Inqilab Logo

রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

গাজা উপত্যকা বসবাসের অযোগ্য

| প্রকাশের সময় : ১৪ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : জাতিসংঘ বলছে, ইসরাইলি অবরোধের ১০ বছর পার করে বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা। গাজা-১০ বছর পরে শিরোনামে গত মঙ্গলবার প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, গাজা নিয়ে ২০১২ সালে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে জীবন ধারণের পরিস্থিতির অবনতি ঘটার কিছু নিয়ামক (ইন্ডিকেটর) চিহ্নিত করা হয়েছিল। যেমন, আয় কমা, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও বিদ্যুৎ-ব্যবস্থার অবনতি, ইত্যাদি। এখন এসব খাতে আরও অবনতি হয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম পৃথিবীর বৃহত্তম উন্মুক্ত কারাগার খ্যাত ওই উপত্যকার বসবাসের অযোগ্য হওয়ার খবর জানিয়েছে। জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় মাথাপিছু আয় (জিডিপি পার ক্যাপিটা) কমেছে। অন্যদিকে ক্রমাগত অবনতি ঘটেছে জরুরি স্বাস্থ্যসেবার। প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা না নিলে ২০২০ সালের মধ্যে খালি হয়ে যাবে সেখানকার একমাত্র পানির উৎস। এরপর তাকে আগের অবস্থায় আর ফেরত আনা যাবে না। জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণ ও উন্নয়ন কর্মকাÐের সমন্বয়ক রবার্ট পাইপার বলেন, (বিগত ১০ বছরে) গাজার অবনতির হার অব্যাহত রয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা আমাদের আশঙ্কার চেয়ে আরও দ্রæতগতিতে ঘটেছে। তিনি বলেন, যখন আপনি দিনে মাত্র দুই ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাবেন, তরুণদের বেকারত্বের হার ৬০ শতাংশে নেমে আসবে, তার মানে সেখানে বাসযোগ্যতার সীমা বহু আগেই পেরিয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, আমি গাজায় বসবাসকারী ২০ লাখ বেসামরিক নাগরিককে ধীরে ধীরে এই অবর্ণনীয়, অমানবিক ও অন্যায় প্রক্রিয়ায় শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় নিয়ে যেতে দেখেছি। অথচ এরা কারও জন্যেই কোনো প্রকার হুমকি নয়। ফিলিস্তিনি এক বার্তা সংস্থাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে পাইপার বলেন, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো দ্রæত পদক্ষেপ নিলে তবেই একটি মানবিক বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব। তিনি বলেন, প্রথমে আমাদের এই মানুষগুলোকে অগ্রাধিকারের তালিকার শীর্ষে না হলেও, একটু ওপরের দিকে নিয়ে আসতে হবে। আল-জাজিরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ