মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে রাজনৈতিক, আর্থিক ও আইনগত সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য গত বৃহস্পতিবার আইন প্রস্তাব করেছে ব্রিটেন। ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তবে ব্রেক্সিট-বিরোধীরা একে চ্যালেঞ্জ জানাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০১৯ সালের মধ্যে ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য সরকারের পরিকল্পনার মূল অংশ এই প্রত্যাহার বিলটি। ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সর্বক্ষেত্রে ইইউয়ের তৈরিকৃত আইন থেকে ব্রিটেনকে বের করে নিয়ে যাওয়ার অংশ এটি। ব্রিটেনকে ১৯৭২ সালে যে চুক্তির মাধ্যমে ইইউয়ে সদস্য করে নেয়া হয়েছিল সেটিও প্রত্যাহার করে নেয়ার বিধান আইনটিতে যুক্ত করা হয়েছে। পার্লামেন্টে এ প্রস্তাবনাটি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে টেরিসা মের ভবিষ্যতের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। গত মাসে তার ডাকা নির্বাচনে তাকেই সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে মূল্য দিতে হয়েছিল। এ বিষয়টি ব্রেক্সিটের ধরন নিয়ে পুনরায় বিতর্ক চালু করেছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, ব্রেক্সিট বিষয়ে সরকার এখনো পুরোপুরি প্রস্তুত নয়। ব্রেক্সিটমন্ত্রী ডেভিড ডেভিস এক বিবৃতিতে বলেছেন, এখন পর্যন্ত পার্লামেন্টে যেসব আইন উত্থাপিত হয়েছে এটি তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের প্রত্যাহার প্রক্রিয়ায় প্রধান মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে এ আইনকে। সরকার এরই মধ্যে ইইউয়ের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনার পর্ব শেষ করেছে। আলোচনার পর তারা তিনটি বিষয়ে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এ প্রতিবেদনে ইইউ পারমাণবিক সংস্থা ইউরেটম থেকে বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ইউরোপিয়ান কোর্ট অব জাস্টিস ত্যাগ করার ঘোষণাও রয়েছে এ প্রতিবেদনে। প্রধানমন্ত্রী থেরিসা মে ব্রেক্সিট বিষয়ে নানা বিতর্কের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি ইইউ থেকে স্বাভাবিক বিচ্ছেদের বিষয়ে তার নিজের দল কনজারভেটিভ পার্টির কাছ থেকেও পর্যাপ্ত সহযোগিতা পাচ্ছেন না তিনি। ব্রেক্সিটপন্থী আইন প্রণেতারাও তাকে সামান্য সহযোগিতা করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উভয় পক্ষের বিদ্রোহী অংশ আইনটি ব্যাহত করতে পারে। যার ফলে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে সমর্থন বা সমঝোতায় টেরিসা মের সক্ষমতার বিষয়টি পরীক্ষার মুখে পড়তে পারে। প্রধানমন্ত্রী থেরিসা মে ব্যর্থ হলে তার অবস্থান বিতর্কের মুখে পড়বে। উল্লেখ্য, ব্রিটেনে অভিবাসীর সংখ্যা কমিয়ে আনতে বিভিন্ন সময়ে নানা পদক্ষেপ নেয় দেশটির সরকার। পরবর্তীতে ইইউতে থাকা না থাকার বিষয়ে গণভোটের আয়োজন করে ব্রিটেন। দেশটির নাগরিকরা ইইউতে থাকার বিপক্ষে রায় দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ব্রেক্সিট আলোচনা শুরু হয়। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।