পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার বাদী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে টানা চার ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন আলোচিত এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও)। তবে আইও’র দাবি এটি জিজ্ঞাসাবাদ নয়, মামলা তদন্তের বিভিন্ন দিক নিয়ে তার সাথে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। আইও চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) মোঃ কামরুজ্জামানের ডাকে সাড়া দিয়ে গতকাল (মঙ্গলবার) দ্বিতীয়বারের মতো চট্টগ্রাম আসেন বাবুল আক্তার। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে কালো রংয়ের একটি গাড়ি নিয়ে নগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে আসেন তিনি। গাড়ি থেকে নেমে মামলার আইও’র কক্ষে প্রবেশ করেন। রাত ৮টার পর আইও’র রুদ্ধদ্বার কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসেন বাবুল আক্তার। তিনি এ সময় সাংবাদিকদের বলেন, আইও মামলা তদন্তের ব্যাপারে বেশকিছু তথ্য জানতে চেয়েছেন। কিছু কিছু তথ্যের ব্যাখ্যাও চেয়েছেন। আমি এসব বিষয়ে তার প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। মিতুর পরিবারের পক্ষ থেকে আপনাকে সন্দেহ করা হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে কাউকে সন্দেহ করতে পারে। তবে এসব সন্দেহের ভিত্তি থাকতে হবে।
বাবুল আক্তারের সাথে কথা বলার আগে আইও বলেন, মিতু হত্যা মামলার তদন্তের প্রয়োজনে কথা বলতে ডাকায় বাবুল আক্তার তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন। তিনি বলেন, আমি কথা বলতে তাকে আসতে বলেছি, সেজন্য উনি এসেছেন। মামলার বাদীর সাথে এ ধরনের আলোচনা হতেই পারে। মামলা তদন্ত যাতে সঠিক ও সুষ্ঠু হয় সেজন্যই বাদীর সাথে আলোচনা করছি। গত বছরের ৫ জুন সকালে নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় বাবুলের স্ত্রী মিতুকে। সে সময় পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে সদর দপ্তরে যোগ দিয়ে ঢাকায় থাকা বাবুল চট্টগ্রামে ফিরে হত্যাকান্ডের পরদিন নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
এর বাইরে পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা করে। অস্ত্র আইনের মামলাটি আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণের পর্যায়ে থাকলেও কয়েকজন গ্রেফতার হওয়া ছাড়া হত্যা মামলায় তদন্তে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি নেই। এ পর্যন্ত তদন্তে পুলিশ দাবি করছে এ হত্যাকান্ডের মূলহোতা আবু মূসা। তাকে ধরতে ৫ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এখনো তার সন্ধান মেলেনি। মূসার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, গত বছরের ২১ জুন পুলিশ মূসাকে তুলে নিয়ে গেছে। এ অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে পুলিশ। এ মামলার অন্যতম দুই আসামী পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন। সবমিলে মামলা তদন্ত এবং সেসাথে হত্যাকান্ডের প্রকৃত রহস্য এখনো ঘুরপাক খাচ্ছে।
স্ত্রী হত্যার পর থেকে ঢাকার রামপুরা বনশ্রীতে শ্বশুরবাড়িতে দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়ে থাকতে শুরু করেন বাবুল আক্তার। ওই সময়ে তাকে গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে নানা গুঞ্জন ছড়ায়। গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর পুলিশের চাকরি থেকে বাবুলকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন হয়। তাতে বলা হয়, বাবুল নিজেই চাকরি ছেড়েছেন। শ্বশুর বাড়ির পক্ষ থেকে একপর্যায়ে মিতু হত্যার জন্য বাবুল আক্তারকে সন্দেহ করা হয়। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা বলছেন, এ সন্দেহ প্রমাণ করার মতো কোন আলামত বা তথ্য প্রমাণ এখনো তাদের কাছে নেই। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে এর আগে গত ২ জানুয়ারি চট্টগ্রামে আসেন বাবুল আক্তার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।