Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আমি ষড়যন্ত্রের শিকার -ইউএনও গাজী তারেক সালমান

ইউএনও গ্রেফতারের ঘটনায় বিস্মিত প্রধানমন্ত্রী

| প্রকাশের সময় : ২২ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বিকৃত করে কার্ড ছাপানোর অভিযোগে একজন আগৈলঝাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী তারেক সালমানকে গ্রেফতারের ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বরিশালের আগৈলঝাড়ার ইউএনও থাকাকালে যারা আমাকে দিয়ে অন্যায় কাজ করাতে পারেননি, সেই প্রভাবশালীরাই আমার বিরুদ্ধে মামলা করিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বরগুনার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজী তারেক সালমান। তিনি বলেন, পঞ্চম শ্রেণির শিশু-শিক্ষার্থীর আঁকা বঙ্গবন্ধুর ছবি দিয়ে কার্ড ছাপিয়ে মামলার শিকার হয়েছি। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। আমি জানি, প্রধানমন্ত্রী সুবিবেচক। তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা। তিনি বুঝবেন বঙ্গবন্ধুর প্রতি আমার ভালোবাসা আর শ্রদ্ধার কথা। আমাকে তার কাছে আবেদন করতে হবে না। আমার বিশ্বাস, তিনি নিজেই ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।
বুধবার সকালে তারেক সালমানের জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বরিশালের একটি আদালতের বিচারক। পরে অবশ্য তাকে জামিন দেয়া হয়। এরপর পুরো ঘটনাটি সামনে চলে আসে এবং একজন শিশুর আঁকা ছবি উপজেলা প্রশাসনের আমন্ত্রণপত্রে ব্যবহারের ঘটনায় এই মামলা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
গত বৃহস্পতিবার পত্রপত্রিকায় এই খবর দেখে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের কর্মকর্তারাও বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যান। ঘটনার পরপরই তারা বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে আনেন। প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক ও প্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বিবিসি বাংলাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে সরাসরি দেয়া এই সাক্ষাৎকারে এইচ টি ইমাম বলেন, ‘আমরা সবাই, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যত কর্মকর্তা ছিলেন, এটি দেখে আমরা সকলেই বিস্মিত হয়েছি। যে ব্যক্তি এই মামলা করেছেন, আমরা মনে করি তিনি অত্যন্ত ঘৃণিত কাজ করেছেন। এইচ টি ইমাম জানান, তিনি তাৎক্ষণিকভাবে প্রধানমন্ত্রীকে একজন ইউএনওকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার এই ছবিটি দেখান। এইচ টি ইমাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে বলেন, ছবিটি দেখে তিনি বিস্মিত হলেন। প্রধানমন্ত্রী বললেন, ক্লাস ফাইভের ছেলে-মেয়েদের মধ্যে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে এই অফিসার সুন্দর একটি কাজ করেছেন এবং সেখানে যে ছবিটি আঁকা হয়েছে, সেটি আমার সামনেই আছে, আপনারা দেখতে পারেন এবং এই ছবিটিতে বিকৃত করার মতো কিছু করা হয়নি। এটি রীতিমতো পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য। এই অফিসারটি রীতিমতো পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য। আর সেখানে উল্টো আমরা তার সঙ্গে এই করেছি, এই বলে প্রধানমন্ত্রী তিরস্কার করলেন। বললেন, এটি রীতিমতো নিন্দনীয়। প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারীকে কিভাবে গ্রেফতার করা হলো কোনোরকম অনুমোদন ছাড়া? এ প্রশ্নের উত্তরে এইচ টি ইমাম বলেন, এটি করা যায় না। কারণ ইউএনও হচ্ছেন উপজেলা পর্যায়ে সরকারের সবচেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তাকে কোনো শাস্তি দিতে হলে বা তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা কোনোরকম কিছু করতে হলে সরকারের অনুমোদন প্রয়োজন। এইচ টি ইমাম এই ঘটনার জন্য বরিশালের ডিসি, এসপিকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, পুলিশ যে ব্যবহার করেছে এই ছেলেটির (ইউএনও) সঙ্গে, যেভাবে তাকে নিয়ে গেছে, এ নিয়ে আমি ওখানকার ডেপুটি কমিশনার, পুলিশ সুপার, এদের প্রত্যেককে আমি দায়ী করব। এদের বিরুদ্ধেও আমাদের বোধ হয় ব্যবস্থা নিতে হবে। কিভাবে পুলিশ এরকম একটি মামলা নিল, আর জেলা জজই কিভাবে এই মামলা গ্রহণ করলেন, সেটা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন। এইচ টি ইমাম বলেন, এই ঘটনায় মাঠপর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে তিনিও তাদের সঙ্গে একমত। আমাদের অফিসারটিকে যেন হেনস্তা করার জন্য পুলিশ যেভাবে গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে, এই পুরো ঘটনায় যেরকম তীব্র ক্ষোভ ফেটে উঠেছে, আমি তার সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত। এইচ টি ইমাম বলেন, ঘটনাটি শোনার পরপরই প্রধানমন্ত্রী জানতে চেয়েছিলেন, যে ব্যক্তি এই মামলা করেছে, সে কে? মামলা দায়েরকারী ব্যক্তি সম্পর্কে সঙ্গে সঙ্গে তারা খোঁজখবর নেন, এ কথা জানিয়েন এইচ টি ইমাম বলেন, এই লোক পাঁচ বছর আগেও আওয়ামী লীগে ছিল না। দলের ভেতরে ঢুকে পড়া এই অতি উৎসাহীরাই এই কাÐ ঘটিয়েছে, এই চাটুকাররাই আমাদের ক্ষতি করছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। এইচ টি ইমাম বলেন, এই ঘটনার পেছনে তিনটি কারণ থাকতে পারে। প্রথমত, এই অফিসারের বিরুদ্ধ হয়তো তাদের কোনো ক্ষোভ ছিল। তাকে অপমাণিত করা ছিল তাদের লক্ষ্য। দ্বিতীয়ত, বিভিন্ন সার্ভিসের মধ্যে একটি অসন্তোষ সৃষ্টি করা। আর তৃতীয়ত, সরকারের ভাবমর্যাদা নষ্ট করা। বরিশালে আওয়ামী লীগের একজন নেতা এবং সেই জেলার আইনজীবী সমিতির সভাপতি ওবায়দে উল্লাহ সাজু আদালতে মামলাটি করেন গত ৭ জুন। তাতে অভিযোগ করা হয়েছে, জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলায় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের আমত্রণপত্রে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি বিকৃত করে ছাপা হয়েছে। অভিযুক্ত করা হয়েছে আগৈলঝাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক সালমানকে। তিনি বরগুনা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা। মামলার শুনানিতে বরিশালের মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালত প্রথমে ওই নির্বাহী কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। গত বুধবার এই নির্দেশ দেয়ার দুই ঘণ্টা পর আদালত তাকে জামিন দেয়। একটি শিশুর আঁকা ছবি আমন্ত্রণপত্রে ব্যবহার করা হয়েছিল। মামলার বাদীর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তার পক্ষের আইনজীবী এবং সেখানকার আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম খোকন বলছিলেন, কার্ডের উপরে এবং ভেতরে বঙ্গবন্ধুর কোনো ছবি নাই। কার্ডের পেছনে একবারে নিচে ছবি ছাপা হয়েছে। এর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে অবজ্ঞা করা হয়েছে বলে আমাদের মনে হয়েছে। সে কারণে আমরা মামলা করেছি। বরিশালে এমন মামলা করার বিষয়টি নিয়ে সামাজিক নেটওয়ার্ক এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা চলছে। আওয়ামী লীগেরই সমমনাদের অনেকে সামাজিক নেটওয়ার্কে তাদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া তুলে ধরছেন।
ইউএনও তারেক সালমান বলেন, আমি আগৈলঝাড়ায় ছিলাম আট মাস। তখন ওই প্রভাবশালী মহলের অনেক অপকর্মের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলাম। আমি কোনো ঠিকাদার বা জনপ্রতিনিধির অন্যায়কে মেনে নেইনি। এমনও হয়েছে, কাজ ঠিকমতো না হওয়ায় আমি দুই কিস্তির টাকা দিয়ে বাকি টাকা দেয়া বন্ধ করে দিয়েছি। তারাই আমাকে আগৈলঝাড়ায় থাকতে দেননি। এরপর বরগুনা সদরে বদলি হয়ে গেলে ঘটনার তিন মাস পর তারা আমার বিরুদ্ধে মামলা করেন। তিনি বলেন, আমরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মামলার শিকার হই। ষড়যন্ত্রের শিকার হই। এটা অনেক কষ্টের।
গাজী তারেক সালমান জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি আমার ভালোবাসা আর অকৃত্রিম শ্রদ্ধা আছে। সেই শ্রদ্ধা থেকেই আমি কাজ করেছি। আমি ভাবতেও পারিনি একটি শিশুর আঁকা ছবি নিয়ে মামলা হতে পারে! অশ্রদ্ধা বা বিকৃতির প্রশ্ন উঠতে পারে। আমার বিশ্বাস, বঙ্গবন্ধু কন্যা, প্রধানমন্ত্রী আমাকে ঠিকই বোঝতে পারবেন।
ইউএনওর বিরুদ্ধে মামলাকারী আ’লীগ নেতা সাময়িক বহিষ্কার
বরগুনার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী তারিক সালমানের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ছবি অবমাননার অভিযোগে মামলাকারী বরিশাল আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ সাজুকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে দলের কেন্দ্রীয় কমিটি। এই মামলা নিয়ে সমালোচনার মুখে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এই কথা জানান। তিনি জানান, সাজুকে কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না, সে বিষয়ে কারণ দর্শাতে তাকে চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্তও হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভা শেষে দলের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিকদেরকে এই বহিস্কারের কথা নিশ্চিত করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ইউএনও নির্দোষ। তিনি বরং ভালো ছবিটি ব্যবহার করেছেন। ওই নেতা অতি উৎসাহী হয়ে মামলা করেছেন। এতে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। আওয়ামী লীগ ইউএনও’র পক্ষে।
কাদের জানান, দলের গঠনতন্ত্রের ৪৭ ক অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তাকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না এ ব্যাপারে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হবে।
গত ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসে আগৈলঝাড়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শিরোনামে সেখানে এক চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় আগৈলঝাড়ার এসএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। প্রতিযোগিতার প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী দুটি ছবির জন্য শিশুদের পুরস্কৃত করা হয়। আর ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপনে উপজেলা প্রশাসনের আমন্ত্রণপত্রে ছবি দুটি ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে প্রথম স্থান পাওয়া জ্যোতি মন্ডলের ছবিটি আমন্ত্রণপত্রের কভারে এবং অদ্রিজা করের দ্বিতীয় ছবিটি ব্যবহার করা হয় আমন্ত্রণপত্রের পেছনের পাতায়।
পেছনের পাতায় ছাপা হওয়া ছবিটির জন্যই ইউএনও গাজী তারিক সালমানের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতের অভিযোগে মামলা করেন আওয়ামী লীগ নেতা সাজু।
এই ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া ছড়িয়ে পড়ে। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মধ্যেও অসন্তোষ দানা বাঁধে। খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এই মামলায় বিস্ময় এবং অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন তার উপদেষ্টা এইচটি ইমাম।
এই পরিস্থিতিতে মামলা প্রত্যাহারের চিন্তা শুরু হয়। বিষয়টি নিয়ে সাজু বরিশাল আইনজীবী সমিতির নেতাদের সঙ্গে আলোচনাও শুরু করেন। তবে তার সুনির্দিষ্ট কোনো ঘোষণা আসার আগেই কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ তাকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়।



 

Show all comments
  • Jamal ২২ জুলাই, ২০১৭, ৩:২৭ এএম says : 0
    ei sorojontro karider kothor bichar chai
    Total Reply(0) Reply
  • S. Anwar ২২ জুলাই, ২০১৭, ৬:৫১ পিএম says : 0
    চাটুকারিতা আর তেল মেখে ফায়দা লুটতে লুটতে আওয়ামী পন্থী কিছু ধুরন্ধর এত বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে, একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও হেনস্তা করতে দ্বিধাবোধ করেনি। এরা আসলে বঙ্গবন্ধু কিংবা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা-ভক্তি দেখানোর জন্য অতি-উৎসাহী হয়নি। এদের অতি-উৎসাহের মুল লক্ষ্য হলো আজগুবী কিছু একটা করে প্রধানমন্ত্রীর নজরে যাওয়া এবং পদ, প্রাধান্য ও ফায়দা হাসিল করা। অতিভক্তি যে চোরের লক্ষণ এই চিরন্তন প্রবাদটিও তারা বেমালুম ভুলে গেছে। তবে এই সমস্ত অতি-উৎসাহী ধান্ধালরা যে একদিন আওয়ামী লীগের পায়ে কুঠাঘাত করে ছাড়বে এতে কোন সন্দেহ নেই।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সালমান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ