Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ট্রাম্প প্রশাসনে পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে দ্বিধাবিভক্তি স্পষ্ট হয়ে উঠছে

| প্রকাশের সময় : ২৬ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক নেতৃস্থানীয় কর্মকর্তাদের মধ্য হতাশা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। বেশ কিছু নীতি নিয়ে দ্বিধাবিভক্তি ও আমলাতান্ত্রিক পরাজয়ের পর তাদের অনেকেই কাজের ক্ষেত্রে স্বাধীনতার অভাবকে দায়ী করছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ফলে পররাষ্ট্র নীতি নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনে দ্বিধাবিভক্তি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের গতানুগতিক নেতৃত্ব এবং আমেরিকাই প্রথম- নীতি নিয়ে নতুন প্রশাসনের আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে, এ কারণে পররাষ্ট্রনীতি এবং সরকারে কর্মরত পেশাদার গোয়েন্দাদের দায়িত্ব পালনে সমস্যা হচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রী রেক্স টিলারসন তার বন্ধুদের বলেছেন, এক বছর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে যেতে পারলে তিনি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করবেন; অন্যদিকে জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা এইচ আর ম্যাকমাস্টার গুরুত্বপূর্ণ নীতি নিয়ে হোয়াইট হাউজের ভেতরকার অসংগঠিত ও বিশৃঙ্খল অবস্থা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। পরিস্থিতিঘনিষ্ঠ এক সূত্র বলেছে, টিলারসন নিজ বিভাগের ওপর পূর্ণ কর্তৃত্ব, স্বাধীনতা ও স্বশাসনের অধিকার না পেয়ে এবং যেভাবে গতানুগতিক উপায়ে কাজ হচ্ছে তাতে খুবই অসন্তুষ্ট। তবে এখনই পদত্যাগের চিন্তা করছেন না পররাষ্ট্র মন্ত্রী; যদিও পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হচ্ছে না, বরং কোনো কোনো ক্ষেত্র অবনতিই ঘটছে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছে সূত্রটি। তবে টিলারসনের মুখপাত্র আর সি হ্যামন্ড টিলারসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেয়ার চিন্তা এবং হতাশা বৃদ্ধির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। দায়িত্বে থাকার মতো অসংখ্য কারণ আছে তার আর এর সবগুলোই আমেরিকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের জন্য আমেরিকার নেতৃত্বের খুবই প্রয়োজন, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এখন সেদিকে মনোনিবেশ করছেন, বলেছেন হ্যামন্ড। নীতি বিষয়ে গত সপ্তাহে টিলারসনের বড় ধরনের জয় হয়েছে বলে মনে করছে রয়টার্স; যখন অনিচ্ছা সত্তে¡ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন স্বীকার করে যে- ইরান ২০১৫ সালে হওয়া ছয়জাতি চুক্তি মেনে চলছে, যে চুক্তিতে পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করার বিনিময়ে তেহরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি ছিল। তবে এ নিয়ে ট্রাম্প, তার প্রধান কৌশলবিদ স্টিভ বেনন এবং জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সেবাস্টিয়ান গোরকার অপ্রকাশ্য সমালোচনায় টিলারসন বেশ হতাশ হয়েছেন বলে অন্য এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন। রয়টার্স।



 

Show all comments
  • Md taher ২৬ জুলাই, ২০১৭, ১১:০১ এএম says : 0
    No coments
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ