পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ে অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজে পরীক্ষার রুটিনের দাবিতে আন্দোলনে পুলিশের কাঁদানে গ্যাসের সেলে চোখে আঘাত পাওয়া সিদ্দিকুর রহমানকে প্রয়োজনে সরকারি খরচে বিদেশ পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল সোমবার রাজধানীর চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ভর্তি সিদ্দিকুরকে দেখতে গিয়ে এ কথা জানান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ওবায়দুল কাদের।
গতকাল সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে সিদ্দিকুরকে দেখতে হাসপাতালে যান ওবায়দুল কাদের। তিনি হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে থাকা সিদ্দিকুরের মাথায় হাত বুলিয়ে তাকে সান্তনা দেন। সিদ্দিকুর সেদিনের ঘটনা মন্ত্রীর কাছে বর্ণনা করেন। তিনি অবস্থান করেন মিনিট দশেক। এ সময় তিনি আরও জানান, সিদ্দিকুরের চিকিৎসার দায়িত্ব তার নিজের এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের।
গত বৃহস্পতিবার সাত সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় অবস্থান নিয়ে তাদের দাবি জানাতে থাকে। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে আগাতে চাইলে বাধা দেয় পুলিশ। তারা বিনা উষ্কানিতে ছাত্রদের লাঠিপেটার পাশাপাশি কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর কাছ থেকে ছোড়া কাঁদানে গ্যাসের সেল গিয়ে আঘাত হানে সরকারি তিতুমীর কলেজের ছাত্র সিদ্দিকুরের দুই চোখে।
প্রথমে সিদ্দিকুরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাকে নেয়া হয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে। সেখানে শনিবার তার চোখে অস্ত্রোপচার করা হয়। ইনস্টিটিউটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ইফতেখার মো. মুনির জানান, বাঁ চোখের এক পাশ থেকে আলো দেখছেন সিদ্দিকুর রহমান। তবে ডান চোখে তিনি দেখছেন না।
ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদেরকে বলেন, সিদ্দিকুরকে সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে বিদেশে পাঠানো হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সিদ্দিকুরের চিকিৎসার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং সিদ্দিকুরের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিতে প্রধানমন্ত্রী তাকে পাঠিয়েছেন।
পুলিশের অতিরিক্ত বল প্রয়োগ চেষ্টা কারণে সিদ্দিকুর আহত হয়েছেন-এই বক্তব্যের বিপরীতে মন্ত্রী বলেন, বিষয়টি তদন্তে পুলিশের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে ওই প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এ সময়ে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. দীপক কুমার নাগ, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চন্দ্র শেখর মন্ডল, প্রচার সম্পাদক সাইফ উদ্দিন বাবু, ক্রীড়া সম্পাদক চিন্ময় রায়, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাকিল হোসাইন শুভ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।