পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : নতুন করে উপ-প্রধানমন্ত্রীর পদ সৃষ্টির আলোচনাকে গুজব অভিহিত করে মন্ত্রীসভায় একটা রদবদল হতে পারে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি জানান, তবে এটা কখন হবে সেটা বলা যাবে না। মন্ত্রীসভায় রদবদল প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। তিনি যেকোনো সময় রদবদল করতে পারেন।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর সেতু ভবনে অস্ট্রেলিয়ার একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মন্ত্রীসভায় রদবদল আসবে কি না, তা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। তবে মন্ত্রীসভায় একটা রদবদল হতে পারে। রদবদল কখন হবে, তা বলতে পারব না।
তিনি বলেন, এটা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। কাকে তিনি রাখবেন, কাকে বাদ দেবেন অথবা এই মুহুর্তে একটা রিশাফল করবেন কি না? তবে একটা রিশাফল বোধ হয় হতে পারে। তবে কোন সময় হবে, কী হবে, সেটা আমি ঠিক জানি না। একটা রিশাফল হতে পারে।
উপ-প্রধানমন্ত্রীর পদ সৃষ্টি করার বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা সম্পূর্ণ গুজব। এ রকম কোনো পদের কথা আমার জানা নেই। এটা ¯্রফে একটা গুজব। এটার কোনো বাস্তবতা নেই। এটা একেবারে ভিত্তিহীন মিথ্যা কথা।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে বিএনপির হতাশা ব্যক্তের পর এটা সংশোধন করা হবে কি না; সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশন দেশের নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের মতামত নেবেন। এরপর সেটা সংশোধন কিংবা সংযোজন করা যায় কিনা সেটা নির্বাচন কমিশনই দেখবে।
প্রসঙ্গত: ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মন্ত্রীসভা টানা দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ গ্রহণের পর এখন পর্যন্ত সরকারে নতুন মুখ বা দপ্তর পরিবর্তন হয়েছে তিন দফা। ২০১৪ সালের ২৬ ফেব্রæয়ারি এইচ মাহমুদ আলীকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং নজরুল ইসলামকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়। প্রায় দেড় বছর পর ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই মন্ত্রীসভায় যোগ হয় নতুন পাঁচ মুখ। এরমধ্যে প্রতিমন্ত্রী থেকে মন্ত্রী হন একজন। সেদিন আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল প্রতিমন্ত্রী থেকে পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী (স্বরাষ্ট্র) হিসেবে শপথ নেন। তিনি ওই মন্ত্রণালয়েই প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।
একইদিন মন্ত্রী হিসেবে আরও শপথ নেন প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তারানা হালিম (ডাক ও টেলিযোগাযোগ) এবং নুরুজ্জামান আহমেদ (খাদ্য)।
এরপর মন্ত্রীসভায় আরও একটি রদবদল হয়। সেটি চমক তৈরি করে দেশজুড়ে। ২০১৫ সালের ৯ জুলাই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী করা হয়। একই দিন প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বদলে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয় ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে। এক সপ্তাহ পর সৈয়দ আশরাফ নতুন মন্ত্রণালয় জনপ্রশাসনের দায়িত্ব পান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।