Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিকে মোর্চার নজর

| প্রকাশের সময় : ১৫ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : পশ্চিম বঙ্গের দার্জিলিংয়ের পাহাড়ে আগুন, ভাঙচুর, বন্ধ চলছেই। এ কবের পরেও মোর্চা এবং তার সহযোগী দলগুলোর আশা, প্রেসিডেন্সিয়াল ভোট হওয়ার পরে কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয় ও আলোচনা আরও গতি পাবে। গতি পেতে পারে ট্র্যাক টু রাজনীতিও। সেই আশায় আমরণ অনশনও আপাতত স্থগিত রাখছে পাহাড়ি দলগুলোর সমন্বয় কমিটি। তাই মোর্চার নজর এখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিকে। মোর্চার তরফে রোশন গিরি বলেছেন, ১৫ জুলাই থেকে আমরণ অনশন হবে না। প্রেসিডেন্ট ভোট হয়ে যাক। তার পরে কমিটি আলোচনায় বসে ঠিক করবে। খবরে বলা হয়, পাহাড়ে অশান্তির আঁচ পৌঁছেছে সমতলেও। পানিঘাটা বাজারের কাছে ভানুভক্তের জন্মজয়ন্তী পালন করতে গিয়েছিলেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। তাঁকে লক্ষ্য করে ঢিল-পাথর ছোড়া হয়, খুকুরি নিয়ে হুমকিও দেওয়া হয়। পাহাড়ে তামাঙ্গ বোর্ডের চেয়ারম্যান সঞ্জয় মোক্তানের বাডড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এ দিন দার্জিলিঙের একমাত্র তৃণমূল কাউন্সিলর চুংচুং ভুটিয়া মোর্চায় যোগ দিয়েছেন। গৌতম দেবের অভিযোগ, প্রবল হুমকির মুখেই এমন ঘটনা ঘটছে। রোশন অবশ্য জানান, পাহাড়ের যাঁরা গোর্খ্যাল্যান্ডের পক্ষে তাঁরাই শামিল হচ্ছেন। এর পাশাপাশি গত বৃহস্পতিবার স্টেশন, বন বাংলো-সহ পাহাড়ের একাধিক সরকারি অফিস পোড়ানো হয়েছে। তিস্তা বাজারের কাছে সিকিমগামী ১৩টি গাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। দার্জিলিংয়ের পর্যটক তথ্য সহায়তা কেন্দ্রের অফিস জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ম্যাল লাগোয়া কাঠের তৈরি এই অফিসটি অতীতেও জ্বালানো হয়েছিল। সালেবঙ্গ বিট অফিস এবং লাগোয়া আবাসনগুলোও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। কার্শিয়াঙের গয়াবাড়ি স্টেশনও পুড়িয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। কালিম্পঙের তিস্তা বনবাংলোয় আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তিস্তাবাজারে সিকিমগামী ১৩টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। রাজ্য সরকারের সঙ্গে যে তাঁদের কোনও সম্পর্ক নেই, তা বোঝাতে এ দিন পাহাড়ের বিশিষ্টজনেরা রাজ্যের দেওয়া বিভিন্ন পুরস্কার ফিরিয়েও দিয়েছেন। মোর্চার নেতারা তো বটেই, অনুান থেকে দলের কর্মীরাও বারবার বলেছেন, তাঁদের একমাত্র দাবি গোর্খাল্যান্ড। তার পরেও তাঁরা তাকিয়ে আছেন কেন্দ্র-রাজ্য আলোচনা শুরুর দিকে। আশা, একমাত্র সেখান থেকেই কোনও ইতিবাচক বার্তা আসতে পারে বিপর্যস্ত পাহাড়ে। পিটিআই,এবিপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ