Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পার্বতীপুরে স্কুলছাত্রী ৩ দিনেও উদ্ধার হয়নি

প্রকাশের সময় : ১০ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

পার্বতীপুর (দিনাজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : পার্বতীপুর উপজেলার প্রত্যন্ত পল্লীতে এক স্কুলছাত্রীর অপহরণের অভিযোগের ৩ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি স্কুলছাত্রীটিকে। ঘটনাটি ঘটেছে পার্বতীপুর উপজেলার বড়হরিপুর পশ্চিম ম্যাড়েরা আক্তারচল ইসলাম মংলুর স্কুলগামী কন্যার। জানা যায়, গত ০৭ মার্চ সন্ধা আনুমানিক সাড়ে ৬ টার সময় কন্যার পিতা মংলু যশাইবাজারে কাপড় কেনার জন্য গেলে মেয়ে রাশিদা খাতুন (১৪) তাকে বাড়িতে একাকী পেয়ে প্রতিবেশী মিলন মিয়া (২২) পিতা আবু তাহেরসহ অন্যাদের সহযোগিতায় কন্যাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। রাশেদা খাতুন পার্বতীপুর উপজেলাধীন যশাই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। মিলন সময় অসময় প্রেম প্রস্তাব সহ বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে আসত। এতে রাজী না হওয়ায় মিলন ক্ষিপ্ত হয়ে এ ঘটনাটি ঘটায় এবং দুদিন ধরে পিতা ও মাতাকে এই ০১৬৮৬২৮৩৩০৫ নাম্বার দিয়ে  বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকী প্রদর্শন করছে।  এ ব্যাপারে পার্বতীপুর থানায় একটি এজাহার জমা দিলেও অদ্যাবধি পর্যন্ত কোন প্রতিকার মেলেনি। গতকাল বুধবার বিকেলে মা সুফিয়া বেগম পার্বতীপুর মডেল থানায় এসে ওসি (তদন্ত) বেলাল হোসনকে সার্বিক বিষয়টি পর্যালোচনা করেন। ওসি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এসআই স্বপন কুমারকে দায়িত্ব দেয়। এ বিষয়ে কন্যার মা সুফিয়া বেগম মিলন সহ পাঁচ জনকে আসামি করে পার্বতীপুর মডেল থানার এজাহারপত্র দায়ের করেন। সুফিয়া বেগম বলেন, আমার মেয়েকে আমরা কোথাও খুঁজে না পেয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছি না। তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই স্বপন কুমার জানান, বিকালে ঘটনা স্থলে গিয়ে জানতে পারি মেয়েটি বাড়িতে নেই। প্রতিবেশীরা জানান, মিলন ও তার সহযোগীদের দ্বারা মেয়েটিকে কোথাও গোপনে লুকিয়ে রেখেছে। তদন্ত হলেই বেরিয়ে আসবে সকল ঘটনা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পার্বতীপুরে স্কুলছাত্রী ৩ দিনেও উদ্ধার হয়নি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ