পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রতি আসনের জন্য ৩ জন প্রার্থী প্রস্তুত রাখা হচ্ছে
স্টাফ রিপোর্টার : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ইসলামী আন্দোলন প্রস্তুতি শুরু করেছে। বড় ধরণের কোন পরিস্থিরি সৃষ্টি না হলে ইসলামী আন্দোলন এককভাবেই সারাদেশে ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনে অংশ নিবে। সেই লক্ষ্যেই চলছে প্রার্থী বাছাই কার্যক্রম। ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনটি ধাপে চলছে দলীয় প্রার্থী বাছাইয়ের কার্যক্রম। ইতোমধ্যে ঢাকাসহ সারাদেশের প্রায় ৮০ ভাগ আসনের প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্নের পথে বলে জানান তিনি।
আগামী নির্বাচনে জোরালো অবস্থান জানান দেয়ার জন্য খুব সতর্কতার সঙ্গে পা এগুচ্ছে দলটি। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশও নির্বাচন বর্জন করেছিলো। নিরপেক্ষ তত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে সরব ছিল দলটি।
ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, নির্বাচনে তিনশো সংসদীয় আসনকে তিনটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে পৃথক পৃথক টার্গেট নিয়ে কাজ চলছে। এরমধ্যে সম্ভাব্য প্রতিদ্ব›দ্বীতাপূর্ণ আসনগুলোকে ‘এ’ প্রতিযোগিতামূলক আসনকে ‘বি’ এবং বাকিগুলোকে ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ফেলে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তিনটি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে। প্রথমত স্থানীয়ভাবে প্রতিটি আসনের বিপরীতে ইসলামী আন্দোলন ও সকল সহযোগী সংগঠনের যৌথ প্রস্তাবনার মাধ্যমে তিনজন প্রার্থীর নাম নেয়া হচ্ছে।
এরপর কেন্দ্রীয় কমিটি বিভিন্নভাবে প্রার্থীদের ব্যাপারে সার্বিক খোঁজখবর নেবে। এক্ষেত্রে প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা, সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা ও প্রভাব, অর্থনৈতিক ও পারিবারিক অবস্থা, সাংগঠনিক দায়িত্ব ও দক্ষতা বিবেচনা করা হচ্ছে। প্রার্থীর আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে কেউ অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত কিনা এবং গুরুত্বপূর্ণ কোনো পদে আছে কিনা সে বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। তৃতীয় ধাপে প্রার্থীর কাছে থেকে নির্বাচন কমিশনের ফরমের নমুনায় প্রার্থীদের আবেদন করতে বলা হয়েছে। যাতে নির্বাচনের সময় মনোনয়নপত্র দাখিলে কোনো ভুল না হয়। প্রার্থীতা আবেদনের পর প্রত্যেক প্রার্থীর পৃথক পৃথক সাক্ষাতকার নিয়ে একটি আসনের বিপরীতে একজন প্রার্থী চুড়ান্ত করে এবং একজনকে বিকল্প রেখে আমীরের অনুমোদনের জন্য প্রার্থী বাছাই কমিটির কাছে আবেদন জমা রাখা হবে।
কবে নাগাদ সকল আসনে প্রার্থী চ‚ড়ান্ত হবে-এই প্রশ্নের জবাবে অধ্যক্ষ ইউনুস আহমাদ বলেন, ইতোমধ্যে ঢাকা জেলাসহ ঢাকা বিভাগের সবগুলো আসনের প্রার্থী বাছাই কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে। আগামী শুরার বৈঠকে বাকী আসনের প্রার্থী তালিকাও আমাদের হাতে চলে আসবে এবং এরপরই তিনশো আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা চুড়ান্ত হবে, ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, প্রার্থী তালিকা যাচাই বাছাইয়ের পরেও আমীরের নির্দেশনা অনুযায়ী একটি সময় পর্যন্ত পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এরপর নির্বাচনের আগে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে ৩০০ আসনের চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে।
অধ্যক্ষ ইউনুস আহমাদ বলেন, বিভিন্ন জেলায় আমীর বা কেন্দ্রীয় কোনো দায়িত্বশীল স্থানীয়ভাবে কাউকে প্রার্থীতা হওয়ার ব্যাপারে ঘোষণা করলেও আমীরের চুড়ান্ত নির্দেশনা অনুযায়ী একসঙ্গে ৩০০ আসনের প্রার্থী তালিকা সম্ভাব্য সময়েই প্রকাশ করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শুধুমাত্র নির্বাচন কেন্দ্রীক জোটের ব্যাপারে ইসলামী আন্দোলনের আপত্তি আছে। কিন্তু ইসলামের বৃহত্তর স্বার্থে কেউ যদি আন্তরিক হয় এবং এগিয়ে আসে তাকে স্বাগত জানানো হবে। তবে সেটা হতে হবে জোট-মহাজোটের বাইরে এবং স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও আদর্শের ভিত্তিতে।
গতানুগতিক সস্তা জোটে ইসলামী আন্দোলন বিশাসী নয়। ইসলামী আন্দোলন চায় চিন্তার ঐক্য, আদর্শের ঐক্য। আদর্শের ভিত্তিতে বৃহত্তর ঐক্য প্রতিষ্ঠায় ইসলামী আন্দোলন বদ্ধপরিকর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।