নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : রেকর্ড শিরোপা জয়ের হাতছানি, সঙ্গে কোনো সেট না হেরে ফাইনালে ওঠার আত্মবিশ্বাস। দুর্দান্ত ফর্ম শেষ অব্দি রজার ফেদেরারকে নিয়ে গেল অমরত্বের পথে। প্রথমবারের মতো উইম্বলডনের ফাইনালে ওঠা মারিন সিলিচকে সরাসরি সেটে উড়িয়ে দিয়ে এই প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বেশি অষ্টমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হলেন সুইজারল্যান্ডের এই তারকা। গতকাল সেন্টার কোর্টে ২০১৪ সালের ইউএস ওপেন চ্যাম্পিয়ন ক্রোয়েশিয়ার সিলিচকে ৬-৩, ৬-১, ৬-৪ গেমে হারান র্যাঙ্কিংয়ের পঞ্চম স্থানে থেকে টুর্নামেন্ট শুরু করা সুইস ম্যাস্ট্রো। সেই সাথে উন্মুক্ত যুগে সবচেয়ে বেশি বয়সী (৩৫ বছর ১১ মাস ৮ দিন) খেলোয়াড় হিসেবে উইম্বলডন জয়ের রেকর্ডটিও নিজের করে নিলেন ফেড এক্স।
উইম্বলডনে সর্বোচ্চ শিরোপা জয়ের রেকর্ড এতদিন যৌথভাবে ছিল উইলিয়াম রেনশ, পিট স্যা¤প্রাস ও ফেদেরারের দখলে। ১৯৮৯ সালে ক্যারিয়ারে সপ্তমবার উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন ব্রিটেনের রেনশ। আর ২০০০ সালে তার রেকর্ড স্পর্শ করেন ১৪টি গ্র্যান্ড ¯ø্যাম জয়ী যুক্তরাষ্ট্রের স্যা¤প্রাস। এখানে অষ্টম শিরোপা জিতে এককভাবে রেকর্ডটি নিজের করে নেওয়া ফেদেরার এই নিয়ে গ্র্যান্ড ¯ø্যামে ১৯ বার চ্যাম্পিয়ন হলেন। সর্বোচ্চ গ্র্যান্ড ¯ø্যাম জয়ের তালিকায় তার পিছনে আছেন রাফায়েল নাদাল, ১৫টি।
২০০৩ সালে এখানেই ক্যারিয়ারে প্রথম গ্র্যান্ড ¯ø্যাম জিতেছিলেন ফেদেরার। টানা পরের চার আসরেও গ্রাস কোর্টের এই প্রতিযোগিতায় শিরোপা জিতেন তিনি। এরপর ২০০৯ সালে আবার এখানে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ২০১২ সালে অ্যান্ডি মারেকে হারিয়ে সপ্তম শিরোপাটি জিতেছিলেন। মারের বিপক্ষে ওই উইম্বলডন জয়ের পর পাঁচ বছরে কোনো গ্র্যান্ড ¯ø্যাম জিততে পারেননি ফেদেরার। দীর্ঘ খরা শেষে এ বছর নতুন রূপে ফিরেন তিনি। ছয় মাসের চোট কাটিয়ে কোর্টে ফিরেই জিতে নেন বছরের প্রথম গ্র্যান্ড ¯ø্যাম অস্ট্রেলিয়ান ওপেন। জিতেন দুটি মাস্টার্স শিরোপাও।
পুরো ফিট থেকে গ্রাস কোর্টের মৌসুমে নামার উদ্দেশে ক্লে কোর্টের পুরো মৌসুম থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন আগামী মাসে ৩৬ এ পা দিতে যাওয়া ফেদেরার। সে লক্ষ্যে যে শতভাগ সফল তিনি। এক ঘণ্টা ৪১ মিনিট স্থায়ী ফাইনাল শেষে উচ্ছ¡সিত ফেদেরার বলেন, ‘আমার পরিবার ও দলের জন্য এটা চমৎকার এক মুহূর্ত। এটা আমাদের জন্য। ধন্যবাদ উইম্বলডন, ধন্যবাদ সুইজারল্যান্ড।’ দুই জোড়া যমজ সন্তানের বাবা ফেদেরার। তাদের উদ্দেশ কিছুটা মজা করে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় ছোটো যমজ ভাবছে এটা দারুণ এক দৃশ্য ও সুন্দর এক খেলার মাঠ। আশা করি একদিন তারা বুঝবে।’
৩৬ সংখ্যাটাই আবার ভয় জাগাচ্ছে, রেকর্ড গড়তে গড়তে ক্লান্ত ফেদেরার না আবার কোনো ঘোষণা দিয়ে বসেন! ট্রফিটা হাতে নেওয়ার আগে ফেদেরার চোখ বেয়ে ঝরা অশ্রæ তাই তাঁর ভক্তকুলের চোখেও ঝরার কথা!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।