মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : সীমান্ত বিরোধে জড়ানোর পর থেকে চীন লাখ লাখ টন সামরিক সরঞ্জাম ও যানবাহন তিব্বতে সরিয়ে নিয়েছে বলে চীনের রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে। চীনা সামরিক বাহিনীর সরকারি মুখপত্র পিএলএ ডেইলি জানিয়েছে, উত্তর তিব্বতের কুনলান পর্বতমালার দক্ষিণ অঞ্চলে বিপুল পরিমাণ সামগ্রী পরিবহন করা হয়েছে। এই কাজটি করেছে ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড। এই কমান্ড উত্তেজনাপূর্ণ জিনজিয়াং এবং তিব্বত অঞ্চল তদারকি করে থাকে এবং ভারতের সাথে সীমান্ত ইস্যুগুলো মোকাবিলা করে। কাজটি সমাপ্ত করা হয় গত মাসে। এতে পুরো অঞ্চলে বিস্তৃত সড়ক ও রেলপথ একইসাথে ব্যবহার করা হয়। রাষ্ট্রীয় স¤প্রচারকারী সিসিটিভি গত সোমবার জানায়, তিব্বত মালভূমিতে চীনা সেনারা মহড়ায় তাজা গোলাবারুদ ব্যবহার করে। ভুটান-সংলগ্ন যে স্থানে ভারত ও চীনা সেনারা মুখোমুখি অবস্থান করছে, এই স্থানটি সেখান থেকে খুব বেশি দূরে নয়। মহড়ায় সহায়তার জন্য নাকি অন্য কারণে সামরিক সরঞ্জাম পরিবহন করা হয়েছে, তা পিএলএ ডেইলি প্রতিবেদনে বলা হয়নি। সাংহাইভিত্তিক সামরিক ভাষ্যকার নি লেক্সিয়ঙ মনে করেন, খুব সম্ভবত এটা চীন-ভারত অচলাবস্থার সাথে সম্পর্কিত। ভারতকে আলোচনার টেবিলে আনার লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, কূটনৈতিক আলোচনা অবশ্যই সামরিক প্রস্তুতির সহায়তায় হতে হবে। আরেক পর্যবেক্ষক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে এর আগে বলেন, শক্তি প্রদর্শনী খুব সম্ভবত ভারতকে হুঁশিয়ার করার জন্য করা হয়েছে। বেইজিংভিত্তিক সামরিক ভাষ্যকার ঝু চেনমিং বলেন, পিএলএ দেখাতে চায়, তারা খুব সহজেই ভারতকে পরাজিত করতে পারবে। সাংহাই ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের দক্ষিণ এশিয়া স্টাডিজের বিশেষজ্ঞ ওয়াঙ দেহুয়া বলেন, যে বিপুল সেনা ও সরঞ্জাম সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তাতে এটাই মনে হতে পারে, চীন তার পশ্চিম সীমান্ত কত সহজে রক্ষা করতে পারে। তিনি বলেন, সামরিক অভিযানের পুরোটাই সামরিক সরঞ্জাম নিয়ে। এখন তিব্বত অঞ্চলে আরো ভালো সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ রয়েছে। ভারত আর ১৯৬২ সালে পড়ে নেই বলে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অরুন জেটলি স¤প্রতি যে মন্তব্য করেছেন, তার জের টেনে ওয়াং বলেন, চীনও ১৯৬২ সালের চেয়ে এখন ভিন্ন। ১৯৬২ সালের চীন-ভারত সীমান্ত যুদ্ধে চীনের সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব সত্তে¡ও সামরিক সরঞ্জাম জটিলতার কারণে সে সরে আসে এবং একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে। সাউথ এশিয়ান মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।