মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : কাতারের উপর আন্তর্জাতিক নজরদারির আহ্বান জানিয়েছে আমিরাত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রী আনেয়ার গার্গাশ বলেন, ‘তাদের উপর আমাদের দেওয়া চাপ কাজ করছে। এখন তাদের উপর আন্তর্জাতিক নজরদারি প্রয়োজন যেন সন্ত্রাসবাদে তারা অর্থায়ন করতে না পারে।’
গত ৫ জুন সন্ত্রাসবাদে সমর্থনের অভিযোগ এনে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিসরসহ কয়েকটি দেশ। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে কাতার। সম্পর্ক পুনর্গঠনে কাতারকে ১৩টি শর্ত বেঁধে দেয় সৌদি জোট। সেই শর্ত না মানায় কাতারের উপর নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকে।
আনোয়ার গার্গাশ বলেন, কাতারের উপর চাপ প্রয়োগের বিষয়টি কাজ করতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে ৩০০ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ থাকা কাতার যেন কোনও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে অর্থায়ন করতে না পারে। এজন্য প্রয়োজন আন্তর্জাতিক নজরদারি।’
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাতারে সমঝোতা স্মারকটি ইতিবাচক অগ্রগতি। মধ্যপ্রাচ্য কূটনৈতিক সংকট সমাধানে তিনদিনের সফর করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী রেক্স টিলারসন। সেসময়ই এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তবে কূটনৈতিক সংকট সমাধানে কোনওরকম অগ্রগতি হয়নি। এটি সমাধানে সর্বপ্রথম এগিয়ে এসেছেন কুয়েতের আমির। এরপর যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যও সমাধানে এগিয়ে এসেছেন। মধ্যপ্রাচ্য সফর করেছেন দেশ দুটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আনোয়ার গার্গাশ বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি যে আমাদের দেওয়া চাপ কাজ করতে শুরু করেছে। এই অবস্থা অনেকদিন ধরেই চলবে।’ সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর
কাতারি মিডিয়া হ্যাকিংয়ে আমিরাত সরকার
কাতার সরকারের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সংবাদ মাধ্যম হ্যাকিংয়ের বন্দোবস্ত করে সংযুক্ত আরব আমিরাত। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাদের বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট সংবাদপত্রে বলা হয়েছে, মে মাসের শেষ দিকে কাতারের মিডিয়ায় আমিরাত সরকারের ওই হ্যাকিংয়ের উদ্দেশ্য ছিল, কাতারের আমিরের মিথ্যা উক্তি পোস্ট করা, যা কাতার ও উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা বাড়িয়ে দিতে পারে।
ওয়াশিংটন পোস্টের খবরমতে, মে মাসে কাতারের আমির শেখ মোহাম্মদ তামিম বিন হামাদ আল-থানির নামে মিথ্যা উক্তি পোস্ট করা হয়। এই পোস্টের ভাষ্য ছিল, ‘ইসলামি শক্তি’ হিসেবে হামাস ও ইরানের প্রশংসা করে থাকেন আল-থানি। মূলত এই পোস্টের পর ৫ জুন সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর ও বাহরাইন কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেয়। তারা সম্মিলিতভাবে অভিযোগ করে, কাতার সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন করছে। তবে অভিযোগ কঠোর ভাষায় প্রত্যাখ্যান করে কাতার। হ্যাকিংয়ের পর কাতার দাবি করে, আমিরের নামে হ্যাকাররা মিথ্যা উক্তি ও বক্তব্য পোস্ট করেছে। কিন্তু উপসাগরীয় ওই চার দেশ এই ব্যাখ্যা প্রত্যাখ্যান করে। একই অভিযোগে কাতারের বিরুদ্ধে তাদের অবরোধ এখনো বহাল রেখেছে তারা।
ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, নতুনভাবে বিশ্লেষণ করা কিছু তথ্য গত সপ্তাহে মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের হাতে এসেছে। এতে দেখা যাচ্ছে, কাতারের মিডিয়ায় হ্যাকিংয়ের আগের দিন ২৩ মে হ্যাকিংয়ের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন আমিরাত কর্মকর্তার।
খবরে বলা হয়েছে, কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আমিরাত সরকার নিজেই না কি অর্থ প্রদানের মাধ্যমে অন্যদের দিয়ে কাতারের ওয়েবসাইটগুলোতে হ্যাক করিয়েছে, তা পরিষ্কার নয়। ওয়াশিয়ংটন পোস্টের খবরে সংশ্লিষ্ট মার্কিন কর্মকর্তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
এদিকে, এক বিবৃতিতে ওয়াশিংটন পোস্টের খবর প্রত্যাখ্যান করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ আল-ওতাইবা। তিনি বলেছেন, ‘কাতারের বেলায় সত্যি হলো- তালেবান থেকে হামাস ও গাদ্দাফি পর্যন্ত উগ্রতাবাদ ছড়িয়ে দিতে তহবিল ও সমর্থন দেওয়া। সহিংসতায় উসকানি, মৌলবাদে উৎসাহ দেওয়া এবং প্রতিবেশীদের স্থিতিশীলতা নষ্ট করাই তাদের কাজ।’ এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই কাতারের মিডিয়ায় হ্যাকিংয়ের ঘটনা তদন্তে কাজ করেছিল। তবে তাদের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া ওয়াশিংটন পোস্টের খবর সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেখায়নি যুক্তরাষ্ট্র। সূত্র : ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।