Inqilab Logo

বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজনীতি করতে সাহস থাকা উচিত

তারেক রহমানকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের

| প্রকাশের সময় : ২৪ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে বিএনপি নেতাদের আরো সাহস থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরবিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে তিনি বলেন, তারেক রহমানের ব্যাপারটা হচ্ছে, তিনি মামলার মুখোমুখি হচ্ছেন না। সাড়ে আট বছর ধরে তিনি দেশের বাইরে আছেন। আমার মনে হয় রাজনীতি করতে হলে তার সাহস থাকা উচিৎ। তিনি আরও বলেন, রাজনীতি করতে হলে মামলা আসবে, সেগুলো মোকাবেলা করতে হবে। সরকারে থেকেও অনেকে মামলার আসামি হয়েছে। দেশের মধ্যে মামলা আসবে মামলা; মোকাবিলা করবেন। জনগণই বিচার করবে তার ব্যাপারে জনগণের সিদ্ধান্ত কি? তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক, সেখানে জনগণ বিচার করবে কাকে জয়ী করবে।
গতকাল রবিবার সকালে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উপলক্ষে তাৎক্ষনিক রেজিষ্ট্রেশন প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাজনৈতিক আক্রমন পাল্টা আক্রমন থাকেই। এটার মধ্যে শালীনতা থাকা উচিত। ব্যক্তিগত আক্রমন থেকে বিরত থাকা উচিৎ। আমরা প্রতিপক্ষকে আক্রমন করবো রাজনৈতিকভাবে। কিন্তু ব্যক্তিগত আক্রমনটা শোভন নয়। এবং ব্যক্তিগত আক্রমন থেকে, বিদ্বেষমূলক উস্কানিমূলক বক্তব্য থেকে আমাদের সবার বিরত থাকা উচিত এবং তাতে পরিবেশটা ভালো থাকবে।
রাজনীতিতে লেভেল প্লেইং ফিল্ড নেই বিএনপির পক্ষ থেকে এম অভিযোগের জবাবে কাদের বলেন, লেভেল প্লেইং ফিল্ডের কথা বলছেন, তারা নিজেরাই যদি মুখের কথায় পরিবেশটাকে বিষাক্ত করে তোলেন, তাহলে লেভেল প্লেইং ফিল্ড কিভাবে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি একটা বড়দল। তাদেরকে বাদ দিয়ে আমরা নির্বাচন করবো, ফাঁকা মাঠে গোল দিব এরকম চিন্তা আমাদের নেই। আমরা চাই বিএনপিও নির্বাচনে আসুক, তারাও রাজনীতি করুক, তারাও নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করুক। একটি ইনক্লোসিভ নির্বাচন হোক। সকল দলের অংশগ্রহনে নির্বাচন হোক, এটা সরকারি দল হিসেবে আমরাও চাই।
সরকারের অর্থ ব্যয় করে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা নির্বাচনী প্রচার-প্রচারনা চালাচ্ছেন বিএনপির পক্ষ থেকে এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কাদের বলেন, নির্বাচনের তো এখনও শিডিউল ঘোষনা হয়নি। আমি মনে করি ইলেকশন যখন শুরু হবে তখন কে কতটুকু সুবিধা পাবে, কে কতটুকু সুবিধা পাচ্ছে সেটা দেখা উচিত।
তিনি বলেন, নির্বাচনের পরিবেশটা ভোটারদের ভোট দেয়ার অনুকুলে কিনা এবং বিরোধী দল প্রচার প্রচারনায় সুবিধা পাচ্ছে কিনা। নির্বাচনে অংশগ্রহনকারী দল হিসেবে সেটা আমাদের দেখতে হবে। এখন সরকার কোথাও দ্রæত যাবে, যেমন রাঙ্গামাটিতে একটা ঘটনা ঘটেছে সেখানে দ্রæত যেতে হবে। সেখানে এখন রাস্তা ঘাটের সব পথ বন্ধ সেখানে কি আকাশ পথে যাওয়া, হেলিকপ্টারে যাওয়া কি অপরাধ ?
বিএনপির সমালোচনা করে সরকারের সড়কপরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, সরকার তার সচিব পরিবর্তন করবে সেটা প্রশাসনিক। এটা নিয়ে যদি বিরোধীদল কথা বলেন এটা তো পজেটিভ নয়। এধরণের কথা বললে দেশ চালানো যাবে না। বিএনপিও তো ক্ষমতায় ছিল। আমরাতো বলিনি, সচিব কেন রদবদল হয়েছে। সচিব রদবদল হবে। রিসাফলিং, সাফলিং আসে এটা চলতেই থাকবে। সেটা নিয়েও তারা কথা বলছে।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪দলীয জোটে শরিক দল বাড়বে পারে কিনা জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের যেটা নিয়ম, আমরা সরকারে। আমাদের সঙ্গে আছে চৌদ্দ দলীয় জোটও এখানে আছে। তারপর আমাদের সরকারে জাতীয় পার্টিও আছে। জাসদ আছে ওয়ার্কার্স পার্টি আছে।
কাদের বলেন, এখন নির্বাচনের আরও দেড় বছর বাকি আছে, এসব বিষয় গুলো আরো পরে হবে। এখন জোটের মধ্যেও ভাঙ্গা গড়া; কে কোথায় যায়, শেষ কথা বলার সময় এখনো আসেনি। জোট শেষ পর্যন্ত কোন রূপ নিবে সেটা দেখার বিষয়। সেটার জন্য আরো অপেক্ষা করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের উদ্দেশ্যটা হচ্ছে আমরা উইনেবল প্রার্থীকে মনোনয়ন দেব। অন্যান্য শরিকদের মধ্যে প্রার্থী যদি দূর্বল হয় তা হলে আমরাতো প্রতিদ্ব›িদ্বতায় হেরে যাবো। উইনেবল ক্যান্ডিডেট আমাদের জোটের যে দলেই থাকে তাকে আমরা মনোনয়ন দেব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ওবায়দুল কাদের


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ