কিছুদিনের মধ্যে আমি পুরোপুরি ফিট হয়ে যাবো।’
কথা প্রসঙ্গে তাই বারবার এল দশকপূর্তি। মাইলফলক স্পর্শ করল ক্যারিয়ারের পথচলা, তাই অসুস্থতা নিয়েও দাবি মেটালেন সংবাদমাধ্যমের। শোনালেন তৃপ্তির কথা। জানালেন আশার বাণী, ‘ভালো লাগছে। বাংলাদেশের জার্সি গায়ে ১০টা বছর পার করলাম। ১০ বছরে যে অভিজ্ঞতা অর্জিত হয়েছে, সেটা জাতীয় দলে কাজে লাগানোটাই বড় ব্যাপার। চেষ্টা করব আরও বেশ কয়েক বছর যাতে পারফর্ম করে যেতে পারি।’
এই মুহূর্তে ক্রিকেট দুনিয়ায় অন্যতম অভিজ্ঞ এক দল বাংলাদেশ। ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত রেকর্ড অন্তত সেটিই জানাচ্ছে। মাশরাফি বিন মুর্তজা, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল কিংবা মাহমুদউল্লাহ- এঁরা সবাই জাতীয় দলের হয়ে খেলছেন ১০ বছর কিংবা এর চেয়েও বেশি সময় ধরে। বাংলাদেশ দলের এই পাঁচ সিনিয়র ক্রিকেটারের ঝুলিতে সম্মিলিতভাবে ২২১টি টেস্ট, ৮৫০ ওয়ানডে আর ২৮৬ টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচের অমূল্য অভিজ্ঞতা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই পাঁচ ক্রিকেটার বাংলাদেশের জন্য ‘ম্যাচ উইনার’ হিসেবেই নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এই ক্রিকেটাররাই যে বাংলাদেশের বড় শক্তি, এটা মানেন সবাই। মাহমুদউল্লাহও বললেন, বাংলাদেশের বড় শক্তি এর অভিজ্ঞতা, ‘মাশরাফি ভাই, সাকিব, তামিম, মুশফিকও ১০ বছর পূর্ণ করেছে। আশা করছি, তারা আরও অনেক দিন খেলবে। এই ক্রিকেটারদের অভিজ্ঞতার কারণে আমাদের দলটা খুব ভালো। এটি আমার ব্যক্তিগত ক্যারিয়ারের একটা ইতিবাচক দিক। আমি মনে করি, এতে আমার দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেছে।’
বাড়তি দায়িত্বটা যে অনেক চ্যালেঞ্জিং, সেটা জানেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু লক্ষ্যপূরণটা যেভাবেই হোক করতে চান দলের ব্যাটিংয়ের অন্যতম এই ভরসা, ‘আসলে ১০ বছরে যে অভিজ্ঞতা, সেটা কাজে লাগানোই আসল। প্রতিটি দিনই চ্যালেঞ্জিং, থিতু হওয়া যায় না। যত দিন যাবে, আপনাকে নিয়ে প্রতিপক্ষ দলগুলো তত বেশি গবেষণা করে ফেলবে। তবে আমি মানসিকভাবে আগের চেয়ে অনেক বেশি গোছালো। এটা বুঝতে পারি আমার শক্তি আছে। এগুলো নিয়ে আমি সব সময় কাজ করি। আমি জানি, কষ্টের কোনো বিকল্প নেই। এটা ধরে রাখাই জরুরি।’
আগামী মাসে অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফরে আসার কথা। এরপরেই দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাবে বাংলাদেশ। এই দুই সিরিজকে কেন্দ্র করে চলছে টাইগারদের অনুশীলন ক্যাম্প। সেখানেই কোমরে ব্যথা পান রিয়াদ। ইনজুরিতে পড়ার পর আর অনুশীলনে যোগ দেন নি রিয়াদ। সুস্থ হবার পর পুরোপুরি অনুশীলন শুরু করবেন তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ