পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আবদুল ওয়াজেদ কচি, সাতক্ষীরা থেকে : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি এখনও বছর দেড়েক। আর এ নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়ার আশায় সাতক্ষীরার চারটি আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের তিন ডজন নেতা গণসংযোগ শুরু করেছেন। নেতাদের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে, ঝড় উঠছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।
মনোনয়ন পেতে ইচ্ছুক ঢাকায় বসবাসকারী এমন অনেক নেতাকেই দেখা যাচ্ছে সাতক্ষীরায় এসে সময় কাটাতে।
দলীয় একাধিক সূত্র জানায়, সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার আশায় প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন আওয়ামী লীগের ১০ নেতা।
এরা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য প্রকৌশলী শেখ মুজিবুর রহমান, সাবেক প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স ম আলাউদ্দিনের মেয়ে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক লায়লা পারভিন সেঁজুতি, কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য বিএম নজরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ কামাল শুভ্র, তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নূরুল হক, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, কলারোয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ স্বপন, জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক সরদার মুজিব, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধু ও কবি মন্ময় মনির।
সাতক্ষীরা-২ (সাতক্ষীরা সদর) আসনে মনোনয়ন পেতে ইচ্ছুক জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট এসএম হায়দার, যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক শেখ সাঈদ উদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম শওকত হোসেন, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ছাইফুল করিম সাবু, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সাইদ, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন, সাবেক ছাত্র নেতা ড. কাজী এরতেজা হাসান ও সাবেক ছাত্র নেতা আ হ ম তারেক উদ্দিন।
সাতক্ষীরা-৩ আসনে (দেবহাটা, আশাশুনি ও কালিগঞ্জের একাংশ) মনোনয়ন পেতে আগ্রহী সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপি, বীর মুক্তিযোদ্ধা লে. কর্নেল জামায়েত হোসেন, খুলনা নর্দান ইউনিভার্সিটির ভিসি প্রফেসর ড. ইউসুফ আব্দুল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মনছুর আহমেদ, আশাশুনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মোস্তাকিম, আশাশুনি উপজেলা আওয়ামী সাবেক সভাপতি ডা. মোখলেছুর রহমান ও প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা সরদার হাফিজুর রহমান।
এছাড়া সাতক্ষীরা-৪ আসনে (শ্যামনগর ও কালিগঞ্জের একাংশ) মনোনয়ন নিশ্চিতে কাজ করছেন শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য এসএম জগলুল হায়দার, কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ মেহেদী, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ জাফরুল আলম বাবু, শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল হক দোলন, সহ-সভাপতি শফিউল আযম লেলিন, সহ-সভাপতি গাজী আনিছুজ্জামান ও সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান।
তবে, মনোনয়ন লাভের আশায় যারা যেভাবেই গণসংযোগ করুক না কেন দলীয় নেতা-কর্মীদের দাবি ত্যাগী পরীক্ষিত নেতাদের দেওয়া হোক নৌকার টিকিট।
এ প্রসঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক হারুন-উর-রশীদ বলেন, যারা এলাকায় থাকে, তৃণমূল মানুষকে সঙ্গে নিয়ে চলে তাদেরকে নৌকার মাঝি করা হোক। এলাকায় থাকে না অথচ ভোটের সময় আসলে প্রার্থিতা চায় এমন মাঝি আমাদের দরকার নেই। এজন্য দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।