পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সংসদীয় কমিটির বৈঠকে প্রতিবেদন উপস্থাপন : ভূমি উন্নয়ন ৪৫ শতাংশ : পূর্ত কাজের অগ্রগতি ৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ : স্টেশন নির্মাণের অগ্রগতি ১৩ শতাংশ
বিশেষ সংবাদদাতা
নির্ধারিত সময়ে মেট্রোরেল চালু হওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। ২০১৯ সালে উত্তরা তৃতীয় পর্ব থেকে আগারগাঁও এবং ২০২০ সালে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চালুর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। কিন্তু বড় এ প্রকল্পের ভূমি উন্নয়ন কাজে ধীরগতির কারণে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে করে প্রকল্পের অন্যান্য কাজের দরপত্র থেকে শুরু করে অন্য সব প্রক্রিয়া পিছিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি জাতীয় সংসদের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কীত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে যে প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়েছে তাতে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতিসহ বিভিন্ন তথ্য উঠে এসেছে।
সরকারের ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্পগুলোর মধ্যে একটি ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট (মেট্রোরেল)। সংসদীয় কমিটিতে উপস্থাপন করা ‘প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, দরপত্র আহŸান থেকে শুরু করে চুক্তি স্বাক্ষর পর্যন্ত দীর্ঘ সময় লেগে যাওয়ায় পরবর্তী কাজের সময়সীমাও দীর্ঘ হয়েছে। ৮টি প্যাকেজের আওতায় মেট্রোরেলের কাজ সম্পন্ন হবে। এর মধ্যে প্যাকেজ ১-এর আওতায় রয়েছে ডিপো এলাকার ভূমি উন্নয়ন। এ কাজের জন্য দরপত্র আহŸান করা হয় ২০১৫ সালের এপ্রিলে। এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হয় ২০১৬ সালের মার্চে। ২০১৮ সালের অক্টোবরের মধ্যে কাজটি শেষ করার কথা।
কিন্তু চুক্তি স্বাক্ষরের পর ১৫ মাসে ভূমি উন্নয়নের কাজ হয়েছে মাত্র ৪৫ শতাংশ। প্যাকেজ ২-এর আওতায় ডিপো এলাকার পূর্ত কাজের দরপত্র আহŸান করা হয় ২০১৬ সালের ৩১ মে। এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে চলতি বছরের ৩ মে। এ প্যাকেজের প্রথম পর্যায়ের কাজ ২০১৯ সালের অক্টোবরে ও দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার কথা। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রকল্পের অগ্রগতি দেখানো হয়েছে ৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আংশিক মোবিলাইজেশন অ্যাডভান্স প্রদান করা হয়েছে। মূল কাজ চলতি বছরের সেপ্টেম্বর নাগাদ শুরু হবে। প্যাকেজ-৩ ও ৪-এর আওতায় উত্তরা নর্থ থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ভায়াডাক্ট ও স্টেশন নির্মাণ করা হবে। এ প্যাকেজের দরপত্র আহŸান করা হয় ২০১৬ সালে এপ্রিলে আর চুক্তি স্বাক্ষর হয় চলতি বছরের মে মাসে। প্যাকেজের মেয়াদ ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। এখন পর্যন্ত বাস্তব অগ্রগতি মাত্র ১৩ শতাংশ। প্রকল্পের অগ্রগতি প্রতিবেদনে প্যাকেজটির মন্তব্য অংশে বলা হয়েছে, মোবিলাইজেশন অ্যাডভান্স প্রদান করা হয়েছে। মূল কাজ চলতি বছরের আগস্টে শুরু হবে। প্যাকেজ-৫ ও ৬-এর আওতায় আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ভায়াডাক্ট ও স্টেশন নির্মাণে চলতি মাসে দরপত্র আহŸান করা হবে আর চুক্তি স্বাক্ষরের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২০১৮ সালের জুলাই মাসে। এ কাজের মেয়াদ ২০২০ সালের নভেম্বর পর্যন্ত। প্যাকেজ ৭-এর আওতায় ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড মেকানিক্যাল সিস্টেম কাজের দরপত্র আহŸান করা হয় গত বছরের ২৬ মে আর চুক্তি স্বাক্ষরের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী সেপ্টেম্বর মাসে। এ প্যাকেজের আওতায় প্রথম পর্যায়ের কাজ সমাপ্তির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২০১৯ সালের অক্টোবর। দ্বিতীয় পর্যায়ের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্যাকেজ ৮-এর আওতায় রোলিং স্টক ( রেলকোচ) ও ডিপো ইকুইপমেন্ট সরবরাহের দরপত্র আহŸান করা হয় ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে। আগামী মাসে এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা রয়েছে। প্যাকেজটির দরপত্র মূল্যায়ন শেষ হয়েছে। এখন এটি জাইকার অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।
ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্পের যে বিবরণী সংসদীয় কমিটিতে উপস্থাপন করা হয়, তাতে বলা হয়েছে, প্রকল্পের মেয়াদ ২০১২ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। যার মধ্যে সরকারের কাছ থেকে আসবে ৫ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা। বাকিটা আসবে প্রকল্প সহায়তা হিসেবে। ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এলিভেটেড মেট্রোরেলের স্টেশন থাকবে ১৬টি। উভয় দিকে যাত্রী পরিবহন ক্ষমতা প্রতি ঘণ্টায় ৬০ হাজার জন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালের অক্টোবরে প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয় ২০১৬ সালের জুন মাসে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।