পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে করা মামলায় জামিন নিয়ে ফেরার পথে আদালত প্রাঙ্গণেই আক্রান্ত হয়েছেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার। গতকাল রোববার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত থেকে বের হওয়ার সময় তার গাড়িতে পচা ডিম ছুড়ে মারে কে বা কারা। এসময় হামলাকারীরা চিৎকার করে বলতে থাকেন কত বড় সাহস! ছাত্রলীগই তাকে ইমরান বানিয়েছে। আর এখন সে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলে। এছাড়াও হামলা কারীরা ইমরানের দুই গালে/ জুতা মারো তালে তালে শ্লোগান দিতে থাকেন। হামলাকারীরা ছাত্রলীগের নেতা কর্মী বলে জানা যায়। এর আগে মহানগর হাকিম আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন নেন ইমরান এইচ সরকার।
এদিকে ইমরানের উপর হামলার নিন্দা জানিয়ে হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এবং বাসদ সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান। একই সঙ্গে প্রতিবাদ জানিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণজাগরণ মঞ্চ।
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের মূর্তি অপসারণের প্রতিবাদী মিছিল থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ‘কটূক্তি’ করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় এদিন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন ইমরান ও গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী সনাতন উল্লাস। ঢাকার মহানগর হাকিম এসএম মাসুদ জামান তাদের জামিনের আবেদন শুনে পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় তা মঞ্জুর করেন।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক গোলাম রব্বানী গত ৩১ মে এই মামলা দায়ের করেন। আর্জিতে তিনি বলেন, গত ২৮ মে মশাল মিছিল থেকে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে যে কটূক্তি করা হয়েছে, তাতে নাগরিক হিসেবে তিনি ক্ষুব্ধ অপমানিত।
ইমরান ও সনাতনের পক্ষে জামিনের শুনানি করেন আইনজীবী প্রকাশ বিশ্বাস, জীবনানন্দ জয়ন্ত ও তানজিম আল ইসলাম। বাদীপক্ষে ছিলেন নোমান হোসাইন তালুকদার।
সূত্রে জানা যায়, বেলা ১২টার দিকে আদালত চত্বর থেকে বের হওয়ার সময় ২৫-৩০ জনের একটি দল ইমরানের গাড়ির দিকে পচা ডিম ছুড়ে মারে। তখন গাড়িটি ঘুরে আবার আদালত চত্বরে ঢুকে যায়। এর পরপরই নিরাপত্তারক্ষীরা আদালতের ফটক বন্ধ করে দেয়। ইমরানদের আইনজীবী জীবনানন্দ জয়ন্ত বলেন, এটা পরিকল্পিত হামলা বলে আমাদের ধারণা।
পরে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ইমরান ফেইসবুকে লিখেছেন, আদালতেও যখন পুলিশের উপস্থিতিতে সন্ত্রাসীরা লাঠিসোঁটা, অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে তখন এই দেশটাকে আর কোনোভাবেই সভ্য দেশ বলা যায় না। এই দেশটা এখন মাস্তান, সন্ত্রাসী আর ছিনতাইকারীদের অভয়ারণ্য।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।