রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
রেবা রহমান, যশোর থেকে
সবজি, মাছের রেণু পোনা ও রজনীগন্ধার পর এবার যশোরে নার্সারিতে রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। ঘটেছে নার্সারি বিপ্লব। সরকারি ও বেসরকারি মিলে সহস্রাধিক নার্সারি গড়ে উঠেছে। জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন সড়কের দুই পাশের গাছপালা উজাড় হয়েছে। এমন খারাপ খবরের মধ্যে এটি একটি ভালো খবর। পরিবেশ রক্ষা এবং শূন্যতা পুরণে ধীরে ধীরে সামাজিক বনায়নে ব্যাপক সাড়া পড়ছে। নার্সারিতে যশোরে যে বিপ্লব ঘটেছে তার প্রমাণ পাওয়া গেছে, যশোরের চারিদিকে নার্সারি গড়ে উঠেছে। মানুষ যে পরিবেশ বাঁচানোর তাগিদে এতটা সচেতন হয়েছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। সবার মধ্যেই একটা ধারণা বদ্ধমূল হয়েছে যে বাঁচতে হলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে। আম, জাম, লিচু, খেজুর, বটবৃক্ষ, নিম, লেবু, কদবেল, নারিকেল, সুপারী, কাঠাল, সেগুন, মেহগিনি, কড়াই, ডুমুর, বনসাই, আমলকি, লবঙ্গ, স্টিভিয়া ও ফুলসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ, বনজ ও ভেষজ গাছের চারা নিয়ে নার্সারিগুলো রমরমা ব্যবসা চালাচ্ছে। যে যেমন পারছেন বাড়ীর আঙিনায়, মাঠে, ঘাটে, অফিস-আদালতের চত্বরে, রাস্তার দু’ধারে গাছ লাগাচ্ছেন। রীতিমতো হিড়িক পড়েছে। ব্যক্তি উদ্যোগ ছাড়াও সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গাছ লাগানোর ব্যাপারে যথেষ্ট সচেষ্ট হয়েছে। নার্সারি ব্যাপক প্রসার এমনটিই বলে দিচ্ছে ‘গাছকাটা বাহিনী গাছ লুট করছে, তাই গাছ লাগিয়ে পরিবেশ বাঁচান’। জীব বৈচিত্র সংরক্ষণ ও প্রাকৃতিক পরিবেশ উন্নয়নে নার্সারী অগ্রণী ভ‚মিকা পালন করছে একরকম নীরবেই। এমনিতেই ফারাক্কা ও মিনি ফারাক্কার কবলে পড়ে যশোরের একটা বড় অংশ সবুজঘেরা প্রান্তর বিবর্ণ হয়েছে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য নির্ভরশীল নদ-নদী, খাল-বিলে বর্ষা মৌসুম বাদে শুষ্ক মোসুমে বিপজ্জনক অবস্থার সৃষ্টি হয়। অতীতেও যেমন হয়েছে বর্তমানে গাছের উপর অত্যাচার চলছে। গাছপালা ও বন উজাড় হওয়ায় পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখোমুখি হচ্ছে। এর মধ্যে নার্সারির সংখ্যা বৃদ্ধির ঘটনা যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক। সরেজমিন কয়েকটি নার্সারী ঘুরে দেখা গেছে, এবারের বর্ষায় মানুষ প্রচুর গাছ কিনছে। আগে নার্সারি করতো মানুষ সখের বশে। এখন রীতিমতো ব্যবসা। তাও ভালো ব্যবসা। অল্প পূজিতে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছে। যশোরের এক নার্সারি মালিক জানালেন, তার ৫/৬জনের সংসার চলে নার্সারি ব্যবসা করে। ৩বছর ধরে তার নার্সারি ব্যবসা। তিনি সংসার চালানো ছাড়াও মাঠের এক বিঘা জমি কিনেছেন। প্রায় সব নার্সারি মালিকের ব্যবসা সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, সবার ব্যবসা মোটামুটি ভালো। এটি হয়েছে আগের চেয়ে মানুষের গাছ লাগানোর ক্ষেত্রে সচেতনতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে। যশোর অঞ্চলে বনায়নের দৃশ্য দেখা যাবে চারিদিকে। গ্রামাঞ্চলের প্রায় প্রত্যেক বাড়ী সবুজে ঘেরা। গাছপালায় বদলে দিয়েছে বাড়িঘর। এখন গ্রাম শহরের বাড়িঘর সৌন্দর্য্যে পরিপূর্ণ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।