পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদকে দেয়ার বিধান কার্যকর হলে দেশের বিচার বিভাগ ও সংবিধানের অপূরণীয় ক্ষতি হবে বলে মন্তব্য করেছেন সংবিধান প্রণেতাদের অন্যতম সিনিয়র আইনজীবী ড. কামাল হোসেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদকে দেয়ার বিধান কার্যকর হলে দেশের বিচার বিভাগ ও সংবিধানের অপূরণীয় ক্ষতি হবে। এক মিনিটেই ক্যাবিনেটে আইন পাস করলে হবে না। যদি জনমত উপেক্ষা করে করা হয়, তবে তার ফল ভালো হবে না।
সরকারকে হুশিয়ারি দিয়ে বঙ্গবন্ধু সরকারের সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান সরকারকে যেমন আমরা পরাজিত করেছি। তেমনি সংবিধানকে অমান্য করে পাশ কাটিয়ে যারা দেশ চালাতে চায় তাহলে তারা মনে হয় ভুল করছে। সরকার তো নির্বাচিত নয়, এরপরও তারা নিজেদের নির্বাচিত দাবি করেও কলমের খোঁচায় জনগণকে সংবিধানের মৌলিক অধিকার বঞ্চিত করতে পারে না। এই সংবিধানকে আমরা অর্জন করেছি লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে। তিনি বলেন, সংবিধানকে পাশ কাটিয়ে কেউ পার পায়নি, এখনো পাবে না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, সরকার বিচারক অপসারণে যে আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় পাস করেছে, সেটি বিচার বিভাগের জন্য মারাত্মক হুমকির কারণ। এই আইনের ফলে বিচারকরা সব সময় আতঙ্কে থাকবেন। ক্ষতিগ্রস্ত হবেন প্রকৃত বিচার প্রার্থীরা। এই আইন প্রণয়ন না করে যোগ্য বিচারক নিয়োগে আইন করা দরকার।
তিনি আরো বলেন, সরকার বিচারক অপসারণের যে আইন করছে, সেটিতে তিন সদস্যের কমিটির শুনানিতেই বিচারককে অপসারণ করার সুযোগ রয়েছে। কমিটির দুজন-একজন সাবেক প্রধান বিচারপতি ও অ্যাটর্নি জেনারেল, আরেকজন মান্যগণ্য ব্যক্তি। তাহলে বোঝাই যাচ্ছে এটি সরকারের আজ্ঞাবহ কমিটি। তাহলে তো যে কোনো অভিযোগেই বিচারককে অপসারণ সহজে করা সম্ভব হবে। এই সরকারের ধারাবাহিকতায় আগামীতে যে সরকার আসবে সেই সরকারও সেই পথে চলবে, যেটি বিচার বিভাগের জন্য ক্ষতিকর।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. কফিল উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অভিষেক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এস এম জাহেদ বীরু।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।