Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আমরা তো পাগল হয়ে যাইনি : ড. কামাল হোসেন

| প্রকাশের সময় : ২৩ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : জনগণ ক্ষমতার পরিবর্তন চায় দাবি করে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ে জনগণ উদ্বিগ্ন। দেশের মানুষ এখন ক্ষমতার পরিবর্তন চায়। গতকাল দলের বর্ধিত সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিজের অবস্থানের কারণে আওয়ামী লীগের সমালোচনার জবাবে তিনি বলেন, শুধু আমার একার যুক্তি ছিল না, আরও সাতজন সিনিয়র ল’ইয়ার আমার সঙ্গে একমত হয়েছেন, সাতজন জাজ পুরো একমত হয়ে রায়টি দিয়েছেন। আমরা তো সবাই পাগল হয়ে যাইনি। ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সস্টিটিউট সেমিনার হলে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে দলের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মন্টু, মফিজুল ইসলাম খান কামাল, আলতাফ হোসেন, খালেকুজ্জামান, জগলুল হায়দার আফ্রিক, আ ও ম শফিক উল্লাাহ, মোশতাক আহমদ, সাইদুর রহমান সাইদ প্রমূখ।
ড. কামাল হোসেন বলেন, বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের হাতে থাকা উচিত নয়। প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রীকে সংসদ অভিশংসন করতে পারে। এ ক্ষেত্রে ‘সংবিধানের ব্যালান্সে’ আঘাত আসে না। বিচার বিভাগের স্বাধীনতার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বুঝতে হবে। বিচার বিভাগ হলো সংবিধানের অভিভাবক। বিচার বিভাগকে রেফারির ভূমিকা দেওয়া হয়। অন্য অঙ্গগুলো ক্ষমতার লঙ্ঘন করলে একজনকে সিটি বাজাতে হবে। লাল কার্ড দেখাতে হবে। কোনো কোনো এমপি অভিযোগ করেছিলেন, ড. কামাল হোসেন বিচার বিভাগ ও আইনসভার মধ্যে দূরত্ব তৈরি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চান। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ড. কামাল হোসেন বলেন, এসব কথা বলাও উচিত না, শোনাও উচিত না। নির্বাচন কমিশনের রোডম্যাপ ঘোষণা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সবাই প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন চায়। যাঁরা তদারক করবেন, তাঁদের নিরপেক্ষভাবে ভূমিকা পালন করতে হবে। দুই পক্ষ আছে। কাউকে ‘ফাউল’ বিচার করতে হবে। বিচার যিনি করবেন, তাঁকে নিরপেক্ষ হতে হবে। তার মানে কি আপনি বলছেন, নির্বাচনকালীন সরকার নিরপেক্ষ হতে হবে? এই প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল বলেন, আমি এ পর্যন্ত থেমে যেতে চাই। নির্বাচন কমিশন যে নিরপেক্ষ থাকতে হবে, তাতে কোনো রকম দ্বিমতের অবকাশ নাই। ইসি আলোচনায় ডাকলে যাবো। আলোচনার অপেক্ষায় আছি। আলোচনা হলে সেখানে নির্বাচনব্যবস্থা নিয়ে প্রস্তাব দেব। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকশ করে তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, শিক্ষাব্যবস্থাসহ বিভিন্ন বিষয়ে গণফোরামের সভায় উদ্বেগ জানানো হয়েছে। সভা মনে করে, মানুষ দেশের বর্তমান অবস্থার পরিবর্তন চায় এবং গণতন্ত্র, আইনের শাসনের পক্ষে ঐক্য চায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ড. কামাল হোসেন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ