মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : বর্তমানে শাসনক্ষমতায় থাকা হামাসের সঙ্গে এক চুক্তি সম্পাদনের মধ্য দিয়ে পৃথিবীর সবথেকে বৃহত্তম কারাগারখ্যাত গাজা উপত্যকায় সীমান্ত অবরোধের অবসান এবং অর্থনীতির পুনর্জাগরণ ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন গাজার সাবেক শাসক এবং ফিলিস্তিনের নির্বাসিত রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ দাহলান। প্রতিদ্বন্দ্বী সংগঠন হামাসের সঙ্গে আলোচনাধীন একটি বিদ্যুৎ বিনিময় চুক্তি নিয়ে প্রথমবারের মতো সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সাবেক ফাতাহ নেতা দাহলান এ কথা জানিয়েছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে টেলিফোনে মার্কিন বার্তা সংস্থা এপির কাছে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সম্ভাব্য চুক্তির বিস্তারিত প্রকাশ করেছেন তিনি। চুক্তিটি পরিচিতি পেয়েছে দাহলান-হামাস চুক্তি নামে।
দাহলান-হামাস চুক্তির লক্ষ্য হলো সীমান্ত অবরোধের অবসান এবং গাজার অর্থনীতির পুনর্জাগরণ। রবিবার (২৩ জুলাই) মার্কিন সংবাদ সংস্থা এপিতে প্রকাশিত ওই সাক্ষাৎকারে দাহলান জানান, চুক্তিটি একসময় অচিন্তনীয় ছিল।তা আবার আলোচনায় এসেছে গাজায় নতুন করে নির্বাচিত হামাস নেতা ইয়েহিয়ে সিনওয়ারের সঙ্গে তার সম্পর্কের কারণে। তিনি জানান, এ দুই নেতা গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিস শরণার্থী শিবিরে বড় হয়েছেন। পরে তারা ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের দুই প্রতিদ্ব›দ্বী সংগঠন হামাস ও ফাতাহতে যোগ দেন। তিনি বলেন, “আমরা দুইজনই উপলব্ধি করেছি গাজার জন্য সমাধান খুঁজে বের করার সময় এসেছে।”
২০০৭ সাল থেকে ইসরায়েল গাজার ওপর কঠোর অবরোধ আরোপ করে রেখেছে। আর সেকারণে গাজা থেকে বাইরের জগতের সঙ্গে এই রাফাহ সীমান্ত দিয়ে যোগাযোগ করা ছাড়া আর কোনও পথ নেই। গাজাবাসীর জন্য বহির্বিশ্বে যাতায়াতের জন্য রাফাহ সীমান্তই একমাত্র পথ যা ইসরায়েলের ভূখÐের মধ্যে পড়ে না। এপির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত দশক ধরে অবরোধের কারণে খুব খুব হঠাৎ হঠাৎই রাফাহ সীমান্ত খোলা পাওয়া গেছে। সা¤প্রতিক বছরগুলোতে অবরোধের পাশাপাশি যোগ হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার ঘটনা। খুব স¤প্রতি দেখা গেছে গাজাবাসীকে দৈনিক ২০ ঘণ্টা বিদ্যুৎবিহীন থাকতে। বিদেশে পড়াশোনা, কাজ করা এবং চিকিৎসা নিতে যাওয়ার জন্য অনেক গাজাবাসীই এখন অপেক্ষায় আছেন। তাই রাফাহ সীমান্ত খুলে দেওয়ার অর্থ অনেকটা সারা পৃথিবীকেই গাজাবাসীর জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, চুক্তিটি বাস্তবায়িত হলে আগস্টের শেষ নাগাদ মিসর-গাজা সীমান্ত খুলে যাওয়ার আশা প্রকাশ করেন দাহলান। এ চুক্তির মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট কমে যাবে বলেও মনে করেন তিনি। সাবেক এ ফাতাহ নেতা জানান, চুক্তি অনুযায়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য ১০০ মিলিয়ন ডলার তহবিল সংগ্রহের কাজ শেষ হয়েছে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতই এ অর্থের যোগান দিচ্ছে।
সূত্র : রয়টার্স
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।