পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বাংলাদেশের নারীদের অর্থনৈতিকভাবে ক্ষমতায়নে অবকাঠামো প্রকল্পের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। অবকাঠামো প্রকল্প আরও গতিশীল হলে দেশের জেন্ডার বৈষম্য হ্রাস পাবে বলে মনে করে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এডিবি’র স্বাধীন মূল্যায়ন বিভাগের ‘জেন্ডার সহায়তা ও দেশের উন্নয়ন’ বিষয়ক এক প্রতিবেদনে এই অভিমত তুলে ধরা হয়েছে। সোমবার রাজধানীর প্যান প্যাসেফিক সোনারগাঁও হোটেলে এক অনুষ্ঠানে এ প্রতিবেদন তুলে ধরেন এডিবির স্বাধীন মূল্যায়ন বিভাগের মূখ্য মূল্যায়ন বিশেষজ্ঞ হিঅন এইচ সন।
জানানো হয়, ২০০৫ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত এডিবি বিভিন্ন প্রকল্পে বাংলাদেশকে ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা প্রদান করেছে। এর মধ্যে ৫ বিলিয়ন ডলার ছিল অবকাঠামো খাতে। এসব প্রকল্পের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, দীর্ঘ এক দশকের মূল্যায়নে দেখা গেছে-শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবায় জেন্ডার সমতার যথেষ্ট উন্নতি হলেও জীবন-যাপনের সুযোগ প্রাপ্তি এবং অর্থনৈতিক সম্পদ মালিকানার ক্ষেত্রে নারীরা এখনও বৈষম্যর শিকার হচ্ছেন। গ্রামীণ অঞ্চলের মাত্র ৮ শতাংশ নারীর কার্যকর আর্থিক সম্পদের মালিকানা রয়েছে।
অনুষ্ঠানে এডিবির স্বাধীন মূল্যায়ন বিভাগের মহাপরিচালক মারভিন টেইলর ডরমন্ড বলেন, বাংলাদেশে অবকাঠামোগত প্রকল্প কার্যক্রমে নারীদের সস্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। জেন্ডার বৈষম্য হ্রাসে অবকাঠামো প্রকল্পের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা জরুরি।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিমা বেগম বলেন, দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৫০ শতাংশ নারী। নারীর উন্নয়ন ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। সরকার এই উপলব্ধি থেকে নারীদের অর্থনৈতিক কার্ষক্রমে অধিক হারে সম্পৃক্তকরণের প্রয়াস চালাচ্ছে। এজন্য ২৫০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এর আওতায় কর্মমূখী প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি নগদ অর্থ সহায়তা দিয়ে তাদেরকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে।
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর কাজুহিগো হিগোচি বলেন, জেন্ডার বৈষম্য হ্রাসে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবার পাশাপাশি নারীদের অর্থনৈতিকভাবে ক্ষমতায়ন করা জরুরি। এজন্য অবকাঠামো প্রকল্পে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। হিয়ন এইচ সন বলেন, প্রাকৃতিক দূর্যোগে বাংলাদেশে নারীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অর্থনৈতিকভাবে তাদেরকে ক্ষমতায়ন করতে পারলে দূর্যোগের অভিঘাত মোকাবেলা করার সক্ষমতা তৈরি হবে।
অনুষ্ঠানে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর কাজুহিগো হিগোচি, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্তি সচিব মাহমুদা শারমিন বেনু, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো আনোয়ারা বেগম, অর্থমন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব রামেন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের প্রকল্প পরিচালক আন্না মিনজি প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।